নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই জীবনে কোন সম্পর্কই নেই, কি লিখব আর নিজের সম্পর্কে।

মেহেদী হাসান জাহিদঅ

“তোমার উত্থানে হোক অন্ধকার শেষ, প্রবল উচ্ছাসে তুমি জাগাও স্বদেশ।”

মেহেদী হাসান জাহিদঅ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি মানুষের জীবন থেকে নেয়া, অসমাপ্ত জীবনের কাহিনী...

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

(আমার জীবনে আমি অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি। সবার জীবন সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা আছে আমার। সেই ধারণা থেকেই লেখাটি প্রকাশ করা। লেখাটিতে বিন্দুমাত্র কাল্পনিক কাহিনী নেই। কারণ এই কাহিনীটি একটি মেয়ের জীবন থেকে নেয়া। যে মেয়েটি আমাকে বিশ্বাস করে তার জীবনের সমস্ত ঘটনা জানায়। তাই তার জীবন কাহিনীটি আমি নিজ দায়িত্বে প্রকাশ করছি।

মেয়েটির নাম পাঁপড়ী (ছদ্মনাম)। মেয়েটির বাসা চাঁদপুর জেলার একটি গ্রামে। গ্রামের মানুষ যতটা সহজ-সরল হয়, মেয়েটি তার থেকেও সহজ-সরল ছিল। আর সেই মেয়েটির এমন সহজ-সরল জীবনে এসে বাসা বাঁধে একটি ছেলে। ছেলেটির নাম সবুজ। তার বাসাও চাঁদপুর জেলাতে, কিন্তু অন্য একটি গ্রামে। ছেলেটি এবং মেয়েটি ছিল ক্লাসমেট, তারা দুজনই একসাথে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। সেই সূত্র ধরেই ছেলেটি ক্লাসে গিয়ে প্রতিদিন মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকত। শুধু তাই নয়, ছেলেটি মেয়েটির যাত্রাপথেও তাকে অনুসরণ করত। এই বিষয়টা আবার মেয়েটি প্রতিদিন লক্ষ্য করত। লক্ষ্য করলেও কিছু বলত না মেয়েটি। কারণ সে বুঝতে পারত যে, ছেলেটি তাকে হয়তো পছন্দ করে! তবে ছেলেটি কখনো মেয়েটিকে কিছু বলত না। সেই মেয়েটিও ভাবত যে, ছেলেটা কেন তাকে কিছু বলে না? সেওতো ছেলেটিকে পছন্দ করে। ছেলেটি কখনো সাহস করে মেয়েটিকে তার ভালোবাসার বলতে পারত না। অবশেষে একদিন..........

দুজনেরই অপেক্ষার পালা শেষ হলো। তারপর ছেলেটি তার ভালোবাসার কথা সাহস করে মেয়েটিকে বলেই দিল। মেয়েটি, ছেলেটির মুখে ভালোবাসার কথা শুনে নিজেকে আর সামলাতে পারল না। সেও গ্রহণ করে নিল ছেলেটির ভালোবাসা। তারপর থেকেই তাদের ভালোবাসা চলতে থাকে। চলতে থাকে তাদের ভালোবাসার কাহিনী সেই অষ্টম শ্রেণি থেকেই। এতটাই মধুর ছিল তাদের ভালোবাসা যে, কেউ তাদের ভালোবাসা আঁচ করতে পারেনি। তারপর যখন তারা দুজনই অষ্টম, নবম করে দশম শ্রেণির এস.এস.সি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই একদিন ছেলেটি মেয়েটিকে সকালবেলা কল করে। কল করে মেয়েটির খোঁজ-খবর নেওয়ার এক পর্যায়ে ছেলেটি মেয়েটিকে বলে বসল যে, তার মা নাকি তার বিয়ের জন্য পাত্রী দেখছে (তখন সেই মেয়েটি ভাবল- ছেলেটি হয়তো তার সাথে দুষ্টামী করছে)। মেয়েটিও তাকে বলে বসল যে, তাহলেতো ভালোই, আপনি বিয়ে করে ফেলেন। তখন ছেলেটি বলল- আমি তোমার সাথে কোনপ্রকার দুষ্টামী করছি না। আমি সিরিয়াসলি বলছি। আমার আম্মু আমার জন্য মেয়ে দেখছে (তখন পাঁপড়ী জানত না যে এই 'সিরিয়াসলি' কথাটার মানে কি?)। যদি সে জানত যে, 'সিরিয়াসলি' কথাটার মানে এত কঠিন, তাহলে সে কখনোই তার ভালোবাসার মানুষকে এভাবে একটা কথা বলতে পারত না। আর তার ভালোবাসার মানুষটা এভাবে তার জীবন থেকে হারিয়ে যেত না। তারপর সেই ছেলেটি বিয়ে করে ফেলে, কিন্তু তার বিয়ের বিষয়ে সে মেয়েটিকে কিছুই বলেনি। মেয়েটি যখনই কল করত ছেলেটির মোবাইলে, তখন যদি তার স্ত্রী কল রিসিভ করত, সে বলত যে সে নাকি তার খালাতো বোন। এভাবে করে ছেলেটি মেয়েটিকে প্রতিটাক্ষন ধোকা দিতে থাকত। যখন মেয়েটি এই বিষয়গুলো তার বান্ধবীদের বলেছে, তখন তার বান্ধবীরা তাকে বলেছিল যে, এই মেয়েটি তার খালাতো বোন নয়, হতে পারে তার স্ত্রী! এই কথা শুনে সে কিছুতেই বিশ্বাস করেনি তার বান্ধবীদের কথা। সে বলত, যদি সবুজ বিয়ে করে থাকে তাহলে সে বুঝি আমাকে জানাবে না? তার মনে সারাক্ষনই একই প্রশ্ন বাজতে থাকত। তারপর সেই মেয়েটি একদিন তার এই বিষয়টি তার এক বড় আপুর (ক্লাস সূত্রে বড়) সাথে শেয়ার করে। তখন তার সেই বড় আপু এই বিষয়টি জানার জন্য পাঁপড়ী'র কাছ থেকে ছেলেটির নাম্বার নিয়ে কল করল তার নাম্বারে। তখন অনেকক্ষণ কথা বলার পর তখন ছেলেটি শিকার করলো যে, সেই মেয়েটি তার খালাতো বোন নয়, বরং তার স্ত্রী। এই কথা শুনার পর সেদিন রাতে মেয়েটি একটুও ঘুমাতে পারেনি, সারারাত কান্না করেছে। তখন দুঃখে-কষ্টে মেয়েটি ভুলেই গেল যে, পরেরদিন "জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়"-এ তার এডমিশন টেস্টের কথা। সে দুঃখ আর কষ্টের কারণে একটুও পড়তে পারেনি সারারাত। পরেরদিন যখন মনে হল যে, তার এডমিশন টেস্টতো দিতে হবে। যদি এডমিশন টেস্ট দিতে না পারে, তাহলেতো তার ১ টি বছর ড্রপ হয়ে যাবে। সে এডমিশন টেস্ট দিয়েছে সত্যি, কিন্তু তার পূর্ব-প্রস্তুতি না থাকায়, পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি।
তবে জীবন তাকে বর্তমানে শিখিয়ে দিয়েছে যে, কিভাবে পৃথিবীতে বাঁচতে হয়, চলতে হয়।
*****
(এই কাহিনীটি এখনও সম্পূর্ণটা লিখতে পারিনি, সময়ের কারণে। অন্য একদিন সময় করে বাকি কাহিনীটা লিখে ফেলব।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.