নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায় চৌধুরী

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায় চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প তবুও সত্যি

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

"আমি এসেছি কাকু।"
ঘরে ঢুকল বারো বছরের ছোট্ট তিতলি।
"এসেছিস, আয় আয়। তোর জন্যেই অপেক্ষা করে আছি আমি।"
তিতলি কে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন অজিত মণ্ডল। তিতলির পাড়ারই শেষ প্রান্তে অজিত মণ্ডলের বাড়ি। সুদের কারবার করে অল্প দিনেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে লোকটা। পাড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোটা টাকা চাঁদা দেন, তাই পাড়ার ছেলেরাও তার হাতের মুঠোয়।
"বাড়ি খালি কেন কাকু? কাকিমা, বাবলু কেউ বাড়িতে নেই?"
"নারে, বাবলুকে নিয়ে তোর কাকিমা বাপের বাড়ি গেছে। তা তুই এখানে এসেছিস কাউকে বলিসনিতো?"
"না। তুমিই তো বলেছিলে দেওয়ালির গিফট নিয়ে বাড়ি ফিরে সবাইকে চমকে দিতে।"
"ভাল, ভাল। চল দেখবি তোর আর তোর ভাই পিকলুর জন্যে কত সুন্দর দ্রেস আর বারবি ডল কিনে রেখেছি।"
"সত্যি কাকু।"
"হ্যাঁ রে হ্যাঁ।"

"তুই খাটে বসে টি.ভি. দেখ, আমি তোর গিফটটা নিয়ে আসছি।"
পাশের ঘরে চলে গেল অজিত মণ্ডল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে এল সে। হাতে তার ক্যাডবেরি আর কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল।
"কাকু আমার গিফট?", অধৈর্য গলায় প্রশ্ন করল তিতলি।
"আনছিরে বাবা আনছি। আগে কিছু খেয়ে নে।"
ক্যাডবেরি আর কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতলটা এগিয়ে দিল সে।
ক্যাডবেরি দেখেই লক্ষ্মী মেয়ের মত নিয়ে নিল তিতলি।

"কাকু ড্রেসটা দিলেনা তো?"
টি.ভি. তে শিনচ্যান শেষ হতেই বাড়ি যাওয়ার জন্যে খাট থেকে নামতে গিয়েই মাথা ঘুরে পড়ে গেল তিতলি। অজিত মণ্ডল পাশের ঘরেই ছিল। কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল, "কী রে পড়ে গেলি কিভাবে?"
"জানিনা কাকু শরীরটা খারাপ লাগছে, মাথাটা ঘুরছে।"
"থাক থাক, তোর এখন বাড়ি গিয়ে কাজ নেই। তুই বরং একটু শুয়ে নে। শরীর ঠিক হলে তার পর বাড়ি যাবি।"
তিতলির চোখের সামনেটা ক্রমশ অন্ধকার হয়ে আসছিল। সে আর কথা না বাড়িয়ে খাটে শুয়ে পড়ল।
তার পর তার আর কিছুই মনে নেই। শুধু বুঝতে পারছিল, সারা শরীরে খুবই অস্বস্তি হচ্ছে আর তলপেটে অসম্ভব যন্ত্রণা।

কালীপুজোর রাত। বাইরে তখন নারীশক্তির আরাধনার আয়োজন চলছে।
পাড়ার মণ্ডপ থেকে গান ভেসে আসছে, "সকলই তোমার ইচ্ছা, ইচ্ছাময়ী তারা তুমি....."

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

প্রামানিক বলেছেন: এদের কঠিন শাস্তি দেয়া উচিৎ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: উচিত। কিন্তু, সমস্যা হল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসকল ঘটনা চেপে যাওয়া হয়।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সমাজের একটা পরিবর্তন দরকার ,কেউ ভাবে না এই পরিবর্তনটা কি ? বোঝতে পারলেও না বোঝার ভান করে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.