নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ডুব" এ ডুবতে পারেনি দর্শক!

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২



মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী অব্যশই বড় মাপের পরিচালক।তার ভিন্ন ধাচের পরিচালনায় বাংলা ছবিতে পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।তার গল্পের প্লট,ভিন্ন মাত্রার পরিচালনা,সিনেমার ডায়লগ সব মিলিয়ে ছবিতে ভিন্ন মাত্রার ছাপ যেন খোঁজে পাই।থার্ড পারসন সিঙ্গোলার নাম্বারের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা তার তুঙ্গে।একে একে ব্যাচেলর,পিপড়া বিদ্যা,টেলিভিশন ছবিতেও তার অসাধারণ সুনিপুন দক্ষতার ছাপ উল্লেখযোগ্য।আমি একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে তার ছবি বিশ্লেষণ করার দুঃসাহস করি না।তবে ব্যক্তিগত মতামত বলতে গেলে "ডুব" সিনেমাতে দর্শককে ডুবাতে পারিনি পরিচালক।একজন খ্যাতমান পরিচালকের সব সিনেমাই যে সুপারডুপার হিট হবে,আলোড়ন তুলবে তা তো নয়!উন্থান পতনের একটা উত্তল অবতল দিক তো থাকবেই ।

তুমুল আলোচনা সমালোচনা যে ছবিকে ঘিরে সে আকারে তুলকালাম ঘটাতে পারেনি ডুব সিনেমাটি।একরাশ আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে দর্শকদের।ডুব সিনেমার সমালোচনা যে কারণে হয়েছে তা জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহম্মেদের বক্তিগত জীবনি নিয়ে।সত্যিকার অর্থে সেদিকেই দৃষ্টিগোচর করেছে পরিচালক।গল্পটা সম্পর্কে মোটামুটি অনেকের আংশিক ধারণা থাকলেও সিনেমাতে ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি পরিচালক,আংশিকতাই যেন ঘিরে রয়েছে ছবিতে।ইরফান খানের বাংলা বলার অক্ষমতা, ছবিতে ক্যামেরার এঙ্গেল,ড্রোন এর ব্যবহার যর্থাথতা পায়নি।একটা শিথীলতা ভাব রয়েছে যেন পুরো ছবিতে সে কারণে দর্শকরা মনোযোগ ধরে রাখতে পারেনি।খাপছাড়া খাপছাড়া ভাব রয়েছে পুরো সিনেমা জুড়েই।ছবিতে আবেগঘন মুহূর্তগুলো কেন জানি দর্শকদের মনোযোগ এড়িয়ে গেছে।ছবিতে ক্লাইমেক্স গুলো নিন্তাতই ছেলেমানুষী মনে হয়েছে।ছবিতে শর্টের ধারাহিকতা না থাকায় দর্শদের ডুব সিনেমাতে না ডুবার একটি অন্যতম কারণও বটে।

তবে ডুব সিনেমায় ডুবে যাওয়ার মতো সিনেমার "আহার জীবন" গানটাই কেবল বিশেষত্ত্ব বহন করে।ছবির ডায়লগগুলো অসাধারণ ছিল,গল্পের প্লট ভালো ছিল,শুধু ভরাডুবি ঘটিয়েছে সিনেমা তৈরীর কাঠামোতে।ঠান্ডা মাথার বিশ্লেষণ করা আর্ট ফিল্ম খ্যাত সিনেমাটিতে দর্শকদের প্রশ্নবিদ্ধ করবে সিনেমাটির ভাবলেশ বিহীন উপস্থাপনা নিয়ে।বলা চলে একরকম তুলকালাম রটিয়ে ভরাডুবিতেই ডুবেছে "ডুব" সিনেমা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যত গর্জে তত বর্ষেণা,
এটা গুণীজনের বানী

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৮

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ফারুকী আস্তে আস্তে উন্নতি করছে, এটা বুঝা যাচ্ছে।

তবে, তাকে আরো যত্নবান হতে হবে নিজের প্রতি।

তাকে বুঝতে হবে হুটহাট করে ছবি/নাটক করে ফেলার চেয়ে, সময় নিয়ে সেগুলো করতে হবে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০০

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: হুটহাট তাড়নায় হুচট শব্দটিই যায় তার সাথে!!!!

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

হাফিজ হুসাইন বলেছেন: আসলে প্রথম আলো আর নামিদামি মিডিয়া গুলোই এই সিনেমাকে বেশী পাবলিশড করেছে। এই মিডিয়া গুলি না লিখলে কেউ নামই শুনত না। "খোজ দ্যা সার্চ" সিনেমা যেভাবে মানহীন সুপারফ্লপ হওয়ার পরেও মিডিয়ার কল্যানে পরিচিতি পয়েছিল।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০১

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: অতি প্রচার অতি প্রসারের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে অতি ফ্লপের কোঠায়!!!!

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৩

ফ্রেজার বলেছেন: মস্তোফা ফারুকী অনেক বড় পরিচালক - তাল গাছের মত!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০২

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: :D :D

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

আরিফ রুবেল বলেছেন: ওনার অনুসারীদের বক্তব্য পড়ে মনে হয়েছে সিনেমাটা আসলে সমতলে বা সিনেমা হলে দেখার মত না। মগ ডালে বসে লুঙ্গি কাছা দিয়ে তারপর দেখলে একমাত্র এর মূল সুর বোধগম্য হওয়া সম্ভব। সিনেমা নিয়ে আমার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কিন্তু নেগেটিভ রিভিউর তোর সামলাতে ফারুকী অনুসারীরা কথিত ভাইব্রেদররা যা শুরু করছে তা অনেকটা বড় রাজনৈতিক দলের মাস্তানদের মত মনে হয়েছে আমার কাছে। এলিট শিল্পবোদ্ধা মাস্তান, এরা মর্ত্যের নয় সরাসরি সপ্তম আসমানে বসে সিনেমা বানায় এবং বোঝে।

সিনেমাটা ব্যতিক্রমী, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কখনই মেইনস্ট্রিম মুভি এটা না।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৫

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: সহমত। প্রেক্ষাপট তো নয়ই সাথে ছবি তৈরীর কাঠামোগত ভাবে অনেক ঘাটতি রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.