নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক বড় মাপের একজন মানুষ হতে চাই। কারণ- ভালোবাসার মানুষটির নাম ছোট্ট কোন মঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে বলতে চাইনা, ভালবাসার মানুষটির নাম বড় কোনো মঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে বলতে চাই।আই লাভ ইউ (মা)

কাইকর

ফিল্মমেকার/নাট্যকার, গল্পকার। বাংলাদেশ টেলিভিশন মিডিয়া। ।এক পৃথিবী লিখতে চাই।Facebook/Abdullah AL Mamun(কাইকর)

কাইকর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ংকর মানুষ! (সাইকো গল্প)

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৮



আমি মানুষ খুন করতে অনেক ভালোবাসি। এখন অব্দি এগারো জনকে খেলখতম করেছি।আমার শখের একট গোপন কুঠরি আছে।সেখানে রাজ্যের বই। সাহিত্যচর্চা করতেও খুনের মতো ভালোবাসি। সুবোধ ঘোষের বই পড়ি বেশিরভাগ। বাবা অনেক প্রভাবশালী ছিলেন।বাবা এই নিষ্পাপ পৃথিবী ত্যাগ করার পড়ে, সমস্ত সম্পত্তির ভাগিদার হয় আমি।বাবা মারা যাবার কিছুদিনের মাথায় মাও পরলোকগমন করে।গুলশান নিকতনে দুইটা বিশাল ফ্ল্যাটবাড়ি আছে।ব্যাংকে বাবার রেখে যাওয়া কোটি টাকা আছে।আর কি লাগে জীবনে। ছোট বেলা থেকেই মানুষ খুন করার প্রতি আমার প্রচন্ড নেশা ছিল।এ কেমন যেন নেশা! টাকার দাপটে শহরের উঠতি মডেল আর সুন্দরীদের বিছানায় নিয়ে আসতাম।
গতরাত্র এসেছিল অপ্সরা। দেখতে দিব্বি বলিউড নায়িকা প্রিয়ংকা চোপড়া। আমি কফির সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়েছিলাম অপ্সরাকে।তারপর বেশ আরাম করেই ঘুমাচ্ছিলো।আমি আমার কালো ঠোঁট অপ্সরার ঠোঁটের মধ্যে পুরে দিয়ে কিচ্ছুক্ষণ সোহাগ করলাম।বাজার থেকে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে এনেছি স্পেশাল ধারালো ছুড়ি। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। অপ্সরা ঘুমিয়ে যাবার পড়ে, ছুড়ি দিয়ে গলার মাঝ বরাবর একটা পোজ মারলাম। সে ঘুমচোখে আমার দিগে বিস্ফোরিত নিষ্পাপ চোখে তাকিয়ে থেকে বিদায় নেয়।আমি তার গায়ের উপর উঠে বসে, ধারালো ছুড়ি দিয়ে গজ গজ করে পাড় মারতে লাগলাম নাভির একটু উপড়ে। রক্ত ছিটে এসে মুখের উপর পড়লো। বেশ আরাম পাচ্ছিলাম তখন। খুন করে আমি কম দামী বাংলা মদ ঢকঢক করে গিললাম। ডেটল সাবান দিয়ে গাঁয়ে লাগা সব রক্ত ধুয়ে নিলাম। পাশেই রবিশস্কর একমনে সেতার বাজিয়ে চলছে।আমার বাসায় বড়-বড় দুইটা ডিপফ্রিজ আছে। খুন করে আমি ওখানেই ভঁড়ে রাখি। মন যক্ষণ চাই তখন নিরজন কোথাও ফেলে রেখে আসি।আমি সুবোধ ঘোষের বই পড়ে বাকী রাতটা কাভার করে দিলাম। সকালবেলা
সূর্যের আলো চিরযৌবনা হয়ে আমার মুখের উপর এসে পড়লো। আমার আবার একটা বধ অভ্যাস আছে।অতীত কখন ওই মনে পড়ে না।প্রতিদিন সূর্যের আলোর মতোই নতুন করে পৃথিবীতে আসি।সকালবেলা আমার টাকার গোলাম মজিদ মদ দিতে এসে বলল,স্যারগো গ্রাম থ্যাইকা একটা কচি কুমারী মাইয়া লইয়া আইছি।লাগবো নী? আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক উত্তর দিলাম। মজিদ সবকটি হলুদ দাত বের করে হাসতে হাসতে বিদায় নিলো।
রাতে ভরপুর মদ খেয়ে রবীন্দ্র সংগীত শুনছিলাম।মজিদ তার কথামতো গ্রামের কচি কুমারী মেয়েকে দিয়ে গেলো।আমি কিছুক্ষণ মাতাল হাসা হাসলাম। মেয়েটা বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে দেখছে আমাকে।আমি আবার কোন প্রকার ভনিতা পছন্দ করিনা। পকেটের মধ্যে হাত দিয়ে গোপাঙ্গন চুলকাতে চুলকাতে বললাম, ওই ফক্কিনির বাচ্চা অমন কইরা কি তাকাইয়া দেখছিস! আয় কাছে আয়।আমি জোর করে প্রাকৃতিক কাজটা সারলাম। ছোট কচি কুমারী তাই হয়তো শয্য না করতে পেরে, অজ্ঞান হয়ে গেছে। অজ্ঞান হলো না কি হলো সেটা মূখ্য বিষয় না। মূখ্য বিষয় খুন করা! আমি পাশের রুম থেকে ধারালো ছুড়ি নিয়ে এসে,গলার মধ্যে গজগজ করে কয়েকটা পার দিতে লাগলাম। গলা থেকে রক্ত ছিটে এসে,আমার মুখের উপর পড়লো। মেয়েটার চোখ দুটো বন্ধুকের গুলির মতো ছুটে বের হতে চাইছিল।আমি ঘার কাৎ করে এলোপাথাড়ি কোপ বসাতে লাগলাম মুখের উপর।পায়ের রকগুলো কাটতে গিয়ে আর কাটলাম না।পাশেই রবীন্দ্র সংগীত চলছে।আমি ওয়াশ রুমে ঢুকে, আচ্ছামতো লাক্স সাবান দিয়ে পুরো শরীলে লেগে থাকা মানবীক লাল রক্ত ধুয়ে নিলাম।
সুবোধ ঘোষের বই পড়ছিলাম ফ্রেশ হয়ে এসে।যেন কিছুক্ষণ আগে কোন কিছুই ঘটেনি। সবকিছুই বিচক্ষণ। সবকিছু সাধারণ।
আঁকাশের চাঁদটা হঠাৎ কালো মেঘে ঢেকে গেল।একটা বাদুর হঠাৎ চমকে উঠলো। আমিও অস্তিত্ববোধ করছিলাম। আমি সুবোধ ঘোষের মনটাকে রেখে,আমার সূক্ষ লালচে দাত ও হলদেটে চোখটা আয়নার সামনে খুব মনযোগ দিয়ে দেখি। গভীর রাতের হাহাকার নিস্তব্ধতায় নিলির্প্ত এই চোখের দৃষ্টি জীবিত কোন আয়না দেখলে ঠিক কেঁপে উঠতো।
_____________________

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪০

মুচি বলেছেন: গল্পটি ভালো লাগলো। গল্প আরো সামনে বাড়ুক।

কয়েকটি বানান ভুল দৃষ্টিপীড়া দিল শুধু।

০২ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৪৪

কাইকর বলেছেন: অনুপ্রেরণা। ধন্যবাদ আপনাকে

২| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৮

হবা পাগলা বলেছেন: গল্পটা সুন্দর। সাইকরা যে শুধু খুন করে, তাহা নয়, আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের সাইকো বিদ্যামান, অনুগ্রহ করে সাইকোদের নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী ( প্রকার, আচরন, সমস্যা, সমাধান ইত্যাদি ) পোস্ট লিখলে পড়ে ভালো লাগত।

০২ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

কাইকর বলেছেন: এরপর বিস্তারিত লিখবো

৩| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:১০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অসংখ্য ভুলে ভরা জগাখিচুড়ি মার্কা গল্প। এই গল্প পড়ে পাঠকের ঠিক কোন উপকারটা হবে? বিনোদন বলতেও তো কিছু নেই। এটাকে যদি আপনি সাহিত্য বলতে চান তাহলে বলব আপনাকে সাহিত্যের সংজ্ঞা নতুন করে জানতে হবে। টোটালি রাবিশ!

সমালোচনাটা একটু কড়া ভাষায় করলাম। এসব পড়ে পাঠকের রুচি কখনও উন্নত হবে না। সাইকো গল্পের শুরু-শেষ কোনটাই নেই। আপনি আরও পড়ুন, জানুন, তারপর লিখুন। ব্লগে এই প্রথম কারো লেখার এমন সমালোচনা আমার হাত থেকে বের হল। মনে কিছু না নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন।

০২ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৪৭

কাইকর বলেছেন: ভাই আপনার খারাপ লাগতে পারেই। সব গল্প সবার ভাল লাগবে এটা কখনোই হয় না। উপরের দুজন কিন্তু ঠিকই ভাল লেগেছে বলে মন্তব্য করেছে।ধন্যবাদ

৪| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট এর কথার সাথে আরেকটু যোগ করি।
আপনি নতুন বলে উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেকে পড়ে, কমেন্টও করে। তবে এভাবে চলতে থাকলে আপনি পাঠকও হারাবেন বলেই আমার ধারনা।

আপনার প্রতিভা আছে। বিভিন্ন ধরনের লেখা দেয়ার চেষ্টা করেন। লিখে পোষ্ট করার আগে কয়েকবার পড়েন, অনেক ভুল, অসঙ্গতি চোখে পরবে। আপনার উত্তোরোত্তর উন্নতি কামনা করছি।
আশাকরি, সমালোচনাকে পজিটিভলী নিবেন। ধন্যবাদ।

০২ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫২

কাইকর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি সবসময় সমালোচনা পজিটিভ ভাবে নেই

৫| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

শায়মা বলেছেন: আমি আরও একটু যোগ করি ভাইয়া.......

পুরাই তালগোল পেকে গেছে গল্পে। কোনো কারণহীন থিম। সাইকো গল্প হলেও তাতে কোনো না কোনো থিম থাকে। পরিসমাপ্তি থাকে এটার কিছুই নেই বরং গা ঘিনঘিনে একটা ব্যাপার আছে।

আমারও মনে হয় গল্প নিয়ে ভালোভাবে ভেবে তারপর লিখতে হবে। অনেক পড়তে হবে। ভাষার ব্যবহার আর বানানগুলো বার বার চেক করে নিতে হবে।

চেষ্টা করলে কি না হয়। সত্যিকারের গল্পকার হতে চাইলে সুষ্ঠ চর্চা অবশ্যই এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনেক অনেক শুভকামনা।

০২ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

কাইকর বলেছেন: মনে থাকবে....

৬| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ২:০৬

উদাস মাঝি বলেছেন: সবার সাথে তাল মিলিয়ে আমারও কছু বলা দরকার

কাইকর তোমার সব লেখা একই ঘরানার হচ্ছে যা একটা বিরক্তিকর ব্যপার ।
আমার পরামর্শ হচ্ছে, লেখ কম পড় বেশি । শুধু সুবোধ আর রবীন্দ্রনাথে আটকে থাকলে
হবেনা । দেশ- বিদেশের আরও সাহিত্যিক লেখকের বই, পত্রিকা পড় ।
জানার পরিধি, জ্ঞানের পরিধি বাড়াও ।

নিজের গণ্ডি থেকে বের হও । নতুন কিছু এক্সপেরিমেন্ট কর ।
আমার বিশ্বাস তুমি তা পারবে ।

০২ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪

কাইকর বলেছেন: অনুপ্রেরণা। আপনার কথা মাথায় নিলাম

৭| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩৫

সোহানী বলেছেন: হুম, সবার মন্তব্যের সাথে একমত। হঠাৎ খুনের পর খুন গল্পের আকর্ষন একটু ম্লান করে তারচেয়ে তার ভয়াবহতা বা একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়াটা গল্পকে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। হামা ভাই বা হাসান মাহবুব ভাই দারুন সাইকো গল্প লিখে। উনার গল্পগুলো আমার পছন্দ।

০২ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫৫

কাইকর বলেছেন: আচ্ছা সময় পেলে আমিও পড়বো...

৮| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৮:১০

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: গল্প ভাষা থেকে অকথ্য ভাষা বেশি ছিলো। অকথ্য ভাষা কয়েকটা শব্দই অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটে। আপনার লেখা পড়ি তবে সবগুলো নয় । এই সময়টা এ ধরনের গল্প না , বুজতে হবে। কিছু অগোছালো কথা মনের চিত্তে আটকে থাকে যেইটা পড়ার উৎসাহ দূর করে দেয়।

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

কাইকর বলেছেন: মাথায় নিলাম।ধন্যবাদ আপনাকে

৯| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন:
আপনি লেখার সময় তাড়াহুড়া করবেন না।

আমার একটি গল্প আছে। পড়ূন।

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

কাইকর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.