নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক বড় মাপের একজন মানুষ হতে চাই। কারণ- ভালোবাসার মানুষটির নাম ছোট্ট কোন মঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে বলতে চাইনা, ভালবাসার মানুষটির নাম বড় কোনো মঞ্চে দাঁড়িয়ে থেকে বলতে চাই।আই লাভ ইউ (মা)

কাইকর

ফিল্মমেকার/নাট্যকার, গল্পকার। বাংলাদেশ টেলিভিশন মিডিয়া। ।এক পৃথিবী লিখতে চাই।Facebook/Abdullah AL Mamun(কাইকর)

কাইকর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক রাতের গল্প(ছোট গল্প)

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৫


ভার্সিটি পড়ুয়া কাইকর সুদর্শন ও কবিসুলভ হওয়ায় খুব সহজেই মেয়েরা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়।ডিপার্টমেন্টের অধিকাংশ মেয়ে তার লেখা প্রেমের কবিতা ও ভালোবাসার গল্পে ডুবে থাকে! কাইকরের উদাস চাহনি ও লেখায় বিভোর হয়ে অনেক রমণী তো তার প্রেমে ডুব দিতে চাই।ফ্লাট করে বেড়ানো কাইকর ও সেসব সুযোগ ছাড়ে না কোনোভাবে।তার প্রেমে পড়ুয়া রমণীদের খুব সহজেই কবিসুলভ কথাবার্তা় আর দুটো ভালোবাসার রঙিন ফানুস খোলা আকাশে উড়িয়ে দিয়ে বিছানায় নিয়ে যায় সে।এভাবে যে কত রমনীর ফানুস আকাশে উড়িয়ে দিয়েছে সে তার হিসেব নেই!

বাবা জমিদার হওয়ায় শহরে এসে একখানা বিশাল ফ্লাট বাড়ি নিয়ে একা একাই থাকে সে।রাতবিরেতে কত নারী যে ঢেউ তুলে যায় এই ফ্ল্যাটে তার হিসেব কষা কঠিন!
আকাশে ঝুম বৃষ্টি।চারদিকে অন্ধকার।কাইকর একা একা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে নিজের লেখা কবিতা বিড়বিড় করছে।হঠাৎ করে কানের মধ্যে আসা শুরু করলো টুংটাং রিমঝিম শব্দ।এক কামুক রমণীর দুপায়ে ঝড় তুলা নুপুরের শব্দ! সে রুমের মধ্যে ঢুকতেই কামুক রমণী দেবী লীলার মতো আওয়াজ তুলে হাসতে শুরু করে।আকাশের গর্জনের সাথে দেবী লীলার হাসি মিলে তৈরি হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক আওয়াজ।

কাইকরের নার্ভ শক্ত।মনে মনে ভয় পেলেও চিৎকার চেচামেচি করে বাড়ি মাথায় তুলে না সে।বাইরে মেঘের গর্জনে মেয়েটা চমকে উঠে তার দিকে তাকায়।
এই কামুক রমণীকে বছর তিনেক আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনেকবার এই ফ্ল্যাটে এনে ধর্ষণ করেছিল সে।একরাতে ভালোবাসার রঙিন ফানুস আকাশে উড়াতে চাইলে বাধা দেয় মেয়েটা।কাইকর জোর করাতে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দেয় মেয়েটা।সেদিন রাতে খুব করে কষে-টষে বেঁধে কুকুরের ন্যায় ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছিল মেয়েটাকে।কিছুদিন লাশটাকে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেবার পর লাল গাড়ি করে গভীর রাতে ফেলে দিয়ে আসে গভীর জঙ্গলে।

মেয়েটা কাইকরের দিকে অনেকটা সময় গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।বৈরী ঠান্ডা আবহাওয়াতেও দরদর করে ঘামতে থাকে সে।তার ঘন্টা খানেক পর কাইকরের রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায় তার পুরুষাঙ্গ।
গত সাতদিন কাইকর নিখোঁজ থাকায় পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসে দেখে, কিছুদিন আগের আস্ত জলজ্যান্ত মানুষ টা কাত হয়ে পড়ে রয়েছে বিছানার উপর ।সিলিং ফ্যানের পাখার সাথে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে তার পুরুষাঙ্গ!!
পুলিশ ফোন দেয় কাইকরের মাকে।ভয়াবহ খবরের তীব্রতা নিতে না পেরে সেন্সলেস হয়ে পড়ে সে।
মৃত্যুর আগ মুহূর্তে ভাসমান অবস্থায় কাইকরের শেষ কথা ছিল,ক্ষমা করে দাও আমাকে।আমাকে ক্ষমা করে দাও।কামুক রমণী আশ্চর্য নরম গলায় সে দিকে তাকিয়ে বলে,এই তো ক্ষমা করে দিয়েছি কাইকর। তোমার উপর আর কোনো রাগ নেই আমার।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: বাহ ।বেশ ।।।।



১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৬

কাইকর বলেছেন: ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্য টি করার জন্য ।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৪

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: ইহাতো রূপকথা। যদি বাস্তবে হতো কাইকরের মত পুরুষ বেঁচে থাকতে পারতো না

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৭

কাইকর বলেছেন: কাইকরের মতো মানুষের সাথে বাস্তবে যেন এমনই ঘটে ।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৩

বলেছেন: বেদনাবিধুর হৃদয়ের আকুতি
দারুণ লেখা অসাধারন এক চিঠি
কাইকরের মত পুরুষের তিক্ত অভিজ্ঞতা- এটা হয়তো অনেক কে অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৫

কাইকর বলেছেন: অনুপ্রেরণা ।ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য ।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার ট্যাবু ভাঙার সাহস আছে। সচারচর কবি-লেখকরা নিজে অন্ধকারকে অবগাহন করলেও নিজের নামের উপর তর ছিটে ফোটাও লাগাতে দিতে চায় না। আপনি সেখানে নিজেকেই ভিলেন হিসেবে দেখিয়েছেন। সাধুবাদ জানাচ্ছি।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

কাইকর বলেছেন: গল্প লিখি কল্পনা থেকে ।আর সেগুলো কে কল্পনাতেই ভাল মানায় ।তাই ওসব নিয়ে ছিটেফোটা ভাবনা নেই ।কখনো ভিলেন আবার কখনো হিরো তবে সবই কল্পনা তে মানায় ।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: তার মানে- নিজের ঢোল নিজেকেই পিটাতে হয়।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১০

কাইকর বলেছেন: বুঝে উঠতে পারলাম না ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.