নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি
আজ বিবেকানন্দ পড়বো না, তা কি হয়?
রামকৃষ্ণ মিশনের 'উদ্বোধন কার্যালয়' প্রকাশিত 'পত্রাবলী' পড়ছিলাম।
৩৪৫ পাতায় প্রকাশিত ১৯৯ তম চিঠিতে চোখ আটকে গেল।
২২ জুন, ১৮৯৫ সালে মিস মেরি হেল কে লিখছেন, "এ গ্রীষ্মে গ্রীনএকার যাওয়া হয়ে উঠবে কি না জানি না।
সেদিন মিস ফার্মারের সহিত দেখা করি; তখন তিনি স্থানান্তরে যেতে খুব ব্যস্ত, সুতরাং বাক্যালাপ অতি অল্পই হয়।
তিনি একজন মহিয়সী নারী।
ক্রিশ্চান সায়েন্সের চর্চা কেমন চলেছে? আশাকরি তুমি গ্রীনএকার যাচ্ছ। সেখানে ঐ দলের ও ভূতুড়েদের (spiritualists) অনেককে দেখবে, তা ছাড়া দেখবে হস্তরেখাবিচারক, জ্যোতিষী, আরও কত কি !
মিস ফার্মারের নেতৃত্বে সেখানে মিলবে রোগের যাবতীয় প্রতিকার ও ধর্মবিষয়ক যাবতীয় মতবাদ।"
আমরা জানি, ১৯ শতকে বিজ্ঞানকে অপব্যবহার করে "spiritualists"রা ইউরোপে এই ধরণের 'দৈব চিকিৎসা' চালাত।
ভারতে ওঝা, গুণিন, ঝাড়ফুঁক, জ্যোতিষী এদের প্রভাব ছিল সুপরিচিত।
কিন্তু, বিদেশী কোন কিছুর প্রতি আমাদের মোহ সুবিদিত। তাই তৎকালীন ইংরাজি শিক্ষিত বাবু সমাজ spiritualists দের ওঝা, গুণিনদের মত 'গেঁয়ো কুসংস্কার' বলে দূরে সরিয়ে রাখতে পারতনা।
সেজন্য, মিস ফার্মারের নেতৃত্বে তার দলবলকে ভারতে আনতে পারলে বিজ্ঞানের তকমা দিয়ে বিবেকানন্দের "ধর্মের ব্যবসা" ভালই জমত।
আপনারা কি বলেন???
পুনশ্চ, যারা মনে করছেন আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে অংশবিশেষ তুলে ধরে বিবেকানন্দ কে নিন্দা করছি, তাদের অনুরোধ করব রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে গাঁটের কড়ি খরচা করে বইটি কিনে পড়ুন।
মূল্য মাত্র ১৯০ টাকা। তার উপর ১০% ছাড়ও দেবে।
©somewhere in net ltd.