নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকসুদ আলম মিলন

মাকসুদ আলম মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি কেন গরিবের ভাউজ ?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩



রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদ স্পষ্টভাষী,রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,সমস্যা সম্পর্কে হাস্য রস্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। তার স্বভাব সুলভ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জের মিশ্রিত রসাত্মক বক্তৃতায় গুরূত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে যা সাম্প্রতিক বিষয় কিংবা সমস্যা সমাধানে দূরদর্শিতা প্রকাশ পায়। আমাদের দেশে রাজনীতিবিদদের নিয়ে এহেন অভিযোগ কম নয়। স্বাধীণতার পর দেশ শুরুর অগ্রভাগ থেকে রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার দাপট,ক্ষমতার অপব্যবহার প্রকট থেকে আরো প্রকট হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতির বক্তৃতায় উঠে এসেছে রাজনীতি প্রকাটাপন্ন অবস্থার কারণ এবং সমাধান।

অনুষ্ঠানে তিনি রাজনীতিকে গরীবের ভাউজ (ভাবী) বলে উল্লেখ করে বলেন গ্রাম্য ভাষায় একটা প্রবাদ আছে “গরিবের বউ সকলের ভাউজ” আর (ভাউস মানে ভাবী) এখন রাজনীতি হয়ে গেছে সেই গরিবের বউ সকলের ভাবীর মতো। যে কেউ যখন তখন রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিচ্ছে ফলে রাজনীতির স্বকীয়তা,মৌলিকতা,গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে। রাজনীতি জনবান্ধব না হয়ে হয়ে যাচ্ছে ক্ষমতা জাহির করার মাধ্যম।

দেখা যাচ্ছে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ব্যবসায়ী,বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি থেকে শুরু করে অবসর প্রাপ্ত সরকারী আমলা,আর্মি জেনারেল,সেনাপ্রধান,সরকারি সচিব,প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি,কেবিনেট সেক্রেটারি,জায়েন্ট সেক্রেটারি,পুলিশের উর্ধ্বতন ডিআইজি,আইজিরাউ রাজনীতি মুখী হচ্ছে। রাজনীতিতে ঢুকার নিয়মনীতির কোন বালাই নেই। এই প্রাসিঙ্গতা টেনে রাষ্ট্রপ্রতি গরিবের বউ সকলের ভাবী বলে রসিকতার কৌশলে ব্যঙ্গার্থক ভাবে ব্যখ্যা করেছেন। রাজনীতিকে গরিবের বউ সকলের ভাবীর সাথে তুলনা করে বুঝিয়েছেন বর্তমান সময়ের রাজনীতির দীনতা এবং চরিত্রহীনতাকে।

অনুষ্ঠানে তিনি প্রশ্ন রাখেন আমি যদি বলি আমি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান,রাষ্ট্র পরিচালনা করছি অনেক বছর, আমি কি ডাক্তার হতে পারবো ? প্রশ্ন হচ্ছে এখানেই,যেমন রোগীর সেবা করা আর দেশের সেবা করা এক নয়, তেমন দালান কোঠা কিংবা নির্মাধীন কাঠোমো তৈরী আর দেশের কাঠামো তৈরী করা এক নয়,ব্যবসা পরিচালনা করা আর দেশ পরিচালনা করা সম্পূর্ণ ভিন্ন,বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেয়া আর দেশের দায়িত্ব নেয়া আলাদা বিষয়,সেনা নিয়ন্ত্রন করা আর দেশ নিয়ন্ত্রন করার তফাৎ অনেক,আদালতের কার্যনীতি আর দেশ পরিচালনার কার্যনীতি এক নয়,নিয়ম শৃঙ্খলা বাহিনীর শৃঙ্খলা নীতি আর দেশের শৃঙ্খলা নীতি এক নয়। আর সমস্যাটা হচ্ছে এখানেই। বর্তমানে রাজনীতিতে এতো অস্থিরতা এবং এতো সমস্যা কেন ? রাজনীতি কেন গরিবের বউ সকলের ভাবী ? রাজনীতিতে ঢুকার নীতিগত দিক এবং পেশাগত দিক নেই বললেই চলে যার ফলে রাজনীতিতে চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। তৃণমূল পর্যায়,মাঠ পর্যায় থেকে রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে খুব স্বল্পসংখ্যক নেতায়। রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদে ছাত্ররা শাখের করাত হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, হচ্ছে রাজনীতি বিমুখী। ছাত্র রাজনীতির মূল ভিত্তি ডাকসু নির্বাচন নিয়েও চলছে টালবাহানা। একদিকে ছাত্র রাজনীতি,তৃণমূল রাজনীতি রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদে সংকুঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে বিভিন্ন পেশাজীবি,ব্যবসায়ী,ভিন্ন নীতিগত লোকের রাজনীতিতে ঢুকার পথ প্রসারিত হচ্ছে। ফলে হারাচ্ছে রাজনীতির বৈশিষ্টতা,স্বকীয়তা,মৌলিকতা। রাজনীতিবিদদের সাথে দূরত্ব বাড়ছে জনগণের, প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে রাজনীতি,বাড়ছে সামাজিক অস্থিরতা।

ক্ষুদ আমেরিকায় ডোনাল্ট ট্রাম্পের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার সে দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজমান এবং জলন্ত প্রমাণ। ডোনাল্ট ট্রাম্প ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তাহলে সহজে উপলদ্বি বিষয় হচ্ছে, তৃণমূল এবং ছাত্র সমাজ থেকে যদি রাজনীতি নেৃতত্ব উঠে না আসে তাহলে বর্তমান এবং ভবিষৎ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সুখকর নয়। মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বলছি, ছাত্র সমাজ এবং তৃণমূলকে রাজনীতিতে উৎসাহিত করার,যুক্ত থাকার এবং রাজনীতিবিদ তৈরী করার পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং সাথে আরেকটি গুরূত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রাজনীতিতে সংযুক্তের নীতির শক্ত একটা ভিত থাকা অত্যাবশ্যক বলে মনে করছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: দেশের রাজনীতিতে ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহন করা মানেই
জনসাধারনের মাঝে দুর্ভোগ নেমে আসা ।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

সাইন বোর্ড বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.