নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩৬০ ডিগ্রি হা হা কার !!!

২৪ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:০২




ক্রিকেট কতটা শৈল্পিক এবং কতটা সহজ হতে পারে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দৃষ্টিনন্দিত ক্রিকেট কারিশমা না দেখলে বুঝতাম না। আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্স সংক্ষেপে এবি ডি ভিলিয়ার্স আরো সংক্ষেপ এবং সহজে এবি আর ক্রিকেটকেও তিনি সহজ করেছেন সব ফরম্যাট এবং সব ক্ষেত্রে। ব্যাটিং,উইকেট রক্ষক,ফিল্ডিং এমনকি বোলিং; ক্রিকেটে এহেন কোন জায়গা নেই যে তার পদচারনা না আছে। আর রেকর্ডের দিক থেকেও এবি’র রয়েছে তকমা লাগানো সব কীর্তি।
ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে ক্রিকেটের ২২ গজের ক্রিজে ৩৬০ ডিগ্রি এ্যাগেল মাঠে প্রতিপক্ষ বোলারদের বলকে যাচ্ছেতাই বানিয়ে নিজের খেয়ালখুশি মতো সব এ্যাঙ্গেলে বাউন্ডারি মারা তার কাছে যেন মুড়িমুড়কি মতো। ইচ্ছে করলেই যেন বলকে ব্যাটের স্রোতে ভাসিয়ে যেদিকে ইচ্ছা সেদিকে পাঠাতে পারেন। আর সেজন্য তো এবি’র চেয়ে ৩৬০ ডিগ্রিতেই পরিচিতি তার বেশি।
এই ক্রিকেট বিস্ফোরকের ব্যাটিংয়ের জ্বলকানি, ব্যাটিং তান্ডবে বিপক্ষ দলকে নাস্তানাবুদ করার শিরোনাম গণমাধ্যমে অহরহ ই চোখে পড়ে। সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি (৩১ বলে ১০০) ভাগ বসিয়েছেন কম বলে হাফসেঞ্চুরির (১৬ বলে ৫০) রেকর্ডে পাশাপাশি দ্রুততম ১৫০ (৬৪বল) রানের রেকর্ডও তার দখলে; যা এক ইনিংসে একই সাথে। এছাড়া রয়েছে একদিনের বিশ্বকাপ ইতিহাসে তার অসাধারণ সব কীর্তি। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ৮২ বলে ৯৯ রান করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ও দলকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৪১/৬ নিয়ে যান। খেলায় তিনি যে-কোন বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক ২০ ছক্কা মেরে রেকর্ড গড়েন। এছাড়াও সকল বিশ্বকাপে সর্বাধিক ছক্কা (৩৬) হাঁকান তিনি। পরবর্তীতে বোলিং করতে এসে ৩ ওভারে ২/১৫ লাভ করেন।
আর উইকেট রক্ষক হিসেবে "এবি ডি ভিলিয়ার্স একটি টেস্ট ম্যাচে সর্বাধিক আউট করে এখন বিশ্বরেকর্ডের সমান অংশীদার। বর্তমানে আরসি রাসেল ১৯৯৫/৯৬ মৌসুমে জোহানেসবার্গে ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার খেলায় ১১টি আউট করে এ রেকর্ডটি গড়েছিলেন।" এছাড়াও তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৭ বলে অপরাজিত ১০৩ রান করেন। এর ফলে তিনিই বিশ্বের প্রথম উইকেট-রক্ষক হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরিসহ দশটি আউট করেন। আর ফিল্ডিংয়ে তিনি কম যাননি সেরা এবং চমকপ্রদ ক্যাচের কীর্তি তিনি হরহামেশাই লুফে নিয়েছে।
ক্রিকেটের আপাতমস্তক যেন ৩৬০ ডিগ্রিতেই তেই খুঁজে পাওয়া যায় আর নামটাও যেন যথার্থ। ক্রিকেট ইতিহাসে তারকা হিসেবে খচিত হয়েছে যেমন স্যার ডন ব্রাড ম্যান,ব্রায়ান লারা,শচিন টেন্ডুলকারের নাম তেমনি সম্প্রতি ক্রিকেট ইতিহাসে খচিত হওয়া এবি নামক তারকা যেন খসে পড়লো ক্রিকেট মহাকাশ থেকে। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তার অবসর নেয়া সবার কাছেই ধাক্কার মতো লাগছে কারণ ৩৬০ ডিগ্রির তান্ডব আর দেখা যাবে না আন্তজার্তিক ক্রিকেটে, দেখা যাবে না ৩৬০ ডিগ্রির শৈল্পিক ব্যাটিং কারিশমা। এ যেন ৩৬০ ডিগ্রি এ্যাগেল মাঠে ৩৬০ ডিগ্রির না থাকার হা হা কার !!!!


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৩

মাহফুজ বলেছেন: কেনো যে মায়া বাড়িয়ে এভাবে হঠাৎ এরা চলে যায়!

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: আপসুস...

২| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: এটাই নিয়ম।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: নিয়ম হলে মেনে নিতে কষ্ট হবে কেন..?

৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একদিন তো অবসর নিতেই হবে।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: সেটাই কিন্তু আচমকা কেন.... তার তো ব্যাটের জ্বলকানি এখনো তো জ্বল জ্বল করছে....।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.