নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈশাখের মুখোমুখোশ

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:০৪





ছবিঃইন্টারনেট থেকে নেয়া

এতো এতো স্মার্ট যে...চামচ কিংবা কাটা চামচ ছাড়া কিছু খেতে পারে না।যদি তারা ঘটিবাটি হাতে নিয়ে পান্তা ইলিশ খায় ব্যাপারখানা হাস্যকর রকমের বেমানানই বটে।তেমনি বেমানান একদিনের বাঙালী সেজে উরাদূরা সেলফি তুলে মঙ্গল শোভাযাত্রা করে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বাঙালীর সাজে সেজে বাঙালীয়ানা ধারণ করা।
বাঙালীর মন-মানসিকতা কেমন ছিল???তাদের আচার আচরণ কেমন ছিল??তাদের সংস্কৃতি কেমন ছিল???তারা কিভাবে ঐক্যজোট ভাবে মিলেমিশে বসবাস করতো???তাদের মধ্যে দেশপ্রেম কেমন ছিল??? আমাদের ধ্যান জ্ঞান থেকে সেই সংস্কৃতি,সেই মনোভাব বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজে দিনকেদিন।
উৎসবটা হয় কেনো??তার তো অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ কারণ থাকে।বৈশাখী মানেই কি শুধু উৎসব???এর সারমর্ম কি।আদৌ কি আমরা জানতে চাচ্ছি ইদানিং ।শুধু উৎসব বলেই...করে আসছে...করে যাচ্ছি।
বাঙালিয়ানা কতটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারছি নিজকে প্রশ্ন করেছি কি কখনো???নাকি আওলা বাতাসে গা ভাসয়ে দিচ্ছি।উৎসব বলে,মনে সঞ্চার হয় "একদিন বাঙালী ছিলাম রে" এরকম কিছু???তারপর...তারপর আওলা বাতাসে,ভাওলা হয়ে গা ভাসিয়ে দেয়া।আমাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।অন্য কেউ এসে বলে দিবে না এভাবে না,ওভাবে করো।কিংবা এভাবে ভালো হয়।
ইদানীং আমাদের তরুণ সমাজের অনেকেই পশ্চিমা সংস্কৃতিতে ডুবে থাকে।কথায় কথায় ইংরজী জারলে...সে নাকি ভয়াবহ রকমের স্মাট।আর রেডিও আরজেদের জগাখিচুড়ি মার্কা কথাবার্তার মারপ্যাঁচে অনেকেই পরছে।
ইদানীং ইউটিউবে চ্যানেল খুলে...ইংরেজিতে পকপক করলেই দারুনকীর্তিমান হওয়া যায় কিংবা নিজেকে বড় কীর্তিমান ভাবতে শুরু করে।আর প্রাইভেট ভার্সিটিতে চর্চা করা হয় ইংরেজি ভাষা।যেখানই থাকে প্রতিভা বিকাশের সময় কিন্তু ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে ইংরেজি কীর্তিকলাপ।ইংরেজ আমাদের পিছু ছাড়েনি আজ অব্দিও।
হিন্দতেও দেখছি ইদানীং বাঞ্চিত করতে।রীতিমত আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমরা লাফ দিয়া কারে উইঠা গেছি।।। পুরাই হযবরল অবস্থায় আমাদের ভাষায়, আমাদের সংস্কৃতিতে।দ্বিতীয় লিঙ্গরা এখন সমঅধিকার দাবি করে রীতিমত পুরুষদের সাথে পাল্লা-দিয়ে শার্ট-প্যান্ট পরা শুরু করছে।এটা নাকি ডিজিটালাজেশনের ব্যাপার স্যাপার।বাঙালীর সংস্কৃতি অতলে তলিয়ে যাচ্ছে দিনকে-দিন।এটাই কি নিয়ম...? সংস্কৃতি থাকবে,হারিয়ে যাবে,আবার অন্য সংস্কৃতি অনুপ্রবেশ করবে জগাখিচুড়ি ভাবে।
নাকি আমরা অতিমাত্রায় অতিরঞ্জিত হয়ে যাচ্ছি।ধরাকে সরা করে ফেলছি।বক্রপথে হাঁটছি।সরল পথে আসার পথ সংঙ্কুল।এতো মিশ্রতা কেনো আমাদের মাঝে???আমরা কি জাতি হিসেবেই মিশ্রজাতি???
হুজুগে ভাঙালী কি তাহলে সত্যি সত্যিই।দেখা যাচ্ছে চিলে কান নিয়েছে বলে চিলের পিছনেই দৌড়চ্ছি...কান,কানের জায়গায় আছে কিনা হাত দিয়ে দেখার সময়ই পাচ্ছি না।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমাদের সচেতনার ঘাটতি কালক্ষেপণে রয়েই যাচ্ছে।আমাদের প্রকৃত শিক্ষায় ভরাডুবি।আমরা সহজেই ভালোমন্দ দিক উপলব্ধি করতে পারছি না।যতই বলছি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি তত মাথায় তালপরে তালতব্দাহীন হয়ে পড়ছি। আমরা প্রতি ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছি,পিছপা দেই।
শিক্ষার হার সরকার যতই বাড়াক না কেনো...বিবেকর শিক্ষায় হেরি যাচ্ছি আমরা প্রতিনিয়তই ।
বৈশাখে আমরা যে মুখোসে লুকায় তারমধ্যে কি আমরা আমাদের অনিশ্চয়তাকে লুকাচ্ছি???যেখানে আধুনিকতার জোয়ারে নাবিক হীন নৌকার মতো কুল কিনারা খুজে পাচ্ছি না।ভেসেই যাচ্ছি,ভাসিয়েই দিচ্ছি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লিখেছেন , চেষ্টা করতে করতেই একদিন এটা সঠিক গতি পাবে ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০১

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: পরিবর্তন করা কিন্তু আমাদেরই হাতে।।।।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঘর থেকে বের হওয়ার একটা বাহানার দরকার...

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: বাহানার তো শেষ নাই... :D :D

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


নববর্ষের দিন কি করা ঠিক হবে?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: লেখাতে "?" এই চিহ্ণতে যে প্রশ্নগুলো আটকানো আছে তার উত্তর খুজুন।।।আপনাআপনিই পেয়ে যাবে কি করা ঠিক হবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.