নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পের ফাঁদ

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৩৫




মোবাইলের ভাইব্রেশন কম্পনে কাঁপছে মাহিমের পড়ার টেবিল সাতে কাঁপছে তার নিথর দেহ, স্বচকিত চিত্ত,কপালে চিন্তার রেখাতেও ভাঁজ পড়েছে,হাইহুতাশ সাথে অজানা কোন এক আতঙ্ক উস্কে উঠছে মনে। এরকম উভয় সঙ্কট পরিস্থতির প্রত্যাবর্তন ঘটবে,দল বেধে ধেয়ে আসা বিপর্যয়ের সম্মুক্ষীণ হতে হবে মাহিম কল্পনাও করতে পারেনি। কল্পনাতীত বিষয় গুলোর উদয় হয় যেন হরহামেশাই মানুষকে বাধ্য করে আশ্চর্যতার সম্মুক্ষীণ হতে।
একদিকে পরিবারের অন্ধেরষষ্ঠী মাহিমের মা বাবার স্বপ্ন অন্যদিকে স্বপ্নার স্বপ্নের বাস্তবতা যেকোন একটিকে বলিদান করতে হবে আজ রাতেই। ভাগ্য নির্ধারণ মুদ্রার যেকোন একপিঠকে প্রাধ্যান্য দিয়ে জয়ের সিদান্তে উপনীত হতে হবে নয়তো সে নিজেকে কোনদিন ক্ষমা করতে পারবে না,নয়তো বাসযোগ্য পৃখিবী তার জন্য নয়।
গল্পের ফাঁদে খুব সূক্ষভাবে রহস্যের জাল ছড়ানো হলেও ছোট ভুলে যেমন গোয়েন্দার কাছে জব্দ হতে হয় নাটের গুরুকে তেমনি আবেগবশত ছোট ভুলের জন্য জব্দ হতে হচ্ছে,জীবন যেন সংকীর্ণ,জড়াজীর্ণ,রহস্যময়তা তৈরী হতে যাচ্ছে। যদি তাই বা না হতো তাহলে ঐ সময়টাতে ঐ বয়সে আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন এক সিদ্ধান্তে বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি যা ক্ষমার অযোগ্য।
জম্মলেগ্নের ভালোবাসা আর আশ্রিত ভালোবাসার সুযোগ সন্ধানী প্রয়াস। দ্বিপক্ষীয় অকৃত্রিম,নিরেট সঞ্চিত ভালোবাসা লগ্নে নিজেকে নগণ্য কীট মনে হচ্ছে। যার বেঁচে থাকার অধিকার নেই,অধিকার নেই পৃথিবীর আলো দেখার!
স্বপ্নাকে প্রথম দেখে মনের শিহরন দমাতে পারিনি। স্বপ্নার স্বপ্নতে ধরাশায়ী হয়ে উন্মুখ হয়ে থাকতাম কখন সে আসবে? হাসবে? কথা বলে প্রাণবন্ত করবে আমার চিত্তকে। মনের কথাটা স্বপ্না যে অকপটেই বুঝে নিবে আমার ধারনাই ছিল না। ১৪ই ফ্রেরুয়ারি আমাকে চমকে দিয়ে সদ্য লাল গোলাপ হাতে প্রেম নিবন্ধন করে পুঁজিবাদিকে প্রশ্নছিন্ন করলো। হৃদয় ছিন্ন করে স্বপ্নার স্বপ্নতে ভরাডুবি আমার চিত্তাকর্ষণ। লম্বচ্ছেদ করে যখন সরর রেখার উপর আস্তে আস্তে সরল কোণে নিপাতনে সিদ্ধ হতে যাচ্ছে তখন বিপ্রতীপ কোণে সন্নিবেশিত হয়ে প্রাচীর হয়ে দাড়িয়েছে তার বিয়ে আমার লেখাপড়া। পাত্র পক্ষ নাকি ১৪ ফ্রেরুয়ারি দিনটাকে স্বরণীয় করে রাখতে,শুভ দিন মনে করে বিয়ে ঠিক করেছে আর আমার জন্য দিনটা অশুভ দিনের মধ্যে একটি।
সময়ের এক ফোড় অসময়ের নব্বই ফোড়ের অসহনীয় যন্ত্রনা গ্রাস করছে মাহিমকে। হয়তো মা বাবার স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত,স্বপ্নার স্বপ্নকে লুণ্ঠিত করতে হবে নয়তো মা বাবার স্বপ্নকে লুণ্ঠিত,স্বপ্নার স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত রূপ দিতে হবে নতুবা নিজেকে বাসযোগ্য পৃথিবীতে বাসযোগ্য হীন করে তোলা! কম্পনরত মোবাইলের মতো এখন কম্পমান তার হিমসিম মিশ্রিত দোলায়মান দুটি স্বপ্ন। ঘড়ির কাটা ইতিমধ্যে ১২ টা অতিক্রম করেছে ১৩ই ফ্রেরুয়ারি গত হয়ে মাহিমের সেই অশুভ ১৪ই ফ্রেরুয়ারির গল্প লেখা হচ্ছে। মাহিম এখনো কোন সিদ্ধান্ত স্থির করতে পারেনি। মাহিমের চিন্তার রেশ টেনে লেখকও চিন্তিত এই পর্যন্ত লেখার ইতি টেনে লেখক চিন্তা মগ্ন হয়ে মনে মনে ভাবছে গল্পটা তিন ভাবে উপস্থাপন করে তিন ভাবেই ইতি টানা যায় যা গতানুগতিক নিয়মের সাংঘর্ষিক হবে না আবার এও করা যায় পাঠককে অনিশ্চয়তা সূচক প্রশ্ন রাখা গল্পের সাথে যাদের চলমান ঘটনা সামঞ্জস্যপূর্ণ তাদেরকে প্রশ্ন করে ভরকে দেয়া,নয়তো পাঠককে কাঠগড়ায় দাড় করানো,এমন পরিস্থিতির সম্মুখীণ হলে তারা কি করবে? গল্পে ফাঁদ তৈরী করতে অনেকে ভালোবাসাকে বলি দেয়,কেউ জয়ী করে আবার কেউ মজনু হয়ে পথে পথে ভালোবাসা খুঁজে। বাস্তবিক ভালোবাসার গল্পগুলোও এমনি হয়তো বিয়োয়ান্ত নয়তো যোগোয়ান্ত নতুবা উন্মাদ! স্থান,কাল,পাত্র না মেনে অনিশিচত ভবিষ্যৎ যে ভালোবাসায় সে ভালোবাসার গল্প না হয় অনিশ্চিয়তায় ডুবে থাক!
নিকষ কালো আঁধারের শেষ হতে যাচ্ছে,গল্প লেখাও শেষ হতে যাচ্ছে কিন্তু মাহিমের ঘোর এখনো কাটেনি…….

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর। ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.