নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউ স্বর্ণ জিতে,কেউ স্বর্ণ হারায়

১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫






ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের আন্তর্জাতিক শুটিংয়ে নতুন যুক্ত হওয়া মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে ইতিহাসের প্রথমে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সোনা জিতেছেন আবদুল্লাহ হেল বাকি ও সৈয়দা আতকিয়া হাসান দিশা।আর অন্যদিকে সম্প্রতি ধর্ষণ নিয়ে আলোচনার তুঙ্গে উঠা আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে শাফাত ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফ।এটাও বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলা চলে,প্রথমে ধর্ষণের মামলা নিয়ে পুলিশের গড়িমসি মনোভাব দেখালেও।আসামীরা ধনীর দুলাল পাশাপাশি ক্ষমতাবান বলে পার পেয়ে যাওয়ার পাইচারী করছিল।পরে পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করার ফলে বাধ্য হয়েছে পুলিশ মামলা নিতে।এখন অবশ্য আপন জুয়েলার্সের অবৈধ কুকর্ম সব সুর সুর করে বেরিয়ে আসছে।কথা হচ্ছে শুটিংয়ে দুজন এবং ধর্ষণকারী দুজন মোট চারজনই তার মা বাবার কাছে সোনামণি,স্বর্ণের টুকরো,অমূল্য রতনের ন্যায়।শুটিংয়ের দুজন বাংলাদেশের তথা তাদের মাবাবার মুখ স্বর্ণউজ্জল করেছেন অন্যদিকে ধর্ষণ কারী দুজন তাদের মা বাবার মুখে চুনকালি লেপ্টে দিয়েছে।এর কারণ অবশ্য পরিবার,সমাজ ব্যবস্থা,রাষ্ট্র ব্যবস্থার অপরিপক্বতার ফল ।যেখানে আইনের প্রয়োগ শিথিল সেখানে বেআইনি ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক নয়কি ।
ইদানীং পত্রপত্রিকা,টকশো,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখতে দেখি,বলতে শুনি যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে,বখে যাচ্ছে ।বিশেষ করে ইভ টিচিং,ধর্ষণ কিংবা ঐশীর মতো কোন ঘটনা ঘটলে সোচ্চার হয়ে উঠে গণমাধ্যমগুলো।ফলাও করে খবর ছাপতে থাকে,মানব বন্ধন হয়,টকশোতে ঝড় উঠে,আলোচনা হয় ,সমালোচনা হয়।তখন যুব সমাজ বখে যাওয়া,বিপথে যাওয়ার কারণ খোজা হয়,সমাধান খুঁজে বের করা হয়।কিন্তু সেটা অ-বাস্তবিক বলা বা লিখেই খালাস।বাস্তবায়ন করার মতো মনোভাব দেখি না।শুধু বলে বা লিখেই তৎপরতা দেখালে হবে কি? করতে বাস্তবায়ন,দেখাতে হবে বাস্তবায়ন করার কৌশল স্ব-চিত্রে।
যুব সমাজ বখে যাচ্ছে বলে,বখে যাওয়া নিউজকে অতিমাত্রায়,অতিরঞ্জিত ভাবে উপস্থাপন করলে কিংবা দৃষ্টান্ত স্বরূপ শাস্তি না দিলে বখে যাওয়ার মাত্রাটা বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক নয়কি।
ইদানীং যুব সমাজে তথ্যের অভাব নেই,মনস্বত্ববোধ তৈরির জায়গার বড্ড অভাব ।জানানোর চেয়ে প্রেক্ষাপট তৈরি করাটা অতিভ জরুরি।এই করলে সেই হয়।এগুলো সকলেই জানে এখন মানার প্রেক্ষাপট তৈরি করাটাই আসল।কবি তাই বলেছেন "কথায় না বড় হয়ে,কাজে বড় হতে"।তাই কথার চেয়ে কাজে বড় মনোযোগী হলে,স্বর্ণ হারার চেয়ে স্বর্ণ জিতার শতকরাটা বাড়বে বৈ কমবে না।গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের দর্পণ।এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন ঘটনা গুলো উপস্থাপিত হয়,সচেতন হয় আর সচেতনমূলক প্রেক্ষাপট তৈরি করার জায়গাটা এর উপরেই বর্তায়।
খবরের ভিত্তিতে যেমন ধর্ষণকারী ধরা হয়েছে তেমনি খবরের ভিত্তিতেই মানুষকে সচেতন করতে হবে।ধর্ষণের মূল উপরে উপরে ফেলতে হবে।কারণ এবং সমাধান সহ। প্রেক্ষাপট তৈরি করে,প্রেক্ষাপট বাস্তবায়ন করে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীতে সবচাইতে অদক্ষ অযোগ্য পুলিশ এদের ধরতে পারল শুধু মিডিয়ার কারণে!

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: মিডিয়া যে পৃথিবীর দর্পন স্বরূপ।।।

২| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আগে তো মিডিয়া বললেও জর্জ মিয়াকে হাজির করত @ঢাকাবাসী
এখন তাও এ্যাকশান হচ্ছে...ভিত্তি ধরে টান ...........৫৮০ কেজি স্বর্ন জব্দ...রেইন ট্রি হোটেল এর বিরূদ্ধে মামলা...

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: মিডিয়ার কাজই হচ্ছে ঘটনার পিছনের ঘটনা তুলে ধরা

৩| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মিডিয়ার কারণে পুলিশ এখন আগের চাইতে অনেক সৎ...

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: সত্যটা প্রকাশ.. .অসৎ এর হাটে হাড়ি ভেঙে দেয়া!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.