নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাহীন ভাবনাগুলো

মাহের ইসলাম

মাহের ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহিপালে নাকি জ্যাম ছিল !

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭



সকালে অফিসে এক কলিগের কাছে থেকে তার গতদিনের দুর্দশার বর্ণনা শুনছিলাম।
ঢাকায় অফিসের কাজ শেষ হওয়া মাত্রই, লাঞ্চ করেই তিনি তার এক বন্ধুকে নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিলেন, চট্রগ্রামের পথে। এরপর ১২ ঘন্টা লেগেছিল চট্রগ্রাম আসতে। মহিপালে নাকি জ্যাম ছিল। ওইখানেই গেছে সাড়ে ৪ ঘন্টা।
এক জায়গায়, কোন নড়াচড়া করার উপায় ছিল না, ৪ ঘন্টার বেশি ঠায় অপেক্ষা, কখন জ্যাম ছুটবে!

বৃহস্পতিবার, সরকারি হিসেব অনুযায়ী সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবস; অবশ্য সকল পেশার মানুষের জন্যে নয়।
আমি আংশিকভাবে এমনি একজন চাকুরীজীবী, যার সপ্তাহের সাত দিনই কর্মদিবস হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। আবার অনেক দিন ধরে ছুটি যাবো যাবো করেও যাওয়া হয়ে উঠছিলো না। তাই, এবার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এই সপ্তাহের শেষে ঢাকা যাওয়ার জন্যে ছুটির প্ল্যান করে রেখেছিলাম। বেশি না, মাত্র ৭ দিনের ছুটিতে যাবো, তার মধ্যে আবার একটা শুক্রবার আর একটা শনিবারও আছে।
প্রায় সপ্তাহ খানেক থাকবো না, তাই অফিস থেকে বের হওয়ার আগে আমার কলিগকে জানাতে তার কাছে যাওয়া।
ঢাকা যাওয়ার প্ল্যান শুনেই তিনি আমাকে তার নিজের একদম তাজা অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফেললেন; জোর পরামর্শও দিলেন – আমি আর যাই করি, বাই রোড যেন ঢাকা না যাই।

যাই হোক, আমি আমার মতো করেই বাসে উঠে পরেছি।
এখন মনে হচ্ছে, আমিও তার মতই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছি।
অবশ্য, সাড়ে ৪ ঘন্টা হতে আমার এখনো আরো সোয়া তিন ঘন্টা বাকি, মাত্র এক ঘন্টার কিছু বেশি সময় একই জায়গায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। কাকতালীয় হওয়ার কোন সুযোগ নেই, বরং খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই মহিপালেই জ্যামে পড়েছে, আমার বাস।

অপকারিতা কম-বেশি যাই থাকুক না কেন, জ্যামের কিন্তু কিছু উপকারিতাও আছে।
এই অনেক উপকারিতার একটা হলো, বিনোদনের সুযোগ পাওয়া যায়।
যেমন, এই মুহূর্তে জ্যামের মধ্যে আটকে থেকে বাসের ভিতরে বিনোদিত হচ্ছি। আসলে, নাটক দেখছি; বাসে বসে বসে।
বাসে একটা টিভি আছে, যেমনটা অনেক বাসেই থাকে। যাত্রীদের বোরিং হওয়া থেকে পরিত্রানের উপায় হিসেবে, ড্রাইভার আমাদের বাসের সেই টিভিটা ছেড়ে দিয়েছে একটা নাটকের সিডি দিয়ে।

মোবাইলে ফেসবুকিং করছিলাম বলে, নাটক কখন শুরু হয়েছে, ঠিক বুঝতে পারিনি। তবে, শুরু হওয়া মাত্রই টিভির সাউন্ড শুনে সামনে মাথা তুলতেই দেখি টিভি চলছে। মোশাররফ করিমের নাটক দেখছি। ইতোমধ্যে, একটা দেখা শেষ।

এখন দ্বিতীয় নাটক শুরু চলছে।
তবে আমার মনে হচ্ছে, অনেক আগের নাটক।
কারন, প্রথম নাটকে তাকে মোটা আর ভুরিওয়ালা দেখা গেছে, এখনকার নাটকে অনেক স্লিম আর ইয়াং দেখাচ্ছে।
শুরুতে নাটকের নায়িকাকে আমি অবশ্য চিনতে পারছিলাম না। তবে কিচুক্ষন পরেই চিনতে পারলাম, মীম।
এখন আমি নিশ্চিত, এটা একটু পুরনো নাটক; মীমকেও এখানে অনেক বেশি স্লিম মনে হচ্চে। নাটকের নামও বলতে পারবো না। মিস করে ফেলছি। যখন নাম দেখাচ্ছিল, তখন আমি মোবাইলে মেসেজ টাইপ করায় ব্যস্ত ছিলাম, তাই নামটা মিস হয়ে গেছে।
নায়িকা দেখি আরো আছে; আচ্ছা, এখন বুঝলাম যে, নাটকে নায়ক গ্রামের বিবাহযোগ্যা সকল কন্যার সাথে প্রেমের অভিনয় করে দিন কাটায়। তবে, শেষে একদিন ধরা পরে যায়।
যাক গে, আমার খুব একটা ভালো লাগেনি।

হাল্কা বৃস্টি শুরু হয়েছে।
গাড়ির উইন্ডশিল্ডে বৃস্টির ছোট ছোট ফোটা পরায়, বাইরের ভিউ এখন আর আগের মতো নেই।
কিছুটা ঘোলা ঘোলা হয়ে গেছে।
দিনের আলো কমে যাওয়ায় এম্নিতেই হালকা অন্ধকার অন্ধকার হয়ে এসেছে।
কিন্তু, জ্যামটাই শুধু আগের মত আছে।

সন্ধ্যা হয়ে গেছে, রাস্তা পাশের দোকান গুলিতে মানুষের ভীড় একটু কমে গেছে।
এরই মধ্যে, গাড়ি চলতে শুরু করেছে। ঘড়ি দেখে নিশ্চিত হলাম, প্রায় আড়াই ঘন্টা এক জায়গাতেই ছিলাম।
তবে, ভাব গতিক সুবিধের মনে হচ্ছে না। গাড়ি মনে হচ্ছে বেশি দূর যেতে পারবে না। কারন, যারা এতক্ষন জ্যামে আটকে ছিল, সবাই আগে যাওয়ার চেস্টা করায় আবার জ্যাম লেগে গেছে।
আড়াই ঘন্টা জ্যামে থাকার পরে জ্যাম ছাড়ার পরে যদি আবার জ্যামে পড়ি, কেমন লাগে!!

জ্যাম আসলে ছুটেনি। ছুটার একটু সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল মাত্র।
বৃস্টির তীব্রতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। এখন বৃস্টি হচ্ছে বললে, কম বলা হবে।
ইংরেজিতে আমরা যাকে ক্যাটস এন্ড ডগ বলি, সেইরকম মুষলধারে বৃস্টি হচ্ছে।
বাংলায় কি বলবো? ঝুমাইয়া বৃস্টি? আমি জানি না।
তবে, মনে হচ্ছে, আমরা কাল বৈশাখী ঝড়ে পড়েছি। ঝড়ের খুনোখুনির লক্ষণ জানালার বাইরে ভয়াবহভাবে ফুটে উঠছে। আমার অবশ্য এই বৃস্টি ভালোই লাগছে। কারো কারো মনে হতে পারে, আমি স্বার্থপরের মত শুধু নিজের ভালোলাগাটাই দেখলাম। এই ঝড়ে অনেক অনেক মানুষের ক্ষতি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তাও করলাম না।

নাইট কোচে জার্নি করার একটা আলাদা মজা আছে।
এই মজাটা সবচেয়ে বেশি উপভোগ করা যায় যদি আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ থাকে- এতোদিন, আমি এমনটাই ভাবতাম।
আজ, বজ্র বৃস্টির মধ্যে নাইট কোচে বসে মনে হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য। এমনকি পূর্ণিমার চাঁদের আলোর থেকেও বজ্রের আলো বহুগুণ বেশি উজ্জল হওয়ায়, ঠিক বজ্রপাতের সময় বাসের জানালা দিয়ে বাইরে যা কিছু দেখা যায় সবই প্রায় দিনের মতো মনে হয়। অবশ্য, শুধু মাত্র ক্ষণিকের জন্যে। এ এক বিস্ময়কর সৌন্দর্য, না ভাষায় প্রকাশ করা আমার লেখনীর সাধ্যের বাইরে।
কিন্তু, আমি এই সৌন্দর্য ঊপভোগ করতে পারছি না।
কারন, আবার জ্যামে পড়ছি।
আর কাহাতক, ইহা সহ্য করতে হইবে!

বাসের জানালার কাচ বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে। পানির পরিমান দেখে মনে হচ্ছে, কেউ একজন ছাদে থেকে পানির পুকুর উপুর করে ঢেলে দিয়েছে। এত্ত পানি! এরই মধ্যে, কোন এক অজানা কারনে সব গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বাস, ট্রাক, কাভারড ভ্যান এবং আবার ট্রাক। অন্য কোন গাড়ি দেখছি না। কোন ছোট গাড়ীও নেই। সব বড় গাড়ী। ওহ, ভুল বলেছি; না আছে, ছোট গাড়ি ও আছে। তবে বৃস্টিতে কাচ ঘোলা হয়ে যাওয়ায় এতক্ষন দেখতে পাচ্ছিলাম না। ওয়াইপার দিয়ে ঊইন্ডশিল্ড পরিস্কার করাতে এখন দেখতে পাচ্ছি।

বৃস্টি কমেছে।
কিন্তু, জ্যাম এখনো ছুটেনি।
আমাদের বাসের সাম্নেই একটা ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।কি লোড করা আছে, বুঝতে পারছি না।পুরো ট্রাক ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা, যেন তাদের কাছে ওয়েদার রিপোর্ট ছিল যে, ঢাকায় যাওয়ার পথে আজ রাতে সিরাম বৃষ্টি হবে। আর তাই, এরাও সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে।
যাক গে, আমি আগ্রহভরে যা খুজছিলাম, তা পেলাম না; ট্রাকের পিছনে কোন ইন্টারেস্টিং বা নীতিকথা টাইপের কিছু লেখা নাই। শুধু এক এজেন্সির নাম আর মোবাইল নম্বর দেয়া আছে।
অনেক সময়ই, মজার মজার কথা এই গাড়ীগুলোর পিছনে লেখা থাকে।
যেমন, আজ একটা চোখে পরেছিলো – আপনার গাড়ীর এয়ারব্যাগ এইখানে টেস্ট করুন।
মানুষের আইডিয়া এত চমকপ্রদ হতে পারে, তা নিজে না দেখলে অনুভব করা সত্যিই কঠিন।

জ্যাম মনে হয় এবার ছুটবে।
আমাদের ডানে আর বামে, দুই পাশের গাড়িগুলো ধীরে ধীরে এগুতে শুরু করেছে।
আমাদের বাসের ড্রাইভার লেন চেঞ্জ করে ডানে এসেছে।
আর, এখনই আগের লেনের সব গাড়ি চলতে শুরু করেছে; ঊল্টো, আমরা আটকে আছি। আমরা আগের লেনে থাকলে, এখন আমরাও যেতে পারতাম। জ্যামে বসে মেজাজ খারাপ করতে হতো না।
মাঝে মাঝে, কেন যেন এই অদ্ভুত ব্যাপারগুলো ঘটে।

যাক, শেষ পর্যন্ত আমাদের লেনের গাড়িও চলতে শুরু করেছে। তবে, কপাল কতটুকু খারাপ, এখনো আন্দাজ করতে পারছি না। কারন, দুপুর আড়াইটার সময় অলংকারের মোড় থেকে বাস ছেড়েছে। আমাদের বাস এখনো দাউদকান্দি ব্রিজ পার হতে পারেনি; অথচ, রাত প্রায় একটার কাছাকাছি বাজতে চলেছে।

পৌঁছানোর পরের, এক নতুন ঝামেলার চিন্তায় পেয়ে বসেছে আমাকে।
এত রাতে বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসা পর্যন্ত যাবো কিভাবে?
কোনমতে যদি যাইও, তারপর ?
বাড়িওয়ালার কড়া নির্দেশ, বেশি রাত করে বাড়ি ফেরা যাবে না!
তিনি আবার মেইন গেটে তালা মেরে চাবি নিজের জিম্মায় রাখেন। এই অসময়ে পৌঁছে, ঐ তালার চাবি পাবো কোথায়?
এত রাতে বাড়িওয়ালাকে চাবির জন্যে ঘুম থেকে ডেকে তোলা আর আদেশ অমান্য করে অসময়ে বাড়ি ফেরার অপরাধে বাসা থেকে বহিষ্কারাদেশ জোর করে আদায় করার মধ্যে কোন পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি না।
বরং, একের অপরাধে সকলের শাস্তিভোগের একটা সমূহ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
সেক্ষেত্রে, শুধুমাত্র আমার জন্যেই, ঐ ব্যাচেলর মেসের আরো কিছু নিরপরাধ এবং অসহায় ভৌগোলিক ব্যাচেলরগণ তাদের জীবনের একটি অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে বাধ্য হবেন!

ঢাকা আর কতদুর?
যদিও, কিলোমিটারের বিচারে বেশি দূরে নয় বলেই মনে হচ্ছে।
কিন্তু, এখান থেকে মেঘনা ব্রিজের যে দুরুত্ত্ব আর সামনে যে ভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, মনে হয় না দুই ঘন্টার আগে ছাড়া পাবো।
তার মানে, রাস্তায় জ্যামের যে অবস্থা, মনে হচ্ছে এখানেই রাত তিনটা পার হবে।
ইশ, সকালেই আমার কলিগ বলেছিল যে, মেঘনা ব্রিজেও জ্যাম ছিলো। কারন, ব্রিজের মাত্র এক লেইন দিয়ে গাড়ি চলাচল করে!

নতুন আপদের গন্ধ পাচ্ছি।
আর বেশিক্ষন আমার ফোনের স্মার্টনেস ধরে রাখা যাবে না। সেটটা পুরোনো হয়ে গেছে, ব্যাটারি লাইফ কম। পাওয়ার ব্যাংকের পাওয়ারও শেষ হওয়ার পথে। এখনি ব্যাটারি চার্জের ব্যবস্থা না করতে পারলে, বাসায় পৌঁছানোর আগেই চার্জ শেষে হয়ে যাবে।
এরপর অবধারিতভাবেই, কাউকে কল করা যাবে না। মানে হল, আজকে আর বাসায় ঢুকতে পারবো না !
বাসার বাইরে দাড়ানোর জায়গাটাও নাই, বাড়ী বানানোর সময় এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড়েনি, তাই বাড়ির বাঊন্ডারি ওয়াল আর রাস্তার মধ্যে কে যে কার জায়গা দখল করেছে, তা নিয়েও গবেষণা করা যেতে পারে।

ঝড়ের তান্ডব কিছুটা হলেও বোঝা যাচ্ছে। ভেজা রাস্তায় অজস্র পাতা, কোথাও কোথাও ভাঙা ডাল পড়ে রয়েছে। দুই একটা দোকানের বেড়া, টিনের চালে ঝড়ের ব্যাপকতার চিনহ হালকা হলেও স্পষ্ট। রাস্তার পাশে প্রায় সবস্থানেই কাদা, আর কোথাও কোথাও পানিও জমে রয়েছে। অনেক জায়গায় ইলেক্ট্রিসিটি না থাকায়, আবার ঠিক ধারণা করা যাচ্ছে না, আসলে ক্ষয় ক্ষতি কতটা হয়েছে।

বাইরে ঝড়ের প্রভাব যাই হোক না কেন, আমি বাসের ভিতরে থেকেও এখন নিজেকে ক্ষতিগ্রস্থের তালিকায় ফেলতে চাই।
তবে, আমার ক্ষতি কালবৈশাখি ঝড়ের কারনে নয়; বরং রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম এর প্রভাবে।
দুপুর ২ টার একটু আগে বাসা থেকে বের হয়েছি। এখন রাত প্রায় আড়াইটা বাজে। বাস এখনো মেঘনা ব্রিজেই উঠতে পারে নাই।

নিজের কাছেই নিজের মাফ চাইতে ইচ্ছে করছে এখন; আর কতক্ষন, এভাবে বসে থাকা যায়!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

নীল মনি বলেছেন: লেখাটা পড়লাম ;লেখকের বড্ড কষ্ট হল।

আচ্ছা পৃথিবীর সব বাড়িওয়ালা কি ওমন চাবি দিতে চাই না! :(

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমার মনে হয় না।
নিশ্চয়, ভাল বাড়ীওয়ালা আছে; যার দেখা এখনো পাইনি।
কিন্তু, অপেক্ষায় আছি।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

ক্স বলেছেন: পুলিশের অদক্ষতাই হাইওয়াতে জ্যামের জন্য দায়ী। আজকাল বাসগুলো যদি সামনে জ্যাম দেখে তো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই পাশ কেটে রং সাইড ধরে দ্রুত এগোতে থাকে। যখন উল্টো দিক থেকে আসা কোন গাড়ির মুখোমুখি পড়ে, তখন যায় আটকে। এভাবে রাস্তার দুই দিকেই গাড়ি আটকে থাকে। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে যানজটের জায়গা মাত্র দু'তিনটি - মেঘনা, দাউদকান্দি, মহীপাল ও বারইইয়ারহাট। এই পয়েন্টগুলোতে যদি রাতে হাইওয়ে পুলিশের রেগুলার টহলের ব্যবস্থা রাখে, তবে কোন অবস্থাতেই জ্যাম লাগতে পারেনা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন, আসলেই ব্যাপারটা সে ভাবেই ঘটছে।
তবে, অনেক ক্ষেত্রেই, ডিভাইডার থাকায়, গাড়ি আর রং সাইড দিয়ে যেতে পারে না।
আমিও মনে করি, কয়েকটা নির্দিষ্ট পয়েন্টে আরেকটু কাজ করলে জ্যামের এই ভয়াবহ দুর্ভোগ থেকে আমাদের নিস্তার পাওয়া যেতে পারে।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট্র একটা দেশ। দরিদ্র দেশ।
মানুষ বেশি। নানান সমস্যা তো থাকবেই।
মানিয়ে চলতে হবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: সহমত।
আমরা সবাই যার যার জায়গায় থেকেই মানিয়ে নেয়ার সাধ্যমত চেষ্টা করছি।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: শুক্রবার সকাল ১০.টায় সুগন্ধা বীচ কক্সবাজার থেকে রওনা দিলাম গন্তব্য মহিফাল।
বিকাল ৫টা নাগাদ চট্টগ্রাম ছেড়ে এসেও মহিপাল জ্যামে ৭টা বাজছে। :(

এত্ত এত্ত বিরক্তি লাগছে যে বলে বোঝানে যাবে না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার জন্যে খারাপ লাগছে।
বিরক্তি পুরোটা না হলেও কিছুটা আমিও ফিল করতে পারছি।
কারন, তিন্ দিন আগেই আমি এই দুঃসহ জ্যামে আটকে ছিলাম।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ঘটনা তাহলে সত্য। কী বিরক্তিকর অবস্থা!!!!

বিভাগীয় শহরে যেতে হলে, আমি সচরাচর ট্রেনেই যাই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমার সেই কলিগকে এই লেখার লিংক দিয়েছিলাম।
তিনি জানালেন, তার এক আত্নীয় কুমিল্লা থেকে চট্ট্রগ্রাম যেতে ৫ ঘন্টার বেশি সময় নিয়েছে।
রেল লাইনের উপর ফ্লাই ওভার নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত, এমন টাই চলতে থাকবে মনে হচ্চে।
তাই, ট্রেন সবচেয়ে ভালো উপায়।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনার আপডেট খবর কি??? মডুরা সেফ করেছে???

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৮

মাহের ইসলাম বলেছেন:
নিজাম ভাই,
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমাকে সেফ ঘোষণা করা হয়েছে।

আপনার টিপস আমার মনে থাকবে।

আমি সত্যিই খুবই খুশী হয়েছি 

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.