নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি মানবিক পাখি, প্রকৃতি ও প্রেমিক কর্তৃক আহূত হয়ে হঠাৎ হঠাৎ আছড়ে পড়ি ভূ-পৃষ্ঠে তবুও মানুষের জীবনে ফিরে আসার সাধ নাই আর।

চন্দ্রনিবাস

খসে পড়া নক্ষত্রের দেহে পুনঃসংযুক্ত হইবার আশায় চন্দ্রপথে একাকি খুঁজিতেছি অতীত।

চন্দ্রনিবাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাওড় ভ্রমণকথা ০১

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪



সামহোয়ারে এই আইডিটিসহ আমার চার চারটে আইডি ছিল! যদিও প্রত্যেকটি আইডিতেই দু-একটা পোস্টের পর ঐ আইডির সাথে আমার আর যোগাযোগ করা হয়ে উঠেনি। প্রতিবারই নতুন একটি আইডি খোলার কারণ পূর্ববর্তী আইডির পাসোয়ার্ড ভুলে যাওয়া। ব্লগে আসার উদ্দেশ্য বাহারি জ্ঞানার্জন ও নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করা ও প্রকাশের আনন্দ লওয়া। যাতে শরীরে অতিরিক্ত বাতাস বহে ও অক্সিজেনের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। আগের আইডিগুলো দিয়ে আসলে তেমন শেয়ারিং ও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। তবে হা মনের খায়েশ মিটেছে বটে! এইবার এই আইডিটির পাসোয়ার্ড আমি গভীর মনযোগের সাথে মাথায় ফ্রেমিং করেছি ও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। বিগত দু-একটি পোস্টে ব্লগের বেশ কয়েক সদস্যদের অনুপ্রেরণা থেকে ব্লগে লেখালেখি চলমান রাখার খানিকটা সাহস বেড়েছে বটে। সেই সাহস থেকেই আজকে শেয়ার করছি আরো একটি- ভ্রমণকথা।

ইচ্ছে ছিলো ঘুম থেকে উঠবো কাক ডাকা ভোরে। হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গলো। ঘড়িতে সকাল ৮ টা। সাথে সাথেই আমার সবগুলো ইন্দ্রিয় সরাসরি জীবনের সাথে সংযোগ স্থাপন করে নিয়েছে। বারান্দায় এসে দেখলাম পাশের দালানের এয়ার কন্ডিশনের উপর বসে কা কা রবে কাক ডাকছে। সূর্যের আলোও এখনো আসেনি ধরিত্রীমাতায়। কাক ডাকা ভোর বোধ করি আজ খানিক দেরিতে শুরু হলো। আর অধিক কালক্ষেপন না করে প্রস্তুতি নেয়া শেষ করলাম কয়েক মিনিটেই। ব্যাগটা রাতেই গুছিয়ে রাখা ছিলো। প্রাথমিক উদ্দেশ্য সায়াদাবাদ বাসস্ট্যান্ড। গন্তব্য কিশোরগঞ্জ- হাওড়ের দেশ।

সায়দাবাদে পৌঁছে ‘যাতায়াত’ বাসের খবর নিতেই জানা গেলো, ৫ মিনিট পরেই ছেড়ে যাবে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে। ঢাকা টু কিশোরগঞ্জ রুটে সায়দাবাদ থেকে ‘যাতায়াত’ বেশ জনপ্রিয়। মহাখালি থেকে অনন্যা, অনন্যা সুপার ও উজান ভাটি- এই বাস সার্ভিসগুলোর বেশ নাম শুনা যায়। উজান-ভাটি নামটা বেশ মনে ধরেছে। উজান থেকে ভাটি যায়, ভাটি থেকে উজান আসে, গাড়ি। যাতায়াতে উঠেই আশে পাশের লোকজনের কাছ থেকে জানা গেলো, হাওড়ে ঘুরে বেড়াতে চাইলে আমাদের যেতে হবে প্রথমে কিশোরগঞ্জ বাস স্ট্যাণ্ড, সেখান থেকে ইজি বাইকে করে একরামপুর, একরামপুর থেকে সিএনজি করে চামটাঘাট। আমি আর আমার বন্ধু, দুইজন যাত্রা শুরু করলাম সকাল ৯:৩০ এ। ঠিক ২:৩০ এ কিশোরগঞ্জে পৌছালাম। এতক্ষণে পেটের ভেতর মহাশূণ্যের খিদে। একটা হোটেলের সামনে যেতেই দোকানি হাক ডাক দিচ্ছে - 'আইয়েন ভাই বইঙ্গা, আইয়েন বইঙ্গা বইঙ্গা।' দোকানে ঢুকে মাছ-ভাত খাইতে লাগলাম। খাইতে খাইতে 'বইঙ্গা" বইলা কি বুঝাইলো এই নিয়ে আমাদের মাঝে বিশাল মতভেদ। অবশ্য এর সমাধান হয়েছিলো খাওয়া শেষে দোকানীকে সরাসরি জিজ্ঞেস করার মাধ্যমে। জানা গেলো; বইঙ্গা, ‘বসেন গিয়ে’ এর পরিবর্তিত রুপ। যেমন ‘চামড়া’, চামটাঘাটের পরিবর্তিত রুপ। খাওয়া শেষে ইজি বাইকে ১০ টাকা প্রতিজনে চলে গেলাম একরামপুর।

একরামপুর থেকে সিএনজিতে উঠলাম। সিএনজি চালকের প্রসঙ্গে কিছু না বললে হচ্ছে না। আমি অন্তত এর আগে এমন ভদ্র ও সৌজন্যবোধসম্পন্ন সিএনজি চালক পাইনি, ছেলেটার নাম আলম। এক সন্তানের জনক, ১৮ বছর ঢাকা টু টাঙ্গাইল রোডে বাস চালাতো। আলম ড্রাইভারের ছেলে ঢাকার কোন একটা স্কুলে পড়তো (নামটা ভুলে গেছি শাহীন স্কুল হতে পারে) এবার গ্রামে এসে কিছু একটা করার ইচ্ছায় কিনেছিল, সিএনজি। অথচ মাস তিনেক কিশোরগঞ্জে থেকে আলম বুঝতে পেরেছে এখানে তার সন্তানের পড়াশোনা হবে না। তার দ্বিতীয় সন্তানের আগমনের অপেক্ষা শেষ হলে আবারো সে ঢাকায় যেতে চায়, কেবলমাত্র সন্তানের ভাল একটা ভবিষ্যতের জন্য। ছেলেটার কথা বার্তায় মুগ্ধতা আছে। আমাদের নম্বর রাখলো। নতুন পরিবেশে কোনো সমস্যা হলে যেনো ফোন দেই, এ কথাও বলে দিলো। আলম ড্রাইভারের সাথে কথা বলতে বলতে, সিএনজি থেকে বাইরে মাথা বের করে দিয়ে নির্মল বাতাস খেতে খেতে পৌঁছে গেলাম চামটাঘাট। চামটাঘাটে যেতে যেতে চোখে পড়বে দুইপাশে সারি সারি গাছ। জলাশয় ও ফসলি ক্ষেত। একরামপুর থেকে চামটাঘাট ভাড়া ৪০ টাকা। চামটাঘাটে এসে জানলাম, ভালো থাকার জায়গা পাওয়া যাবে ‘ইটনা’তে। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য নির্ধারণ করা হলো, ইটনা।

বর্ষা মৌসুমে কিশোরগঞ্জের প্রায় অধিকাংশ এলাকাই দ্বীপগ্রামে পরিণত হয়। আর এই চামটা ঘাট থেকে এবার যেদিকে যেতে চাই, সেদিকেই জল। ট্রলারে ছাদে উঠে পড়লাম গন্তব্য- ইটনা, ভাড়া ৫০ টাকা। ধনু নদীর পানিতে বর্ষা মৌসুমের প্রায় ৬ মাস এই হাওড়গুলো কানায় কানায় ভরে উঠে। হাওয়া আর জলের মিলনে ভাসতে ভাসতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে ট্রলারের উপর। দূরে দূরে অজস্র দ্বীপগ্রাম। কখনো দ্বীপগ্রামকে ডানে রেখে, কখনো বায়ে রেখে এগিয়ে চলছে আমাদের ট্রলার। দ্বীপগ্রামগুলোর পাশে সারি সারি নৌকা। কেউ বড়শী দিয়ে মাছ ধরছে। বাচ্চাগুলো হাওড়ের পানিতে ডুবোডুবি করছে। সবগুলো দ্বীপগ্রামের চারপাশেই ঘিরে আছে বড়-ছোট অসংখ্য গাছপালা। যেনো পরম মমতায় মায়ের মতো হাওড়ের মানুষগুলোকে দেখাশুনে আঁচলে ঢেকে রেখেছে। নীল জল আর দিগন্তের মিলনের পানে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। অথচ কখনোই পৌঁছাতে পারছি না যেন। যত কাছে যাই, তত দূরে সরে যায়। যেদিকে তাকাই জল আর জলের বিস্তৃতি। কোথাও কোথাও হাওড়ের মাঝে কিছু কিছু গাছ মাথা তুলে এখনো কোনোরকম দাঁড়িয়ে আছে স্থল-কালের স্বাক্ষী হিসেবে। হাওড়ের আকাশে উড়াউড়ি করছে বক, চিল। স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য ক্যামেরা নিয়ে গেলে উড়ন্ত বক, চিলে, হাওড়ের মানুষের জীবনযাত্রার ছবি তুলে রাখা যাতে পারে।

৪:৩০ এ আমরা ইটনা পৌছালাম। হাওড়মুখী ডাকবাংলো দেখে এখানেই থাকার ইচ্ছে হলো। পাশাপাশি নতুন জায়গা। কোন রেস্টুরেন্টে থাকার চেয়ে সরকারি ডাকবাংলো বেশি নিরাপদ। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জে ঘটে যাওয়া ঘটনার রেশ ধরে বেশ সচেতন মনে হলো ডাকবাংলো কর্তৃপক্ষকে। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী গেলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে, ডাকবাংলোতে থাকার অনুমতি নিতে হবে। ভদ্রলোক আন্তরিক ভাষায় আমাদের এখানে আসার কারণ জানতে চাইলেন। সবিনয়ে উত্তর দিলাম। উনি আমাদের ন্যাশানাল আইডি ও জব আইডি থানায় জমা দিয়ে ডাক বাংলোতে যেতে বললো। থানায় যেয়ে আমাদের সব তথ্য জমা দিয়ে অসি সাহেবের সাথে বাক্য বিনিময় করে, আমাদের ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্য ও সরকারি ডাকবাংলোতে থাকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করে অবশেষে ডাকবাংলোয় আসলাম।

ডাকবাংলো থেকে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে গেলাম হাওড়ের বিশালতার সাথে গা ভাসাতে। ছলাত ছলাত পানির শব্দ আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির শব্দে হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে। সাধারণত প্রকৃতির কাছাকাছি আসলেই শূণ্য হয়ে পড়ার একটা অনুভূতি আমাকে ঘিরে থাকে, বুদ করে রাখে। আমি আলাদা করতে পারিনা ব্যক্তি আমাকে প্রকৃতি থেকে। মাতাপ্রকৃতি ও অনুভূতিজাত প্রাণ প্রকৃতি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। পুরো সন্ধ্যাটা ব্রিজের উপর বসে প্রকৃতির সঙ্গে অঙ্গ মিশিয়ে ফিরে এসেছি ডাকবাংলোর সামনে মাচার উপর। মাথার উপর পূর্ণিমার চাঁদ, হাওড়ের জলে চিকচিক করছে তার শোভা। অসীম উদার শূণ্যে তাকিয়ে ছিলো আমার চোখ। আজ আমার কিছু নেই, কেউ নেই, কোথাও নেই। ডাকবাংলোর সামনে এই মাচার উপর পৃথিবীর সময় থেমে গিয়েছিলো অনেক বছর। তার হিসেব করবে কে! থেমে গিয়েছিলো জীবন-যাত্রা। ১০টার ভিতরেই পুরো ইটনা ঘুমিয়ে পড়ে, তাই প্রাকৃতিক আমাকে ব্যক্তি আমাতে সুইচিং করে জলসিড়ি রেস্টুরেন্টে মাছ-ভাত খেয়ে ডাকবাংলোয় চলে আসলাম। ইটনায় জলসিড়ি রেস্টুরেন্টটিই আমার ভালো মনে হয়েছে। তবে পোকার জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে প্লেটের নৈকট্য যে লাইটগুলো থাকবে, সেগুলো নিভিয়ে নিতে হবে। তা নাহয়, আপনি নিশ্চিত বেশ কিছু পোকা-মাকড় খেয়ে পেট ভরাবেন।

রুমে ঢুকে আয়েশ করে সিগারেটে টান দিয়ে আগামীকালের প্লান করছিলাম। প্লান হলো কাল ভোরে ভোরে ট্রলার নিয়ে বেরিয়ে পড়বো, ঘুরে দেখবো দ্বীপগ্রামগুলো। এর মধ্যে ইলেকট্রিসিটি চলে গেলো। যাক, এবার হাওড়ের পানে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আমার ফোনেও যথেষ্ট চার্জ নেই। চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে কেমন যেন একটা থমথমে পরিবেশ ততক্ষণে তৈরি হয়ে গেছে। এই বিশাল হাওড়ের পাড়ে একটা ডাকবাংলোই যেন একলা দাঁড়িয়ে আছে। আর তার জানালায় একলা একটা মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। চারপাশে কোথাও কিছু নেই আর। হঠাৎ অপার্যপ্ত চার্জের ম্যারম্যারে শব্দের সাথে ফোনের রিং বেজে উঠলো। আমি হ্যালো বলে উঠতেই একটা অপরিচিত কণ্ঠস্বর সালাম দিলো। আমি নিশ্চিত আগে কখনো এই ব্যক্তির সাথে কথা বলিনি।

একটু স্থিরচিন্তায় আমি বুঝে নিয়ে বললাম, 'আলম ভাই কেমন আছেন।' আলম ভাইও হেসে উঠে বললো, 'ভাই চিনতে পারছেন, আমি ড্রাইভার আলম।' তারপর আলম ভাইয়ের অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো, আমরা ঠিকমতো পৌছেছি কিনা, খাবার-দাবার পেলাম কিনা, কোন রেস্টুরেন্ট ভালো হবে, কোথায় উঠেছি, কোন সমস্যা হচ্ছে না তো ইত্যাদি। খুব ভালো মন-মানসিকতার মানুষ না হলে এই অতিরিক্ত সৌজন্যতাটুকু আপনি আমি কি আশা করি আজকালকার বাস্তবতায়! কিংবা নিজেরাই কি এতটুকু প্রদর্শন করতে পারি! রাত ১ টার দিকে ভারী বাতাস হালকা হয়ে বইতে শুরু করলো। এক সময় শুরু হলো ঝড়। ঝড় মানে কেবল শো শো শব্দে বাতাস নয়। ডাক বাংলোর কাচের জানালায় ঠোকাঠুকি, দরজায় ঠোকাঠুকি। হাওড়ের সব জল হাওয়ার তোড়ে এসে জল-হাওয়া কারসাজি করে পুরো বাংলোটাকে উড়িয়ে উঠিয়ে ঘুরিয়ে শূণ্যে আছড়ে ফেলবে যেন। আমি আর রুমের ভেতরে থাকতে পারলাম না। অবাধ্য আমাকে বারান্দায় আসতে বাধ্য করেছে হাওড়ের রাত, বাতাস। বাতাসে ভেসে আসছিলো অসংখ্য হাঁসের চিৎকার, হয়তো খামার ছাড়া হবার ভয়। সারাদিন ঘুরাঘুরির পর এমন হাওয়ায় এক সময় শরীরে অবসাদ ভর করলো। লেখালেখির জন্য কিছু তথ্য টুকে রাখা প্রয়োজন তাই রুমে এসে লিখতে লিখতে বাতাসে শরীর ছেড়ে দিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি!!

ইহা একটি চলমান প্রক্রিয়া, বিষয়টা যদিও আপেক্ষিক

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: চন্দ্রনিবাস ,



বইঙ্গা, ‘বসেন গিয়ে’ এর পরিবর্তিত রুপ।
সেরকম চার চারটি " ডান্ডি "র রূপ পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান "আইডি "টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো । ছলাত ছলাত পানির শব্দ আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির শব্দের হারিয়ে যাওয়ার মতো যেন আবার এই আইডিটি হারিয়ে না যায় । চলমান থাকে যেন ...................

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: হারিয়ে যেতে চাইনি কখনো। আশা করি এইবার পাসোয়ার্ড ভুলে যাবো না আর।

আহমেদ ভাই, যে আইডিগুলো হারিয়ে যায় তাদের কি এক কথায় ডান্ডি বলে? :)

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: চালিযে যান খুব ভালো লাগছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পোস্ট তো এইটা নিয়ে পাঁচটা দিয়ে দিলেন। আইডি তো অনেকটা সময় টিকে গেল।

আল্লাহ মালুম এই আইডি থেকে আর পরবর্তীতে পোস্ট আসে কিনা।


যাই হোক, আপনার লেখনীতে ভ্রমণকথার সাথে সাথে নিজেরও ভ্রমণ হয়ে গেল।

+

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: হা হা হা এইবার আর ফিরে যাওয়ার সাধ নাই। শেষ লাইনটায় প্রাপ্তির যোগ হয়েছে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :)

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ক্লে ডল বলেছেন: হাওড়ের বর্ণনা পড়ে আর ব্যক্তি আপনার প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়া দেখে ঈর্ষা হচ্ছে যে!! এখন আমারও যেতে ইচ্ছা হচ্ছে!! :)

আর আপনার বর্ণনা কিন্তু ভীষণ উপভোগ্য!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: অর্ধেক ধন্যবাদ পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য! ঈর্ষা হচ্ছে বলে অর্ধেক ধন্যবাদ বাকি রেখেছি!

যেদিন ঘুরে এসে প্রকাশ করবেন সেদিন বাকিটা ফেরত পাবেন! :)

শুভকামনা।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: চন্দ্রনিবাস ,



যে আইডিগুলো হারিয়ে যায় তাদের এক কথায় ডান্ডি বলে না । আইডেন্টিটি কার্ডকে বিকৃত উচ্চারণে " ডান্ডি কার্ড" বলা হয় ।
যেমন , সিগন্যালকে বলা হয় " সিনগাল " । শোনেন নি বাসের কন্ডাক্টর বলে , " ওস্তাদ ছিনগাল পড়ছে .." ?
আবার প্রাইভেট কারকেও ওরা বলে " প্লাস্টিক " । যেমন , " ওস্তাদ আস্তে, বায় প্লাস্টিক .. " ।

যদিও আপনার বলা আইডি'র অর্থ আইডেন্টিটি কার্ড নয় । আমি শুধু রস করে "আইডি"টাকে আইডেন্টিটি কার্ড হিসেবে ধরেছি ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: দুঃখিত এই এলাকায় আমি নতুন বলে এখনকার মানুষের চাল-চলন ও কথা-বার্তার ধার-ধরন অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। তবে এমন করে উদাহরণসহ ব্যাখ্যা পেলে সহজেই বুঝে যাই। :)

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আহমেদ ভাই।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এমন ঝড়ের মুখোমুখি হতে খুবই ভালোলাগে!!
চমৎকার বর্ণনা, একটানে পড়লাম :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একটানে পড়তে পেরেছেন বলে। আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমার সত্যিই ভালো লেগেছে।

আর ঝড়ের মুখোমুখি হতে আমারো ভালো লাগে কিন্তু আমার উড়ে যাবার ভয় আছে খানিকটা! :)

শুভকামনা রইলো।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

অদৃশ্য বলেছেন:




পাঠ শুরু করলাম আপনার ভ্রমণের... শুরুটা ভালো লেগেছে... সকালের দৃশ্য সামনেই আছে যদিও তবুও আজ আর হচ্ছেনা... কাল সকালের পরই আপনার আগামী দিনের পাঠ শুরু করবো...

শুভকামনা...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্লগে স্বাগতম। আপনার কবিতা বেশ ভালো লেগেছে।

আর হা উপভোগ্য হোক আগামী দিনগুলোও। শুভকামনা।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: থেমে গেলেন কেন লিখতে লিখতে? যদিও এক বছর পার হয়েছে। এই পোস্টের সাথে ছবি দেয়া থাকলে আরো ভালো হতো।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৭

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট অনুসরণ করে করে নিজের পোস্টগুলো দেখছি আবারো। ছবি তুলে স্মৃতি রাখার মতো কোনো ডিভাইস আমার কাছে ছিলো না তখন। আপনার মন্তব্যগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.