নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায় চৌধুরী

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায় চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তিবাদের পদধ্বনি

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

অনেকেই বলেন," বিজ্ঞানকর্মীরা কী করছে? কুসংস্কার তো বেড়েই চলেছে।"
না, এরা নিজেরা কিন্তু কোনদিনই দায়িত্ব নেবেননা। দূরে দাঁড়িয়ে মজা দেখবে অথচ বিজ্ঞানের সকল সুবিধা ভোগ করবে।
আসুন কথাটা বিবেচনা করা যাক।
আজ থেকে ৩০ বছর আগে পৃথিবীতে নাস্তিকের সংখ্যা ছিল ৫% এর কম।
আজ তা ২৩% এরও বেশি। নাস্তিকতাই এখন পৃথিবীতে ৩য় স্থানে আছে।

ভারতেও নাস্তিক, যুক্তিবাদীদের সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে। যদিও সরকারি হিসাবে প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া যাবেনা।
কারণ, ভারতে অত্যন্ত দায়সারাভাবে জনগণনা করা হয়।
কিন্তু জনমানসে যুক্তিবাদী চিন্তার প্রভাব বেড়েছে তা পারিপার্শ্বিক সামাজিক ঘটনাকে অনুধাবন করলে সহজেই বোঝা যায়।

প্রথমেই বুঝে নেওয়া প্রয়োজন, যুক্তিবাদ শুধুমাত্র নাস্তিকতার ভিতর সীমাবদ্ধ নয়, এটাই হল একমাত্র সামগ্রিক দর্শন।
যা দ্বারা পরিণত মানুষ তার চারপাশে ঘটা সকল আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ঘটনাকে সঠিক ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবে।

আমরা কথায় কথায় যুবসমাজের অবক্ষয়ের কথা বলে আত্মপ্রসাদ লাভ করি।
কিন্তু, যুবসম্প্রদায় অনেক বিষয়েই প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে।
হাল আমলের রাজনীতি সচেতন অথচ অরাজনৈতিক আন্দোলন 'হোক কলরব' দাম্ভিক শাসকের বুক কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
সাম্প্রতিক কালের ভারত কাঁপানো গোমাংস বিতর্কের কালেও তারা অনেকাংশে প্রগতিশীল ভূমিকা পালন করেছে।
এমনকি, নাস্তিক নয় এমন অনেক ছেলেই বেদে গোমাংস খাওয়ার তথ্য তুলে ধরে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরোধিতা করেছে।
আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগেও এমন দৃশ্য কেউ কল্পনা করতে পারতেন কী?

যুক্তিবাদের এই অগ্রগতিতে ইন্টারনেটের ভূমিকা অস্বীকার করা যায়না। বিজ্ঞানের কল্যাণে বিশ্বের খবর আমাদের হাতের মুঠোয় এসে গেছে। তার সাথে দ্রুত হারে প্রাচীন দৃষ্টিভঙ্গি পালটে যাচ্ছে।
আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, অন্যান্য অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সাইকেলে চড়ে অফিস যান, তারাও আইনের শাসন মানতে বাধ্য। তখন জনপ্রতিনিধি নামধারী আমাদের "চাকর বাকর"দের লাগামছাড়া বিলাসবহুল জীবন আমাদের প্রশ্ন করতে শেখাচ্ছে।
"দেশপ্রেম", "দেশদ্রোহ", "বিচ্ছিন্নতাবাদ" প্রতিটা শব্দের অর্থই আমরা নতুন করে ভাবতে শিখছি। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা যখনি বিপদে পড়েন তখনি প্রতিবেশী দেশের "মাসতুতো ভাই"দের সাথে হাত মিলিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে থাকেন।
"দেশ আক্রান্ত" প্রচারের ঢক্কানিনাদে তারা দরিদ্র মানুষের মূল সমস্যা গুলি ভুলিয়ে দিতে চান। কিন্তু পাকিস্তান ও চীনের জুজু দেখিয়ে বোকা বানানোর দিন শেষ হয়ে আসছে।

আশা জাগে যখন দেখি অনেক বন্ধু পোষ্ট করছেন, "I love my India. but I don't hate Pakistan".
রাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী চরিত্র ক্রমশ আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কাশ্মীর সমস্যা থেকে মাওবাদ সকল বিষয়েই নতুন চিন্তা ভাবনার স্ফুরণ ঘটছে।
হ্যাঁ, আবারো দৃঢ়ভাবে বলছি এসবই যুক্তিবাদী দর্শনেরই প্রতিফলন।

বিষয়টিকে আরও বিশদে বোঝার চেষ্টা করতে গভীরে যাওয়া যাক।
আমরা জানি মুক্তচিন্তার লেখকদের উপর চিরকালই আঘাত নেমে এসেছে আসবেও। এটাই তাদের পুরষ্কার।
এটাই তাদের যুদ্ধের স্বীকৃতি, যে তারা সঠিক পথেই চলেছেন।
কিন্তু এত কিছুর পরেও লড়াই কিন্তু থেমে যাচ্ছেনা।
একজনকে যেখানে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেখান থেকেই ব্যাটন তুলে নিচ্ছে অন্য কেউ।
কোন একজনের দেখান সামগ্রিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের স্বপ্ন, শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজের স্বপ্ন আজ অনেকের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। সেই স্বপ্নকে রক্ষা করতে তারা জীবন দিতে এবং প্রয়োজনে জীবন নিতেও পিছপা হয়না, হবেওনা।
কালের নিয়মে সেই স্বপ্নদ্রষ্টা একদিন মরে যাবে।
কিন্তু তার স্বপ্ন অনেকের মাঝে বেঁচে থাকবে।
এসবই সামগ্রিক যুক্তিবাদী আন্দোলনেরই অবদান।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: বন্ধুরা, লেখাটি কে আরও বিস্তৃত ভাবে যুক্তিবাদী পত্রিকার জন্যে লেখার ইচ্ছে আছে।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

বিজন শররমা বলেছেন: 33. Al-Ahzab: The Clans
33:53-54 O you who believe! Enter not the dwellings of the Prophet for a meal without
waiting for the proper time, unless permission be granted to you. But if you are invited,
enter, and, when, your meal is ended, then disperse. Linger not for conversation. Lo! That
would cause annoyance to the Prophet, and he would be shy of (asking) you (to go); but
God is not shy of the truth. And when you ask of them (the wives of the Prophet)
anything, ask it of them from behind a curtain. That is purer for your hearts and for their
hearts. And it is not for you to cause annoyance to the Messenger of God, nor that you
should ever marry his wives after him. যুক্তিবাদ কি সব কিছু বুঝিয়ে বলতে পারে ? মার্মাডুকে পিকথলের অনুবাদ করা উপরের অংশে কেন বিশ্বাসীদেরকে অনুমতি না নিয়ে নবীর ঘরে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তা কি যুক্তিবাদ জানে ?

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

নতুন বলেছেন: যুক্তিবাদী চিন্তাই সমাজে কুসংস্কার দুর করবে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: বন্ধু, আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনার ব্লগ আমার খুবই ভাল লেগেছে। আপনার সাথে কি মেইল এ যোগাযোগ করতে পারি?

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

নতুন বলেছেন: [email protected] ইমেইল করুন... ম্যাসেন্জারে এড করতে পারেন..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.