নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদি নাকি আধুনিক

০৬ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৩০



ইতিহাস পড়ে জানতে পারি আদি মানুষ দিগম্বর ছিল..তারপর আস্তে আস্তে মানসিক উন্নতির ফলে আস্ত মানুষে রূপ নিতে থাকে।প্রথমে আগুন জ্বলানো তারপর লজ্জা নিবারনের জন্য গাছের পাতা,ছাল-বাকল,পশুর চামড়া পরিধান করা শুরু করে।ইদানিং ফ্যাশনের যে কারিশমা চোখে পরে ছিড়া-ফারা,টোটা-ফাটা,অর্ধনগ্ন,আধো আবৃত,আধো অনাবৃত... সেটাকে গাছের পাতা,ছাল-বাকল,পশুর চামড়া পরিধানের সাথে তুলনা করলে বোধহয় ভুল হবে না।তারা কি লজ্জা নিবারনের জন্য এগুলো করছে নাকি আধুনিকতার ছোয়ায় উন্মুক্ত করে নিজেকে আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরেছে।যার ফলে ফুলের মধুর আকর্ষণে মৌমাছিরা দল বেধে ছুটে আসছে...বৃদ্ধি পাচ্ছে ইভটিচিং,বাড়ছে ধর্ষণের মতো ভয়ংকর ঘটনা।
তাহলে কি ক্ষীণ মানসিকতার আদি যুগের মানুষেরাই অত্যানুধিক ছিল ??উপসস?? নিজেক আকর্ষণীয় করতে সবাই চাই তাই বলে আধুনিক যুগে আদি যুগে ফিরে যাওয়ার তো কোন মানেই হয় না।এরকম পোষাক আশাককে...কি বলে আক্ষায়িত করা যায় অতি মাত্রায় অত্যাধুনিক নাকি লজ্জা নিবারণ নাকি লজ্জা বারণ ।এগুলো যৌনক্ষুদা উসকে দেয়ার কারণ নয়কি???
ইতিহাসের পুনরাবৃতি ঘটে,পুনরাবৃতি ঘটে মানুষের সংস্কৃতি ।আধুনিক ভাবে অত্যাধুনিক সুরে।সুরে তাল মিলানোর আগে বুঝেশুনে তাল মিলানোই শ্রেয়।যদি মানসিকতার কথা বলি,তাহলে বলতে হয়...পশ্চিমা সংস্কৃতিতে টাইট ফিটিং পড়লে ওদের সমস্যা না হলেও আমাদের সংস্কৃতিতে সেটা বেমাননি বটে।কারণ তারা তাদের সংস্কৃতি দেখে অবস্থ,মানিয়েও চলছে...তাদের প্রোক্ষাপট ভিন্ন।দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের সাথে কখনো সামজ্ঞ্যতা হয় না...খাপ খায় না...এটাই স্বাভাবিক।
আমরা চায়নিজ ভাষাকে যেমন জজ্ঞাল,বিদঘুটে মনে করি,খাপ খাওয়াতে পারি না,গিলতে অসস্তিকর লাগে তেমনি পশ্চিমা সংস্কৃতি জজ্ঞালেপূর্ণ,বিদঘুটে ,আমাদের সংস্কৃতিতে গিলতে অসস্তিকর বোধ হওয়াটাই স্বাভাবিক নয়কি।
ধরি যদি যুগের সাথে গায়ে পাঙ্খা লাগিয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে গিলানো মেয়ে।সে তার মায়ের সাথে যাওয়ার পথে মেয়েটাকে যদি কেউ হট বলে সেটা কি আমরা আদৌ মানতে পারবো???কিন্তু পশ্চিমা সংস্কৃতিতে সেটা নিছক একটা কথ্য মাত্র।
তেমনি আমাদের সংস্কৃতি মানতে পারে না ছিড়া-ফারা,টোটা-ফাটা,অর্ধনগ্ন,আধো আবৃত,আধো অনাবৃত কাউকে দেখে।আমার মনে হয় এরা অসুস্থ মস্তিষ্কের ।আধুনিকতার নামে এরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।
সময় এখন এদের সুস্থ পরিবেশ তৈরী করে দেয়ার নচেৎ আধুনিকার জোয়ারে ভেসে কোথায় ঠেকে কে জানে।উন্নত মস্তিষ্কে অবনতির আশঙ্খাটাই যে বেশ লক্ষ্যনীয়।আদিযুগে না হয় মানসিকতা ক্ষীণ ছিল এবং পরিধানের প্রয়োজনীয় কিছু ছিলো না বিধায় বলে গাছের পাতা,ছাল-বাকল,পশুর চামড়ায় লজ্জা নিবারণের চেষ্টা করতো কিন্তু আধুনিক যুগে,উন্নত মানসিকতায় এসেও যদি এরকম গাছের পাতা,ছাল-বাকল,পশুর চামড়ার ব্যবহার দেখায় তা দৃষ্টিকটু ,বেমানানি বটে সাথে বুদ্ধিলোপকৃত আধুনিক আবাল বলা ছাড়া উপায় নেই!

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাসার ভেতরে পাখী

০৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: পাখি বলেই কি অতিবিশ্রিত উড়ার নেশা!!!!!

২| ০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছবির অবস্থা সমাজেরও।

০৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: এতে করে আধুনিকতা বাড়ছে নাকি আবেদনময়ীতা বাড়ছে

৩| ০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

নাগরিক কবি বলেছেন: =p~ আসলে আমরা এখন অতি আধুনিক। ইউরোপিয়ান / বৃটিশ দের আমারা অনেক আগে দেশ থেকে তাড়িয়েছি। কিন্তু কালের বিবর্তন এ আমরা তাদের এতটাই ফলো করছি যে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে। :(

০৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: প্রশ্ন তো এখানে আমরা কি আদৌ বাছবিচার করে ফলো করছি নাকি চিলে কান নিয়েছে শুনে চিলের পিছনেই ছুটছি

৪| ০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: বাসার ভেতরে পাখী :D

০৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: পাখিরা এখন বাসায় যেতেই মশগুল

৫| ০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

মানবী বলেছেন: পোস্টে ব্যবহৃত ছবিটি নিঃসন্দেহে পোশাক শিল্পে রিভার্স গিয়ে আদিম কালের দিকে যাত্রা বা পৌঁছে যাবার কথা বলে। ঝিবনের সকল ক্ষেত্রের মতো পোশাকে শালীনতা কাম্য।

তবে ছবির ই পোশাক দেখে যদি কারো বিশেষ বাসনা জাগে তাহলে তার কাঁটা তারের বিছানায় ঘুমানো উচিৎ!! :-)

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ মাকসুদ আলম মিলন।

০৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: ছবিটাতো প্রতিকী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে একটু বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যে. . . ছিড়া-ফারা,টোটা-ফাটা,অর্ধনগ্ন,আধো আবৃত,আধো অনাবৃত কথাগুলোর সাথে আশেপাশে মিলানোর জন্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি!!!!

৬| ০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

মানবী বলেছেন: ছবিটি মানুষের নয় একটা ডামির।
আর পোশাকটি উত্তেজক পোশাক নয় বরং সকলকে তিন হাত দূরত্ব বজিয়ে রাখারই আহ্বান করে।

০৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: দূরত্ব বেশী নয়.. . তিন হাত দূরত্ব বজায় রেখেই আপনি ছিড়া-ফারা,টোটা-ফাটা,অর্ধনগ্ন,আধো আবৃত,আধো অনাবৃত কথাগুলোর সাথে সহজেই মিল পাবেন আশেপাশেই!!!!

৭| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৪৬

মিঃ আতিক বলেছেন: আপু মনিরা আধুনিকতার নামে সব কিনছে, ঈদ টা আসতে দেন জামা হয়ে যাবে বাহুবলি রাহুবলি সব দেখবেন বাজারে সুপার হিট।

০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: হুজুগে বাঙালী তো তাই বলে... এর থেকে বেরিয়ে আসবে এটাই বাঞ্চনীয়!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.