নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি
প্রকৃত বৌদ্ধদর্শন প্রাচীন ভারতের অসংখ্য নিরীশ্বরবাদী দর্শনের অন্যতম।
এই ধর্মে দেহাতীত আত্মা, ঈশ্বর, পুণর্জন্মের কোন অস্তিত্ব নেই।
তার বাবা শুদ্ধোদন ছিলেন একজন গোষ্ঠীপতি, রাজা নয়। এই পদও গণভোটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য দেওয়া হত। তখন এরকম বেশকিছু গণরাজ্য ছিল যেখানে কমিউন ব্যবস্থার আদিম রূপ দেখা যেত। প্রকৃত বৌদ্ধরা তাকে দেবতা নয়, একজন উচ্চ গুণসম্পন্ন মানুষ মনে করত।
তিনি বোধিবৃক্ষের নিচে ধ্যান করতে করতেই সব শিখে গেলেন তাও মিথ্যাচার। ঘর ছাড়ার পর পারিপার্শ্বিক সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনা থেকেই জীবনবোধ লাভ করেছিলেন, তাই তিনি বুদ্ধ।
এই বুদ্ধও একজন নয়। জ্ঞান ও বোধে যিনি এগিয়েছেন তিনিই বুদ্ধ। সিদ্ধার্থ গৌতম এদেরই একজন মাত্র।
রাজ অনুগ্রহ পাওয়ার লোভে বৌদ্ধদের ভিতর মতাদর্শগত বিরোধ শুরু হয়।
যারা বুদ্ধের মূল সিদ্ধান্তগুলিকেই আঁকড়ে থাকেন তারা 'হীনযান' নামে পরিচিত হন।
অপরপক্ষে যারা হিন্দুধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হন তারা মহাযানি নামে পরিচিত হতে থাকেন।
এর পিছনে রাজনৈতিক কারণও ছিল।
এসকল গণপ্রজাতন্ত্র বৃদ্ধি পেতে থাকলে তা যে রাজতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা বাজাবে তা মগধের ন্যায় শক্তিশালী রাজাদের অজানা ছিলনা।
সম্ভবত ৭৮ খৃ.পূ. তে চতুর্থ বৌদ্ধ সঙ্গীতিতে এই বিভাজন চূড়ান্ত রূপ নেয়।
এর ফলেই আমরা পেলাম ক্ষত্রিয় বংশোদ্ভূত বিষ্ণুর অবতার গৌতম বুদ্ধ। শুরু হল যাতক কাহিনি, বৌদ্ধতন্ত্র।
হিন্দু রাজাদের আগ্রাসনে হীনযানী দের সকল পরিচয় মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হল।
শুধুমাত্র মতাদর্শগত ভাবেই নয়, এদের সকলকে প্রাণে মেরে ফেলারও যথাসাধ্য চেষ্টা করা হল।
এই সম্মিলিত আক্রমনের ফলেই প্রকৃত বৌদ্ধদর্শনের বৈপ্লবিক চিন্তাধারার প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই।
কিন্তু এত কিছুর পরেও এমন কিছু কথা লোকের মুখে মুখে প্রচলিত থাকে যা থেকে বৌদ্ধদর্শনের মূল চরিত্র কিছুটা আন্দাজ করা যায়।
আমরা নিশ্চয় শুনেছি, বাইবেলে আছে যাইরাসের অনুরোধে যীশু তার মৃত সন্তানের প্রাঙ ফিরিয়ে দেন।
কৃষ্ণ থেকে শুরু করে আরও অনেক অবতারের নামেই এধরনের অলৌকিক কাহিনি প্রচলিত আছে।
এবার ছোটবেলায় পড়া সেই কাহিনিটা মনে করুন।
এক সন্তান হারা মা বুদ্ধের কাছে এসে তার সন্তানের প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করায় তিনি তাকে বলেন নগরের এমন এক বাড়ির থেকে এক মুঠো সর্ষে নিয়ে আসতে যেখানে কেউ কোনদিন মারা যায়নি।
সেই মা প্রতিটি বাড়ি ঘুরে অবশেষে এই শিক্ষা লাভ করেন যে মৃত্যুও মানবজীবনের অন্যতম সত্য।
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্ম মূলত নাস্তিক্য ধর্ম/ বুদ্ধদেব পূর্বজন্মে কবিরাজ ছিলেন/তিনি এক রোগিকে ওষধের বদলে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছিলেম /কারণ ছিল রোগিটি বিনা পয়সা ঔষদ নিতেন বলে/এতবড় পাপ করেও মহাপুরুষ হওয়া যায়/অতএব পাপ বলে কিছু নেই ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১
মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: কি বলতে চান? স্পষ্ট করে বলুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আরো লিখুন......