নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায় চৌধুরী

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায় চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মাতত্ত্ব: একটি জটিল প্রশ্ন

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

জ্ঞানানন্দ: ভক্তগণ, গীতায় শ্রীভগবান বলেছেন আত্মা শরীরে প্রবেশ করলে আমরা জন্মলাভ করি।
আবার মৃত্যুর পর আত্মা দেহত্যাগ করে নতুন শরীর লাভ করে।
একমাত্র তার নাম জপের মাধ্যমেই মানুষ এই জন্মান্তরের চক্র থেকে মুক্তি লাভ করে তার পাদপদ্মে আশ্রয় লাভ করে।

গাবলু: গুরুদেব একটা প্রশ্ন ছিল।
একটা বটগাছের কয়েকটা ডাল শুকিয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
এঅবস্থায় গাছটি জীবিত তাই আপনার কথা অনুসারে তার আত্মা আছে।
অথচ শুকনো ডালগুলি মৃত হওয়ায় তার আত্মা দেহত্যাগ করেছে।
তাহলে কী আত্মাটা বিভাজিত হয়ে একটি অংশ দেহে আছে আর অপরটি দেহত্যাগ করেছে?

জ্ঞানানন্দ: শ্রীভগবান বলেছেন আত্মার বিভাজন সম্ভব নয়।

গাবলু: তাহলে আপনি বলুন বটগাছটি জীবিত না মৃত?
তার আত্মা মূল দেহের সাথে থেকে গেছে না শুকনো, মৃত ডালের সাথে দেহত্যাগ করেছে???

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শেষের প্রশ্নটা জটিল...

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

দরবেশমুসাফির বলেছেন: দেহের অঙ্গহানি হলে আত্মার অঙ্গহানি হয় না। কারন আত্মা দেহের উপর নির্ভর করে না বরং দেহ আত্মার উপর নির্ভরশীল। আপনি প্লেটোর লেখা "ফিড" পড়ে দেখতে পারেন। সেখানে আত্মার যে প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তার সাথে উপনিষদে আলচিত আত্মার ধারনার মিল আছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে প্লেটোর মত গ্রাহ্য হতে পারেনা কারণ তা ভুল প্রমাণিত হয়ে গেছে।
আপনি বলতে চান, আত্মা দেহের উপর নির্ভর করে না বরং দেহ আত্মার উপর নির্ভরশীল।
তাহলে একটি ব্যাকটেরিয়া কোষ মাইটোসিস বিভাজন পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে যখন কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় তখন এত আত্মা আসে কোথা থেকে?

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে প্লেটোর ঠিক কোন কোন যুক্তি ভুল প্রমানিত হয়েছে বলবেন কি? কিভাবে ভুল প্রমান করা হয়েছে তাও আমার জানা নেই। জানালে আলোকিত হব আশা করি।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২১

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: প্লেটোর অনেক মতই আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে বাতিল হয়েছে। যেমন তিনি মনে করতেন সূর্য্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে।
ব্যাকটেরিয়া নিয়ে উপরে যে প্রশ্ন করেছি সে বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আমরা এখানে পৃথিবী বা সূর্যের ঘোরা নিয়ে আলোচনা করছি না নিশ্চয়ই? আত্মার ব্যাপারে আলোচনা করছি। আত্মা নিয়ে প্লেটো যে সকল যুক্তি দিয়েছেন সেগুলো কিভাবে ভুল প্রমানিত হয়েছে??

আগেই বলেছি আত্মা দেহের উপর নির্ভর করে না বরং দেহ আত্মার উপর নির্ভরশীল। একটি দেহ যেমন অন্য আরেকটি দেহ থেকে আসে আত্মা তেমন নয়। আত্মা আসে এই মহাবিশ্বের অতিচেতন জগত থেকে। যখন কোন দেহ জন্মলাভ করে তখন সেটি শুধুই দেহ। আমরা জানি প্রাণী ভ্রুনাবস্থায় অনেকটা জড়বস্তুর মত। কিন্তু মহাচেতনা থেকে আত্মা সঞ্চারিত হলেই সেই জড়দেহে প্রান সঞ্চারিত হয়।

দেহ যেমন অন্য দেহ থেকে আসে আত্মা তেমন নয়।কোন দেহে আত্মা সঞ্চারিত হবে আর কোন দেহ জড়বস্তুর মতই রয়ে যাবে তা ওই মহাচেতনার ইচ্ছানুসারেই হয়ে থাকে।

যখন ব্যাকটেরিয়া কোষ মাইটোসিস বিভাজন পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে যখন কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় তখন সেগুলো শুধুই দেহ। তাতে আত্মার সঞ্চার হয় মহাচেতনা হতে। যে সকল অপত্য ব্যাকটেরিয়া মৃত হয় ( বিভাজিত সকল ব্যাকটেরিয়াই জীবিত থাকে না ) সেসকল ব্যাকটেরিয়ায় আত্মা সঞ্চারিত হয় না তাই সেগুলো প্রাণহীন। আত্মা হীন দেহ জড়বস্তুর মত।

বলছেন আত্মা নেই। যদি আত্মা নাই থাকে তবে আমরা যখন মারা যাই তখন আমাদের দেহের আসলে কি পরিবর্তন হয়?


০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: আপনার বেশীর ভাগ কথাই কল্পনা মাত্র। কোন রকম বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
আপনি বারবার যে "মহাবিশ্বের অতিচেতন জগতের" কথা বলেছেন তারও কোন প্রমাণ নেই।
আপনি বলেছেন, "প্রাণী ভ্রুনাবস্থায় অনেকটা জড়বস্তুর মত। কিন্তু মহাচেতনা থেকে আত্মা সঞ্চারিত হলেই সেই জড়দেহে প্রান সঞ্চারিত হয়।"
এটাও সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। কারণ, শরীরে প্রতিটি কোষই স্বতন্ত্র জীবন। জীবিত বলেই শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের ফলে তৈরি হয় জাইগোট। তারপর প্রতিদিন কোষ বিভাজন পদ্ধতিতে তা বেড়ে ওঠে।
একথা সম্পূর্ণ ভুল যে মাতৃগর্ভ থেকে বেরনোর পর আমরা জন্ম লাভ করি।
ভ্রূণ অবস্থাতেই আমাদের শরীরে জীবনের সকল লক্ষণ বর্তমান থাকে।

আপনি জানতে চেয়েছেন, "যদি আত্মা নাই থাকে তবে আমরা যখন মারা যাই তখন আমাদের দেহের আসলে কি পরিবর্তন হয়?"
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মৃত্যু বিষয় টি ও অন্যরকম।
কারণ প্রতিদিনই আমাদের শরীরে অসংখ্য কোষ জন্মায় ও মারা যায়। এই প্রতিটি কোষই দেহ থেকে পৃথক হয়ে জীবন ধারণে সক্ষম।
সেই কারণেই মৃত মানুষের দেহ থেকে চোখ, লিভার, কিডনি প্রভৃতি অন্য মানুষের দেহে প্রতিস্থাপিত করা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.