নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"শেষ ভাল যার,সব ভালো তার"

১৯ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৭



গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলার নাম যখন ক্রিকেট তাহলে র্যাঙ্কিং এ আট নাম্বরে থাকা পাকিস্তান দল যে চ্যাম্পিয়ান ট্রফি জিতবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে একজন মানুষের জীবনে যতটানা অঘটনা ঘটে তারচেয়ে বেশী বোধহয় ক্রিকেটেই ঘটে হরহামেশাই।তা না হলে কে জানতো এই নতুনদের গড়া,হিমশিম খাওয়া পাকিস্থান দলের হাতে শিরোপা উঠবে।
যে দলের শুরুটা ছিল মিনমিনে,অগোছালো,হিমশিম।প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে নাকানিচুবানি হার,মূলপর্বের প্রথম ম্যাচেই হুচট।দ্বিতীয়,তৃতীয় ম্যাচে একটু ঘটা করেই জানান দিল তারা হারতে আসেনি,ক্রিকেটের তকমা দেখাতে এসেছে।র্যাকিয়ে ১নান্বর চোকারখ্যাত দল সাউথ আফ্রিকাকে ২১৩ রানে প্যাকেট,তারপর ভারতের সাথে জিতা উড়ন্ত দল শ্রীলংকাকে বধ এবং সেই থেকে শুরু হলো চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে পাকিস্তান দলের ট্যাজিডি লিখা।চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সবচেয়ে আলোচিত,রঙছড়ানো,হাইভোল্টেজ দল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে।ভাবা যায়!!! যে দলের শুরুটা এতো বাজে সেই দল ফাইনাল খেলবে।ক্রিকেটে শেষ বল দেখা না পর্যন্ত কে জিতবে?কে হারবে? বলা মুশকিল।প্রশ্নসূচক চিহ্ণ বিদ্যমানই থাকে।
অনেকে আগেভাগে ভেবেই নিয়েছিল ভারতের হাতেই উঠবে এবারের চ্যাম্পিয়ান ট্রফি।একমাত্র শ্রীলংঙ্কার সাথে পরাজয় ছাড়া অন্য কোন দলের সাথে পরাজয় নেই।ভারতের ব্যাটিং-বোলিং এর দাপটও ছিল লক্ষ্যনীয়।
আর মাঝখানে ঘটে যাওয়া কয়েকটা রূপকথার গল্প না বললেই নয়।বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি,সাথে অসন্তুষ্টি নিয়ে র্যাকিয়ে ২নাম্বার থাকা অস্ট্রেলিয়ার মতো দল চ্যাম্পিয়ান ট্রফি থেকে ছিটকে পরা।নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয়ের রূপকথার গল্প লিখে সেমিফাইনালে বাংলাদেশর অবতরন।অন্যগ্রুপে পাকিস্তান-শ্রীলংকার সেমিফাইনালের নির্ধারনী ম্যাচে শ্রীলংঙ্কার বিধায় ঘন্টা বাজানো।সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ান ট্রফি,ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ান কিংবা জমে উঠা ক্রিকেটের কারিশমা দেখতে পেরেছে ক্রিকেট প্রেমিরা।
সবকিছু ছাপিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ভারত অন্যদিকে পাকিস্তান ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট পায়।চিরপ্রতিদন্ধি ভারত-পাকিস্থানের ফাইনাল বলা হলেও পাকিস্তানের পরিসংখ্যান,অপরিপক্কতার ছাপ দেখে অনেকে নিশ্চিত ছিল চ্যাম্পিয়ান ট্রফির কাপটা ভারতের হাতেই উঠবে।ক্রিকেট তো গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা,পরিসংখ্যান কিংবা র্যাকিং কোন কিছুর ধার ধারে না। বিশেষ করে গৌরবময় অনিয়শ্চতা পাকিস্থান দলেই বেশ ঘটা করেই ঘটে অহরহ।তাদের সহজ ম্যাচ কঠিনকঠিন ম্যাচ সহজ করার প্রমাণ ক্রিকেট ইতিহাসে অহরহ।
চিরপ্রতিদন্ধি দুই দলের ফাইনালে,সব আকাঙ্খা,সব নিশ্চয়তা,সব অনিশ্চয়তা,সব জল্পনা কল্পনা ছাপিয়ে ভারতকে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারটা অস্বস্থিকরই বটে।অনেকটা একতরফা,একঘেয়েমী ম্যাচ বলা চলে। পুরো ম্যাচ জুড়ে পাকিস্তানের দাপট।চিরপ্রতিদন্ধির ফাইনাল ম্যাচটা জমতে গিয়েও যেন জমলো না।ভারতকে একরাশ আক্ষেপ দিয়ে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলার নামকে উজ্জ্বলদৃষ্টান্ত স্বরূপ করে রাখলো পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ান ট্রফি১৭ এর ট্রাজিডি লেখার কাজটা সম্পন্ন করলো পাকিস্তান দল সাথে "শেষ ভাল যার,সব ভালো তার" এর উদাহারণ স্বরূপ দাপট দেখিয়ে দিলো!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.