নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূরন্ত বয়সে,উড়ন্ত ভাবনা

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১০




ভাবনাগুলো যেন পাখির ডানায় ভর করে উড়তে থাকে,ইচ্ছে করে পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলো গায়ে মাখতে ।নতুন ভাবনার উন্মোচন,যেন রোমাঞ্চিত প্রতিফলন।একটু হেরফেরে কিংবা ভিন্নতায় উচ্ছাস জাগে মনে।আবেগ আপ্লোত হই,পল্লবিত হই।গতানুগতিক ধারার গতিবেগ যতই তীব্র হোক না কেনো,ভিন্ন ধারার স্বাদ পেতে আগ্রাসী মনোভাব যেন উঠেপড়ে লাগে।
ঘর থেকে যখন বেরিয়ে পড়ি তখন যেন অন্য জগতে পর্দাপন করি।এই নম্রভদ্র ছেলে হয়ে উঠে চঞ্চল,চৌকষ,দূরন্ত,দূর্দান্ত।এই যেন আমি নই অন্য কেউ আমার প্রতিনিধিত্ব করছে।এই যেমন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে মজা পাই দূর্দান্ত ,পরিশরে।ঘটনা কিংবা অঘটনের বিশ্লেষণে।নতুন মুভি,গানের আলোচনা-সমালোচনায়,তর্কবিতর্কে জমে উঠে আড্ডা।হুট করেই মুভি দেখার পরিকল্পনা কিংবা দূরে কোথাও ভ্রমনের আয়োজনের উন্মোচন হয়।জীবন যেন পুরো মধুময়!এর বাইরে জীবনকে উপভোগ করার কিবা থাকতে পারে।
জয় পরাজয়ের আকাঙ্খা যখন ভাবনায় ভর করে তখন উদীপ্ততা বৃদ্ধি পেতে থাকে।ভিডিও গেমিং এ কার আগে কে এগিয়ে কিংবা ক্রিকেট,ফুটবলে কোন দলের হার কোন দলের জিত নিয়ে শুরু হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।নিয়ম ভাঙতেই যেন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।কিভাবে পড়া ফাঁকি দেয়া যায় এর জন্য প্রতিনিয়ত মিথ্যাগল্পের তালবাহানার বৃথাচেষ্টা চলে অবিরত।
নতুন কিছু দেখার আকাঙ্খা সবসময় তাড়না দেয়।আর এখন যেহেতু আকাশ প্রযুক্তির যুগ আমদের যেন ঐদিকেই জোগ বেশি।কেন জানি পাঠ্যবই থেকে ফেসবুকেই মজা পায় অধিক।কে কি স্টেটাস দিচ্ছে?কে কি ছবি আপলোড দিচ্ছে?কে কি কমেন্ট করছ? কত লাইক পাচ্ছে? আর এখানেও কার চেয়ে কে এগিয়ে প্রতিযোগিতা তৈরী হয় আর প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আকাঙ্খা,আবেগ ত্বরাণীত হয়।উসকে উঠে,উচ্ছাসে মাতি।
বর্তমানে আকাশ প্রযুক্তির ফলে যেহেতু হাতের মুঠোয় পাচ্ছি পৃথিবী সেহেতু আর দেরি কিসের।বাস্তবে চাঞ্চল্যকর ঘটনা কিংবা দূর্ঘটনা দেখলে যেমন থমকে যায়। কি হচ্ছে না হচ্ছে উৎঘাটন,উপলব্ধি করার চেষ্টা করি ঠিক তেমনি গুগলে কিংবা ইউটিউবে অনুসন্ধান করলে সহজেই পেয়ে যাচ্ছি চাঞ্চল্যকর ঘটনা কিংবা দূর্ঘটনা।বিস্ময়,অবাক হওয়াটা অবিরত হওয়ার ফলে বিস্ময়,অবাক হওয়াটা বোধকরি হ্রাস পায় । আমাদের চোখ আরাম পায় সেগুলো দেখে।একধরনের ক্ষুদা তৈরী হয়।যা না দেখলে যায় যায় অবস্থা।
আগে যেহেতু আকাশপ্রযুক্তি ছিল না। চিত্তবিনোদনের জন্য প্রযুক্তি ছিল ক্ষীণ ফলে সুযোগও ছিল কম,চাহিদাও কম।সপ্তাহে একদিন ছুটির দিনে নাটক,ছবি দেখার সুযোগ হতো।কিন্তু এখন প্রযুক্তি বিল্পবের ফলে এক ক্লিকেই পাওয়া যাচ্ছে দেশীয় ছবি,নাটক থেকে শুরু করে বিদেশী সব কিছু... যখন তখন,হরহামেশাই।
মানুষের আবেগ,আকাঙ্ক্ষা ক্ষুধার মতো।তিন বেলা পরিমিত খেলে মানুষ বাঁচে।মানুষ অভ্যাসের দাস।আবার যখন তিন বেলায় খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে তার আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাবে, চাহিদা বেড়ে যাবে পাকস্থলীতে।মনে হবে বেশী না খেলে সে বাঁচবে না,শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হবে না।
মানুষের আকাঙ্ক্ষা,আবেগ তদ্রূপ ক্ষুধার মতো।এখন মানুষ অল্পতে তুষ্ট নয়।আর যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে সহজে,হরহামেশাই তাহলে আকাঙ্ক্ষা,চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি। মানুষের খাবারের তালিকার মতো চোখকে এখন বেশী দেখিয়ে অভ্যাস করে ফেলছি তাই চাহিদার পরিমাণটাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনকে দিন।মনোরঞ্জনে রঞ্জিত হচ্ছি সীমাহীন ভাবে।
অতিরিক্ত খেলে যেমন বদহজম হয় তেমনি অতিরিক্ত ভার্চুয়ালে আসক্তি বদহজম হওয়াটাই স্বাভাবিক নয় কি।এখন আপনার হাতেই সব।হয়তো আপনি চাইলে পরিমাণের চেয়ে অধিক ভক্ষণ করে উইয়ের ঢিবির মতো ভুরি উঁচু করে রোগ বাধাতে পারেন অথবা পরিমিত ভক্ষণ করে শরীর,স্বাস্থ্য,মন ভালো রাখতে পারেন সাথে অন্যদের ছাড়িয়ে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।
দুরন্ত বয়সে উড়ন্ত ভাবনা,উড়ন্ত ঘুড়ির মতোই।যেদিকে ইচ্ছা সেদিকেই পরিভ্রমণ করাটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে সেটার দিক-নির্দেশনা,ভালো-মন্দের বিচারকের নাটাই কিন্তু আপনার হাতেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দুরন্ত বয়সে উড়ন্ত ভাবনা,উড়ন্ত ঘুড়ির মতোই।যেদিকে ইচ্ছা সেদিকেই পরিভ্রমণ করাটাই স্বাভাবিক। না, এটাও ধীরে ধীরে বয়সের সাথেই পা্ল্টে যাবে।। উড়ন্ত ঘুড়ির মতই।।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫৩

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: এখানে দূরন্ত বয়সটাকেই উপস্থাপন করা হয়েছে।বয়স বৃদ্ধি তো কালের প্রবাহের মতো প্রবাহমান।।।।সেটার গতিবিদ সম্পূর্ণ আলাদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.