নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাহীন ভাবনাগুলো

মাহের ইসলাম

মাহের ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৌতুহল

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

ছবি- রুমানিয়ার সংসদ ভবন, পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বিল্ডিং।

আগের কাহিনী জানতে আশাভঙ্গ

সকালের বুখারেস্ট।
এখনো শহরের ঘুম পুরো ভাঙ্গেনি।
বাসের জানালা দিয়ে বিষণ্ণ মনে রাস্তার দুপাশ দেখছি।
শেষ পর্যন্ত রাবিয়া আসতে পারলো না! আমাকে একাই আসতে হয়েছে!

বুখারেস্ট ভার্সিটির কাছাকাছি ওল্ড টাউনে এক হোটেলে উঠলাম।
নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ফিরিয়ে দিতেই রিসেপসনিশট তরুণী কিছুটা সময় নিয়েই পুরোটা পড়লো। তারপরে চাবি এগিয়ে দিতে দিতে কিছু বিধিনিষেধ জানিয়ে দিলো। শুনে অবাক হলেও, মাথা ঝাকিয়ে ছোট করে হাসতে চেষ্টা করলাম। যা অনেকটাই বোকার মতো এক হাঁসি হয়ে গেল।

রুমের সাইজ কিংবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে মন খারাপ করার মতো কিছু নেই।
দেয়ালগুলো ঝকঝকে, এমনকি ফ্লোরের কার্পেটটা পর্যন্ত সুন্দর এবং পরিষ্কার। কিন্তু সমস্যা হলো, টয়লেট আর গোসলের ব্যবস্থা রুমের বাইরে! রুমের ভিতরে শুধু পানির ব্যবস্থাসহ একটা বেসিন আছে। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে এর আগে কখনো পরিনি। তা নাহলে, রুম চেক করেই উঠতাম। সান্ত্বনা এই যে, সারাদিন তো বাইরে বাইরেই ঘুরবো। শুধুমাত্র রাতে ঘুমাতে এখানে আসা।

তখনো জানতাম না, আমার জন্য আরো বড় বিস্ময় অপেক্ষা করছে!
টয়লেটে গিয়ে দেখি, পানি নেই। মানে, পানি ব্যবহারের কোন ব্যবস্থাই নেই।
টয়লেট পেপারই একমাত্র ভরসা।
সারা জীবন পানি ব্যবহার করে অভ্যস্থ! এখন কী উপায়?
অবশেষে মাথায় বুদ্ধি এলো।
একবারে গোসল সেরে তারপরে বাইরে এলাম।

বুখারেস্ট ট্যুর গাইডের একটা কপি হাতে নিয়ে হাটছি।
আকর্ষণীয় স্পটগুলো আগেই ম্যাপে মার্ক করে রেখেছিলাম। সেগুলোই এক এক করে দেখছি। রাস্তাঘাট, দোকানপাট, ঘরবাড়ি এবং অফিস বিল্ডিং দেখে যেরকম শুনেছিলাম, তেমন খারাপ অবস্থা মনে হচ্ছে না। আর্থিক অবস্থা হয়ত কিছু মানুষের খারাপ হতে পারে।

দৃষ্টি কাড়ল, তাদের পার্লামেন্ট বিল্ডিং।
পেন্টাগনের পরে এই বিল্ডিং হলো দুনিয়ার বৃহত্তম বিল্ডিং। তবে দুনিয়ার সবচেয়ে ভারী বিল্ডিং হিসেবে স্বীকৃত। শুধু জাঁকজমকপূর্ণ বিশালত্বের কারণেই নয়। চমৎকার নির্মাণ শৈলীরও একটা ভুমিকা আছে মানুষকে মুগ্ধ করার। প্রাক্তন স্বৈরশাসক নিকোলাই চসেস্কু এই বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা করলেও শেষ দেখে যেতে পারেননি।

ম্যাগডোনাল্ডসে ফিস এবং ভেজিটেবল বার্গারের সেট মেন্যু আছে।
দামেও পোষায়। আবার, হালাল তো বটেই।
ম্যাপে দেখলাম, আর কিছুদুর এগোলেই পাওয়া যাবে।
দাড়াতে হলো মোড়ের ট্রাফিক সিগন্যালে।
সবুজ বাতি জ্বলে উঠার আগেই একজন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে হাটতে শুরু করলো।
অন্য সবাই ফুটপাতে, রাস্তায় পা পর্যন্ত ফেলেনি। হঠাৎ এক প্রাইভেট কার সজোরে এলেও, জেব্রা ক্রসিংএ লোকটির কারণে ব্রেক চাপতে বাধ্য হয়। পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময়, ড্রাইভার জানালার কাঁচ নামিয়ে লোকটির গায়ে থুথু ছুঁড়ে টান দিয়ে চলে যায়। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই, সবকিছু অত্যন্ত দ্রুত একের পর এক ঘটে যায়। ঘটনার আকস্মিতায় বিহ্বল লোকটি হাত উচিয়ে, দাত খিঁচিয়ে চিৎকার করতে শুরু করে। ততোক্ষণে সেই গাড়ী দূরে চলে গেছে। একটু পরেই বাতি সবুজ হলে, সবাই রাস্তায় নেমে আসে। তাদের ভিড়ে লোকটাকে আর আলাদা করার উপায় থাকে না।

সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে একা একা রীতিমতো বিরক্তিকর লাগছিল।
বের হয়ে রাস্তা ধরে হাটলাম কিছুক্ষণ।
কয়েকটা সাইনবোর্ড দেখেই বুঝলাম, নির্দোষ বিনোদনের জন্যে অনেকেরই কাঙ্ক্ষিত স্থান। ফ্রেন্ডদের সাথে এ নিয়ে ঠাট্টা বহুবার হয়েছে। তারপরেও আজ কয়েক কদম দূরে দাঁড়িয়ে, ভিতরে যেতে মন সায় দিলো না। তারপরে কাছেই একটা বারে গিয়ে ঢুকলাম। ওয়েট্রেসকে যখন বললাম, তার পছন্দ মতো যে কোন একটা নন-এলকোহোলিক ড্রিংক্স দিতে। তার বাঁকা চাহনি দৃষ্টি এড়ালো না। ছোট একটা স্টেজে গান চলছে। গায়ক মনে হয় কাস্টমারদেরই কেউ একজন। ভাষা কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে ছন্দ আর বাদ্যযন্ত্রের কারণে ভালোই লাগছে।

ড্রিংক্সের গ্লাস হাতে, ত্রিশের কাছাকাছি বয়সের একজন হঠাৎ আমার টেবিলে বসলো।
আমাকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই বসে পড়াতে, স্বভাবতই বিরক্ত।
তবে বিরক্তির ভাব চোখে মুখে ফুটতে দিতে চাইছি না।
কোত্থেকে এসেছি?
কয়দিন থাকবো?
কোথায় উঠেছি? ইত্যাদি প্রশ্নের মাধ্যমে সে আলাপ জমাতে চাইছে।
তবে, এক তরফা জিজ্ঞাসাবাদের মতো হয়ে যাচ্ছে অনেকটা।
ততক্ষণে সন্দেহ জেগে উঠেছে, ব্যাটা কি পুলিশ নাকি? অবৈধ অভিবাসী মনে করেছে আমাকে?

মতলব নিজেই খোলাসা করলো, কিছুক্ষনের মধ্যেই।
সে ট্যুরিজম ব্যবসার সাথেই জড়িত। ট্যুরিস্টদের বিনোদনের ব্যবস্থা করে।
এক পর্যায়ে, সরাসরি জানতে চাইল যে, আমি মেয়ে চাই কিনা?
আরো জানালো, তার কাছে ইয়াং এবং ফ্রেস মেয়ে আছে। সবাই খুবই সুন্দরী। রুমানিয়ার মেয়েরা যে সুন্দরী সেটা আগে থেকেই জানতাম। এছাড়া সারাদিনের ঘোরাঘুরিতে স্বচক্ষে দেখার যথেষ্ট সুযোগ এই একদিনেই পেয়েছি।

এক মুরুব্বী উপদেশ দিয়েছিলেন,
- “বিদেশে যাচ্ছো, অনেক কিছুর সুযোগ আসবে। সব কিছু করতে হবে, এমন কোন কথা নেই। কিন্তু তাই বলে, দেখতে তো দোষ নেই?“ সেই অমীয় বাণী মনে পড়াতে কৌতূহলী হয়ে উঠলাম।
এতক্ষণ সে প্রশ্ন করছিল, আর আমি দায়সারা গোছের জবাব দিচ্ছিলাম।
এখন, আমি প্রশ্ন করছি। সে উত্তর দিয়ে যাচ্ছে।

এক পর্যায়ে তার ইশারা লক্ষ্য করে একটা টেবিলে তাকিয়ে দেখি এক তরুণী আমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ পরেই সে এসে আমাদের টেবিলে যোগ দিল। এখন আর তাকে তরুণী মনে হচ্ছে না। বড়জোর উঠতি তরুণী বলা যেতে পারে। লোকটি নিজে থেকেই বলল, এই মেয়েটিই কিছুটা ইংরেজি জানে। পছন্দ না হলে, অন্য জায়গা থেকে ইংরেজি জানা মেয়ে এনে দিতে পারবে। সময় লাগবে না।

ছবিঃ গুগল থেকে নেয়া।
পরবর্তী কাহিনি অসহায়ত্ব

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি বাংলাদেশ থেকে ওখানে গেছেন, নাকি অন্য কোন দেশ থেকে?

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

তুরস্ক থেকে গিয়েছিলাম।

শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।
ঈদ মোবারক।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

নতুন বলেছেন: চলুক, আপনার বলার স্টাইল ভালো....

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনুপ্রাণিতবোধ করছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

আশা করছি, পরের পর্ব দ্রুতই আনতে পারবো, ইনশা'আল্লাহ।
ঈদ মোবারক।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

জুন বলেছেন: খুবই আকর্ষনীয় লেখা যেন চুম্বকের মত টেনে রাখছে । পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দেবেন । সেই স্মিটার মত এক বছর লাগেনা যেন মাহের ইসলাম। তবে রুমানিয়ানরা খুব চতুর টাইপের ।
+

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্য শুনে অটোমেটিক্যালি মুখে হাঁসি চলে এসেছে।
ভালো লাগলো।
ধন্যবাদের চেয়েও বেশি ধন্যবাদ।

নাহ, এবার দেরী হবে না, ইনশা'আল্লাহ।
আশা করছি, ঈদের বন্ধের দিনগুলোতে এটা শেষ করে ফেলবো।

আর হ্যাঁ, আপনার কথা ইতোমধ্যে আমার জীবনে ফলেছে।
তবে, ঠিক রুমানিয়ানরা করেছে বলতে পারছি না। কিন্তু রুমানিয়ায়।
সেই ঘটনা দিয়েই আমি এই ভ্রমণ কাহিনী শেষ করবো।

ভালো থাকবেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ, আবারও।
ঈদ মোবারক।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশ বেশ !!!

আশাভঙ্গ তা হলে হলো না (অর্থাৎ এই দ্বিতীয় পার্টটা পেলাম) :)

আশাভঙ্গ রাবিয়ার জন্য ... (সুন্দরীদের সান্নিধ্য উপভোগ্য B-)) )

বিশ্বের অনেক দেশেই এমন মেয়েদের দেখা যায় (রুমানিয়ার মতো) । মায়ের স্বজাতির এমন দশা দেখে লজ্জিত হই X((

সোহানী আপুর টয়লেট নিয়ে একখানা সেই রকমের পোস্ট আছে :D

চলুক..

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে খুশী হয়েছি।
মন্তব্য তো অবশ্যই অনুপ্রেরনাদায়ক।
ভালো লাগছে, আপনার আশাভঙ্গ হয়নি শুনে।
আশা করছি, পরের পর্ব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসবো, ইনশা'আল্লাহ।

টয়লেটের এই অভিজ্ঞতার পরে, শিক্ষা হয়েছে।
জীবনে আর এমন বিপদে পড়িনি।

শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।
ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভালো লাগছে রে ভাই। চলুক - আছি চলার পথে - - - - - - -

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে ভালো লাগছে।
আপনার কথা শুনে আরো বেশি ভালো লাগছে।

বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, আপনার সাজেশন না পেলে এই লেখাটাও বড় হয়ে যেতো।
নির্দয়ের মতো কাটাকাটি করেছি।

শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।
ঈদ মোবারক।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগছে । চলুক..।
ধন্যবাদ

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০০

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার কথায় অনুপ্রানিতবোধ করছি।

আশা করছি, পরের পর্ব বেশি দেরী হবে না, ইনশা'আল্লাহ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা রইল, ঈদ মোবারক।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ।।।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০১

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনুপ্রাণিত করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রোফাইল পিক্স, সুন্দর হয়েছে। মাশাআল্লাহ।

শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।
ঈদ মোবারক।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুরুতে কেমন যেন অসামঞ্জস্য লাগলো।
গত পোস্টের শেষ লাইনে ছিল, একা গিয়ে যদি ওখানে বিপদে পড়ি।
তার সঙ্গে এই পর্বের প্রথম লাইন, সকালের বুখারেস্ট। একটু অসামঞ্জস্য লাগলো।

আপাতত এক ঝলকে পড়ে গেলাম। বেশ ভালো লাগলো।

পরে আবার আসছি।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।

আপনি ঠিকই ধরেছেন।
একা গিয়ে বিপদের সন্দেহের পরেই বুখারেস্টের সকাল।
সকালের শেষ লাইনে উল্লেখ করেছি যে, আমি একাই এসেছি এবং রাবিয়া আসতে পারেনি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।
ঈদ মোবারক।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহের ইসলাম,




দেখতে যেমন দোষ নেই, পড়তেও তেমন।
পড়েছি আবার অপেক্ষায়ও আছি। সুন্দর হয়েছে লেখা।
রুমানীয়ান সংসদভবনের মতো রুমানীয়ান তরুণীও যেন ভারী না হয়ে বসে ..... ;)

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার কথা শুনে ভালো লাগলো।
দেখে তো মনে হয়েছে, রুমানিয়ান বেশীরভাগ তরুণী ভারী নয়।
খেয়াল আছে কিনা, বিশ্ববিখ্যাত কিছু জিমন্যাস্ট রুমানিয়ার। তবে, হ্যাঁ বয়স্কাদের কথা আলাদা।

অনুপ্রাণিত করার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আশা করছি, বেশি অপেক্ষায় থাকতে হবে না।

শুভ কামনা রইল।

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



রোমানিয়ান এক ভদ্রলোকের সাথে কিছুকাল কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছিল বহুদিন আগে। খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ মানুষ। রোমানিয়া সম্মন্ধে তার কাছ থেকে কিছুটা জেনেছিলাম। আপনার পরবর্তী পোস্ট হতে দেশটির বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার সুযোগ হবে হয়তো। তবুও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের সার্বভৌম দেশ রোমানিয়ার সামান্য পরিচিতি এখানে তুলে ধরছি:

দেশটির সঙ্গে কৃষ্ণসাগর, বুলগেরিয়া, ইউক্রেন, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া ও মলডোভার সীমান্ত রয়েছে। দানিয়ুব নদী জার্মানি থেকে শুরু হয়ে ১০টি দেশ পার হয়ে রোমানিয়ার দানিয়ুব বদ্বীপে গিয়ে শেষ হয়েছে।

আধুনিক রোমানিয়ার গোড়াপত্তন হয় ১৮৫৯ সালে। আর দেশ হিসেবে রোমানিয়া নাম নিয়ে এর যাত্রা শুরু ১৯৬৬ সাল থেকে।

ওসমানিয়া সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭৭ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ট্রান্সসিলভানিয়া, বুকোভিনা ও বেসারাবিয়া যুক্ত হয়ে কিংডম অব রোমানিয়া গঠন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিকে নাৎসি জার্মানির সহায়ক বাহিনী ছিল রোমানিয়া। তবে ১৯৪৪ সালে তারা পক্ষ পাল্টে মিত্র বাহিনীতে যোগ দেয়। ওই সময় জার্মান বাহিনী রোমানিয়ার বহু এলাকা দখল করে। যুদ্ধ শেষে এগুলো আবার ফিরে পায় রোমানিয়া। যুদ্ধের পর রোমানিয়া সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। দেশটির গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে। অর্থনৈতিকভাবে নানা টানাপড়েন গেছে সেই সময়টায়।

রোমানিয়া উন্নয়নশীল একটি দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। বিশ্বের মানবাধিকার সূচকে তাদের অবস্থান ৫০তম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অগ্রগতির হার খুবই ভালো ছিল। মূলত এই সহস্রাব্দের শুরু থেকেই রোমানিয়ার উত্থান শুরু। রোমানিয়া বিদ্যুতশক্তি ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি করে। ২০০৪ সাল থেকে তারা ন্যাটোর সদস্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ২০০৭ সালে।

এক নজরে রোমানিয়া:

পুরো নাম : রোমানিয়া
রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর : বুখারেস্ট
দাপ্তরিক ভাষা : রোমানীয়
উল্লেখযোগ্য জাতিগোষ্ঠী : ৮৮ শতাংশ রোমানীয়, ৬.১ শতাংশ হাঙ্গেরীয়।
সরকারপদ্ধতি : ইউনিটারি
সেমি-প্রেসিডেনশিয়াল রিপাবলিক
প্রেসিডেন্ট : ক্লাউস ইয়োহানিস
আইনসভা : পার্লামেন্ট
উচ্চকক্ষ : সিনেট
নিম্নকক্ষ : চেম্বার অব ডেপুটিস
আয়তন : দুই লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৭ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা : এক কোটি ৯৬ লাখ ৩৮ হাজার
ঘনত্ব : প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৪.৪ জন
জিডিপি : মোট ৪৭৪.০৩২ বিলিয়ন ডলার
মাথাপিছু আয় : ২৫ হাজার ৫৩৩ ডলার
মুদ্রা : রোমানীয় লিও
জাতিসংঘে যোগদান : ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫৫।

আপনার বর্ণনায় গতিময়তা বিদ্যমান। শুভকামনাসহ পরবর্তী পর্বের প্রতীক্ষায়।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনি এতো কষ্ট করেছেন দেখে অস্বস্তি হচ্ছে।
একরাশ কৃতজ্ঞতা রইল।

রুমানিয়া নিয়ে যে পরিমাণ তথ্য ইতোমধ্যে দিয়েছেন, তাতে আমার কাজ অনেকখানি কমে গেল।
শুধু যে তথ্য দিয়েছেন, তাই নয়। আমাকে উৎসাহিতও করেছেন। খুব খুশী হলাম।

আমি যে কয়জনের সাথে মিশেছি, প্রত্যককেই আমার আন্তরিক এবং নিতান্তই অমায়িক ভদ্রলোক মনে হয়েছে।
অবশ্য, তাদের পেশাদারিত্ব এর পিছনে ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে, মানুষজনের কাছে কিছু কিছু বাজে কথাও শুনেছি দেশটির ব্যাপারে।

একটা কারণে দেশটি আমার স্মৃতিতে সারা জীবন থাকবে।
সেটি হলো, আমি পকেট মারের শিকার হয়েছিলাম বুখারেস্টে।
নিজের দেশে গাবতলিতে প্রথমবার, আর বিদেশে মাত্র একবার।
এমন স্মৃতি ভুলতে পারার কথা নয়।

ভালো থাকবেন, অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইল। ঈদ মোবারক।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় লিখে যাচ্ছেন। পড়ে আরাম পাচ্ছি।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো।
খুব চেষ্টা করছি, লেখার মান ভালো করতে।
আপনাদের মতো শ্রদ্ধ্বেয় ব্লগারদের সাহায্য আর উৎসাহ পেলে, চেষ্টা সার্থক হবে ইনশাল্লাহ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।
ঈদ মোবারক।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৪

সোহানী বলেছেন: চমৎকার আপনার লেখার হাত। যা লিখেছেন তা এক নি:শ্বাসে পড়তে পেরেছি কোথাও বাধাঁ পাইনি। সরি এমন অনেক চমৎকার লিখাই মিস করছি অনেকের কারন অনিয়মিত বলে।..... আপনার মন্তব্য ধরে পড়লাম..... আর ভবিষ্যতের জন্য ফলো করলাম। আশা করছি বাকিগুলো সব পড়বো সময় করে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩০

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে।

তার উপরে, আপনাদের মতো শ্রদ্ধ্বেয় ব্লগারদের একটা-দুইটা ছোট উৎসাহব্যঞ্জক কথাই আমাদেরকে আরো ভালো লিখতে চেষ্টায় অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই, আমাকে এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আপনার লেখার একজন ভীষণ ভক্ত আমি। না বলে পারছি না।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল,
ঈদ মোবারক।

১৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক রুমানিয়ান আমেরিকায় কাজ করে। তারা বলে সোভিয়েট আমলেই ভাল ছিলাম।
কখনো পুর্ব ইউরোপের দিকে গেলে বুখারেষ্ট ও ইস্তাম্বুল ভ্রমনের ইচ্ছে আছে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।
আমাকে সময় দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

আমি জোর সুপারিশ করবো ইস্তাম্বুল ভ্রমণের।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
ঈদ মোবারক।

১৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১০

রাকু হাসান বলেছেন:

উপভোগ্য হয়েছে । উপস্থাপনা ভালো লেগেছে । চলুক ---আপনার একটি ভ্রমণ কাহিনী পড়ে মনে দাগ রয়ে গেছে । :) অনেকের লেখা পড়তে একঘেয়েমী চলে আসে একটু পড়তেই বাট এটা সহজবোধ্য লাগছে । শুভকামনা করি । :)

১১ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে পেয়ে খুশী হয়েছি।
অসম্ভব অনুপ্রাণিতবোধ করছি, আপনার কয়েকটি কথায়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।

১৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৪১

ওমেরা বলেছেন: মুরুব্বীর উপদেশ ঠিক হয়নি, সবকিছু দেখতেও হয়না, তবে আপনার লিখা ভালো হয়েছে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: মুরুব্বীর উপদেশ যে ঠিক হয়নি, সে আর বলতে !
মাফ চাই, জীবনের মতো শিক্ষা হয়েছে।

অনুপ্রানিত করার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন। ঈদের শুভেচ্ছা।

১৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৪২

আনমোনা বলেছেন: একাই রোমানিয়া এলেন? পরের পর্বের জন্য কৌতুহলে আছি।

১১ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: জী ভাই, একাই এলাম না। আসতে অনেকটা বাধ্য হয়েছি।
দেখেন না, রাবিয়া কী করলো? আসি আসি করে, শেষ মুহূর্তে বলে মা আসতে দিবে না। কেমন লাগে?

পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চলে আসছে, ইনশা'আল্লাহ।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
ঈদ মোবারক।

১৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

বলেছেন: পুরো ইউরোপ জুড়ে রুমানিয়ান মেয়ারা প্রস্টটিউশন পেশায় জড়িত।। এরা বেশ বজ্জাৎ বলে মনে হয়ে।।

জীবন্ত বিবরণ তুলে ধরেছেন... +++++

১১ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: যদিও পুরো ইউরোপের কথা বলতে পারছি না।
তবে, মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না।
আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার লেখা কিন্তু যথেষ্ট ওজনদার মনে হয়েছে আমার কাছে।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
ঈদ মোবারক।

১৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২২

করুণাধারা বলেছেন: এই চমৎকার পোস্টের উপযুক্ত মন্তব্য নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ। ভালো থাকুন।

১১ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে এখানে দেখে খুব ভালো লাগছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

ইসিয়াক বলেছেন:

১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: সুন্দর একটা কার্ড বানিয়েছেন।
আল্লাহ্‌ আমাদের সকলের কোরবানি কবুল করুন।

ঈদুল মোবারক।

২০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৪৮

বলেছেন: আমার লেখার এমন মূল্যায়ন করে লজ্জায় ফেলে দিলেন হে গুণী।।।


আপনি তো বাপু দক্ষ কারিগর।।।

ভালোবাসা রইলো।।।

ঈদ মোবারক।।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: ঈদ মোবারক।
আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.