নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি মানবিক পাখি, প্রকৃতি ও প্রেমিক কর্তৃক আহূত হয়ে হঠাৎ হঠাৎ আছড়ে পড়ি ভূ-পৃষ্ঠে তবুও মানুষের জীবনে ফিরে আসার সাধ নাই আর।

চন্দ্রনিবাস

খসে পড়া নক্ষত্রের দেহে পুনঃসংযুক্ত হইবার আশায় চন্দ্রপথে একাকি খুঁজিতেছি অতীত।

চন্দ্রনিবাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুলেট কিংবা একটি গভীর চুম্বন

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪১

কেমন আছেন সবাই? অনেক দিন ব্লগে আসা হয় না। অসামাজিক তকমাটা থেকে আমি সত্যি আমাকে মুক্ত করতে পারছি না। এই যেমন ব্লগে আসলাম। বেশ কিছুদিন সরব ছিলাম। আবার হারিয়ে গেলাম। এই অভ্যাসটার জন্য বন্ধু-বান্ধব পরিবারসহ সবারই আমার বিরুদ্ধে একটা কমন অভিযোগ রয়েছে যে, আমি যোগাযোগ রক্ষা করিনা। আমি অবশ্য এই অভিযোগ মেনে নেই। এবং এই যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারার সব দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়েই আবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। আপাতত একটি কবিতা শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে। সম্প্রতি লাস ভেগাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর পরই ভাবছিলাম- মানুষ কতটা বঞ্চিত হলে পড়ে এতগুলো মানুষকে একসাথে মেরে ফেলতে পারে। নিশ্চয়ই, একজন হত্যাকারী প্রকৃত ভালোবাসার আনন্দ থেকে বঞ্চিত। ভালোবাসা কেন- একটি গভীর চুম্বনও হতে পারে, একজন খুনীর হাতের বুলেটের বিপরীতে ভালোবাসা কিংবা প্রেমের জয়। পারে- একটি সুন্দর পৃথিবীর বৈচিত্র্যে মুগ্ধ হয়ে আরো কিছুদিন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাতে। প্রেমের বিপরীতে পুঁজির লড়াইকে ভালোবাসা দিয়েই কেবল পরাজিত করা যেতে পারে, ঠিক এই পরিস্থিতি বিবেচনায় "বুলেট কিংবা একটি গভীর চুম্বন"। ভালোবাসা রইলো।

আমার ভেতরেও ছিলে তুমি, প্রিয় লাস ভেগাস।
অস্ত্রধারী ছিলাম আমি-
ধ্বংস কোরে দিবো বলে-
তোমাদের সুন্দর উৎসব।
ভালোবাসা- কেবল ভালোবাসাই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

আমার চোখেও ছিলো একটি খুনের স্বপ্ন-
অস্ত্রটি তাক করা ছিলো-
ট্রিগারে ছিলো তর্জনীর আদেশ।
ছিন্ন ভিন্ন কোরে দেবার- কথা ছিলো।
জানো?
পুঁজিবাদই ছিলো আমার চোখের সামনে আমার প্রেমিকার প্রথম ধর্ষনকারী।

পুঁজির বিপরীতে প্রেমের যুদ্ধ এখনো আছে অব্যহত,
কৌশল বদলে অস্ত্র ফেলে-
হাতে নিয়েছি, প্রেমিকার গ্রীবা-শক্ত কোরে চুম্বনে ডুবিয়ে রেখেছি।

প্রেমে, তোমাকে খুন কোরতে গিয়ে
থেমে গেলাম-
আটকে গেলাম তোমার ঠোঁটে-
একটি গভীর চুম্বন আমার হাত থেকে অস্ত্র নামিয়ে দিয়েছিলো।

তোমার স্থির চোখের আদেশ আমি বুঝে নিয়েছিলাম-
আমার হাত অস্ত্রের বদলে তুলে নেয় তোমার গ্রীবা-
ভালোবাসার অস্ত্রটি চালিয়ে দেয় তোমার শরীরে-
বিদ্ধ করে, আহত করে সুখে- তোমার হৃদপিণ্ডে বাজতে থাকে বুলেট।
আমি অনুভব করি, তোমার লাস ভেগাস ভেঙ্গে পড়ছে, ঢলে পড়ছে-
আমার উপর।

কেনো ভালোবাসি, জানো?
প্রেম না থাকতো যদি- অস্ত্র হাতে নিতাম আমিও।
জেনেছি- ধর্ষণে নয়, প্রেমেই খসে পড়ে প্রেমিকার বস্ত্র,
প্রেমকে গ্রহণ করো, সরিয়ে দাও ঐ তর্জনীর আদেশ-
ছুড়ে ফেলো ঐ অস্ত্র।
বরং ভালোবাসো।

প্রিয় লাস ভেগাস,
এসো- একটি গভীর চুম্বনে সাড়িয়ে তুলবো তোমার ক্ষত।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

ফাল্গুনীর কাব্য বলেছেন: একটু অন্যরকম। একটু কঠিন। ভাললাগা রইল ♥

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০২

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: একটু সহজবোধ্য করার জন্য পোস্টের শুরুতে একটু সংযুক্তি দিয়েছি। আশা করি কাঠিন্যতা দূর হয়ে ভালোবাসার জন্ম নিবে। আপনাকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

কালীদাস বলেছেন: খাইছেরে, পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল রেজ এগেইনস্ট দ্যা মেশিনের কোন লিরিকস পড়ছি :)

বুলেট ফর মাই ভ্যালেন্টাইন শোনেন? কেমন লাগে?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৪

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো। বুলেট ফর মাই ভ্যালেন্টাইনের নাম শুনেছি। তবে পড়া হয়নি। সময় করে নিশ্চয়ই সামনে আসলে পড়ে নিবো। ভালোবাসা ও শুভকামনা।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সলিড এবং ডিপ বটে। :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৫

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: আপনাকে মন্তব্যে ধন্যযোগ অয়ন। ভালোবাসা রইলো।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবিতাটি বেশ চমৎকার।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৭

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত হলাম।
ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লেগেছে কবিতা আর পোস্টের কথা! প্রকৃত ভালোবাসা বা আনন্দ থেকে বঞ্চিত মানুষ অনেক কঠোর, নীরস এবং ভয়ংকর হতে পারে কখনো কখনো।

কোরে ( করে) কী ইচ্ছাকৃত লেখা বানানটা?
সরিয়ে দাও তর্জনীরর আদেশ। সরিয়ে বাননটা ঠিক করে নেবেন প্লিজ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: প্রিয় অপর্ণা, আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। করে< কোরে বানানটা ইচ্ছাকৃতই। সমকালীন লেখক ও কর্মীদের প্রয়াসে যতদূর জানি, আবৃত্তিকালীন উচ্চারণকে আরো কাব্যময় ও শ্রুতিমধুর করে তুলতে ক্রিয়াপদের বানানের শেষে 'অ/এ' এর পরিবর্তে 'ও' বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ঠিক 'নিয়ম' কোনটি বলা হবে- এ বিষয়ে আমার পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব আমি স্বীকার করি।

আর 'সরিয়ে' বানানটির জন্য দুঃখিত, ঠিক করে নিচ্ছি। কোনো রকম ঘষামাজা ছাড়া একবারেই লিখে ফেলার একটা অভ্যাস আমার রয়েছে। ঠিক এই কারণেই বানানগত কিছু ভুল থেকে যায় এবং নিজের আড়াল হয়। সেক্ষেত্রে পাঠক হিসেবে আপনার মন্তব্যে লেখনীটি আরো কিছু সমৃদ্ধ হলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফেরত আসায় আবারো অভিনন্দন

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৩

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: প্রিয় চাঁদগাজী ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালোবাসা রইলো।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সহজভাবে কমেন্ট এর রেস্পন্স করায় থ্যাংকস। কেউ কেউ প্রশংসা নিতেই ব্যস্ত হোক তা মিথ্যে।
আপনার কবিতাটা ব্লগে আবার কিছুটা নিয়মিত হবার পর আমার চোখে পড়া বেশ ভালো কবিতা অন্যান্যদের চেয়ে।

শুভকামনা জানবেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪০

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: প্রিয় অপর্ণা, আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। হা কেউ কেউ প্রশংসা নিতেই ব্যস্ত হতে চায় হোক। আপনার আইডি নামের দ্বিতীয় অংশের অর্থ জানার আগ্রহ পোষণ করছি। একটা নতুন শব্দ যোগ হতো।

আমার লেখনি আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো। অনুপ্রাণিত হলাম। তুল্য মূল্য নির্ধারণ করেও যদি কেবল মানের দিক থেকে ভালো কিছু হয়ে উঠে, এতে নিশ্চয়ই আনন্দিত হবো। ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

একটা কথা বাকি রয়ে গেলো, আমার লেখনী পড়ে কি অবচেতনভাবে আপনার মুখে এসেছে- বাহ! বেশ ভালো লিখা?

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মম্ময় - মন / মম জুড়ে যে জন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৭

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: বাহ, অসাধারণ। মম জুড়ে যে জন। বেশ দারুণ। এই বিষয় নিয়ে অনেক আড্ডা দিতে ইচ্ছে করছে। কারণ ইনডিভিজুয়ালিজমের বিবেচনায় একটা সাংঘর্ষিক তত্ত্ব দাঁড় করানো যায়- এই প্রশ্ন টেনে যে, মম জুড়ে কি কেবল নিজেরি অবস্থানের কথা নয়, কিংবা মম জুড়ে সমগ্রের অবস্থানও থাকতে পারে। যাই হোক। এই প্রসঙ্গে কখনো সময় পেলে লিখার ইচ্ছে ছিলো। তাই একটু কথা বলে নিলাম, 'মম্ময় - মন / মম জুড়ে যে জন' সামনে চলে আসাতে।

একটা কথা বাকি রয়ে গেলো, আমার লেখনী পড়ে কি অবচেতনভাবে আপনার মুখে এসেছে- বাহ! বেশ ভালো লিখা?
(সম্প্রতি আপনার প্রকাশিত পোস্টের নিরিখে এই লাইনটি যোগ করেছি)

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হ্যা আপনার এই কবিতাটা পড়ে এই ফিলিংস এসেছিল। কমেন্ট করে মুছেও ফেলেছিলাম। কারণ এটা লেখার আগে যাচাই করে নিচ্ছিলাম আপনার অন্য লেখা গুলো। বাহ এই বিশেষণটা জমা থাকলো।
এই মমতে ব্যক্তির অবস্থানের প্রাধান্যটা বেশি।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০১

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: ব্যক্তির অবস্থান থাকাটাই জরুরী। খুব ভালো।

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার এই কবিতাটা নির্বাচিত পাতায় যাবার মত। আশা করছি যাবে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৯

চন্দ্রনিবাস বলেছেন: আমি মাপতে পারছি না। তবে আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.