নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায় চৌধুরী

সংযুক্ত সম্পাদক, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি

মণীশ রায় চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশদ্রোহীর জবানবন্দি

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০০

চারিদিকে দেশপ্রেমের হাওয়া বইছে।
না, হাওয়া না বলে ঝড় বলাই ভাল।
সরকারের নির্লজ্জ তাবেদারি না করে কোনরকম বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করলেই তাকে দেশদ্রোহীর তকমা এঁটে দেওয়া হচ্ছে।
উচ্ছিষ্টভোজী মিডিয়ার লাগাতার মিথ্যাপ্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে সরকারের বিরোধিতা মানেই দেশের বিরোধিতা।
জনমানসে সুকৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকরাই হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতীক।


কিছু বছর আগে অপর এক প্রধানমন্ত্রীও জনগণের স্বাধীনতা হরণকে বৈধতা দিতে প্রায় একই পথ অবলম্বন করেছিলেন।
প্রচারের বিশাল ফানুস উড়িয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, "ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া"।
কিন্তু, তার মিথ্যার সাম্রাজ্য বেশিদিন টেকেনি। জনগণ তাকে ক্ষমতার অলিন্দ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আর তার সাঙ্গপাঙ্গদের আচরণ থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে তারা ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষালাভ করেননি।

আসুন মুক্তমনে বিচার করি।
ধরুন, আপনি বললেন রায় বাড়ি খুব সংস্কৃতিবান। এখানে বাড়িটা কিন্তু সংস্কৃতিবান নয়, তা হল বাড়ির লোকজন।
ঐ বাড়িটাই যদি বেশ্যালয় হয় প্রতিবেশীরা বলবে বেশ্যাবাড়ি।
এখানেও কথাগুলো বাড়িকে বলা হচ্ছেনা বাসিন্দাদের বলা হচ্ছে।

দেশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২১

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা
ভাল লিখেছেন।
+++++++++

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: ভারি ইন্টারেস্টিং! ভারত এখন বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে। 'বাংলা' সব সময়েই দেখছি ভারতের চেয়ে এগিয়ে:)!

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: আমি অবশ্য, নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে সাম্প্রতিক কানহাইয়া বিতর্ক নিয়ে লিখেছিলাম।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: জানতাম না যে ,আফজাল গুরুর পাছায় চুমু খাওয়াটাও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ।


আপনাদের এই কৃতদাস মানসিকতা ,আর উদারনীতির নাম যুক্তিহীনতা দেখে হাসি পায় ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: সরকারের দুর্নীতির বিরোধিতা করার জন্যে আফজল কে সমর্থনের প্রয়োজন নেই। সরকার যে অত্যাচার চালাচ্ছে এটা তারই প্রতিবাদ।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "আমি অবশ্য, নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে সাম্প্রতিক কানহাইয়া বিতর্ক নিয়ে লিখেছিলাম।"

তাহলে এই কথাটার মানে কি ?

মোদী সরকারের সমলোচনা করবার অনেক গ্রাউন্ড আছে ।সেখানে গঠন মূলক সমলোচনা করা যেতে পারে ।সবাই করে ,আমিও করি ।কাউকেই দেশদ্রোহী বলা হয় না ।

কিন্তু ইসরাত জাহান যখন "বিহার কি বেটি " হয় ,মকবুল যখন হিরো হয় ,টাইগার মেনন যখন আদর্শ ,আর অধিকারের নামে যখন কাশ্মীরি সেপারিটিস্ট দের সমর্থন করেন তখন ই আপনাদের দেশদ্রোহী/নেমকহারাম বলা হয় ।

আমি কোনো বামপন্থী পাঠা (কানাইয়া এর মতো ) কে দেখিনি যে অত্যাচারিত কাশ্মিরী পণ্ডিতদের হয়ে কথা বলে ।আপনি দেখেছেন কি ?দেখে থাকলে একটা লিংক দিয়ে যাবেন ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: সরকারের সমালোচনা করার জন্যে মেমনের সমর্থক হতে হয়না।
কাশ্মীরি পণ্ডিত দের উপর অত্যাচারে কতজন মারা গেছে আর কাশ্মীরে সেনার হাতে কত নিরপরাধ মরে তার হিসাব উইকিপিদিয়া দেখলেই জানা যায়।
এর জন্যে বামপন্থী হতে হয় না। এই ঘতনাই অক্সফোর্ড, এদিনবরা, কেমব্রিজ সবাই প্রতিবাদ করেছে। তাদের মেমনের সমর্থক হতে হয়নি। বিবেকের তাগিদেই করেছে।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৩৬

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "কাশ্মীরি পণ্ডিত দের উপর অত্যাচারে কতজন মারা গেছে আর কাশ্মীরে সেনার হাতে কত নিরপরাধ মরে তার হিসাব উইকিপিদিয়া দেখলেই জানা যায়।"

মানে !!! এই লাইন টা লিখে কি বোঝাতে চাইলেন ।ভয় পাবেন না ।স্পষ্ট করে লিখুন ।হিপোক্রেসী করবেন না ।

আপনি কি জানেন এখনো এক মিলিয়ন কাশ্মীরি এখনো উদ্বাস্তু জীবন কাটায় ।তাদের কাশ্মিরে ঢুকতে দেওয়া হয় না ।


"এই ঘতনাই অক্সফোর্ড, এদিনবরা, কেমব্রিজ সবাই প্রতিবাদ করেছে।"-এই টা বোকার মতো কথা হয়ে গেল না ।এই সব বিশ্ব বিদ্যালয় তখনো ছিল যখন ইংরেজরা আমাদের শোষণ করত ।ঔপনিবেশিক দাসত্ব আর কতদিন করবেন ?


আর বিবেকের দোহাই দেবেন নাতো ।লজিকাল আর্গুমেন্ট ,বিজ্ঞান এখানে বিবেক থাকে না ,আবেগ থাকে না ,লজিক থাকে ।
আর তাছাড়াও বিবেক বলে কোনো পদার্থ আপনার নেই,আমার নেই ।বিবেক যদি আমাদের থাকত ,তবে যে দেশে কয়েক কোটি মানুষ অভুক্ত দিন কাটায় ,সেখানে মুরগির ঝোল গিলতে পারতাম না ,গলাতে বাধত !!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: আপনি যদি সত্যি যুক্তি চাইতেন তাহলে এরকম বোকার মত লিখতেন না।
আপনার "ঔপনিবেশিক দাসত্ব আর কতদিন করবেন ?" কথাটা শুনে দারুন হাসি পেয়েছে।
আপনার সাথে খুব বেশি ফালতু বকার ইচ্ছে নেই। আপনি যদি সত্যি wikipedia, UNO এর রিপোর্ট বা Amnesty International, Human Rights Watch এর মত পৃথিবী বিখ্যাত সংগঠনের রিপোর্ট পড়তেন তাহলে নিজেই ভারতে সেনার হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের হিসাব পেয়ে যেতেন।
UNO এর অন্তর্গত প্রতিটা মানবোন্নয়ন সূচকে উপরে থাকা দেশ মনে করে কাশ্মীর কাশ্মিরিদের। ভারত বা পাকিস্তানের কোন অধিকার নেই তাদের দখল রাখার।

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "UNO এর অন্তর্গত প্রতিটা মানবোন্নয়ন সূচকে উপরে থাকা দেশ মনে করে কাশ্মীর কাশ্মিরিদের।"


হ্যা । এর জন্যই "UNO এর অন্তর্গত প্রতিটা মানবোন্নয়ন সূচকে উপরে থাকা" দেশ ইংল্যান্ড ফকল্যান্ড কে জবর দখল করে রাখে ।ইউনাইটেড স্টেটস ,কানাডা ,অস্ট্রেলিয়া প্রত্যেকটি দেশই উপজাতিদের বন্য পশুর মতো "রিসার্ভ কিংবা অভয় অরণ্য " তে বন্দী রাখে ।


আপনার ওই "UNO এর অন্তর্গত প্রতিটা মানবোন্নয়ন সূচকে উপরে থাকা" দেশগুলি জবর দখলের লিস্ট বলতে শুরু করলে তো শেষ হবে না মশাই ।


তাই বলি কি ছাগলের মতো "ওপাড়ার চন্ডি মাস্টার বলেছে তাই ওটাই ঠিক "এই রকম দাস সুলভ মনোবৃত্তি নিয়ে আপনারাই বেচে থাকতে পারেন ।

"UNO এর অন্তর্গত প্রতিটা মানবোন্নয়ন সূচকে উপরে থাকা দেশ মনে করে কাশ্মীর কাশ্মিরিদের।"----- এত বোকামো করেন কেন ? তাহলে আপনি কি ধর্ম ভিত্তিক দেশ কে সমর্থন করেন ।মনে রাখবেন কাশ্মীরের ২৪ টা জেলার মধ্যে ৬ টি জেলা সুন্নি মুসলিম দের আর তারাই দাবি তোলে "লা ইলিহা ইল্লিহা .....কাশ্মির হোঙ্গে হামারা " লাদাখের বৌদ্ধ কিম্বা জাম্বুর হিন্দুর দাবি তা নয় । আপনি তো ভন্ডামির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ।


একদিকে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী এর সমর্থক আবার অন্যদিকে ধর্ম ভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দেশ গঠন কে সমর্থন করেন ।ছাগল থেকে মানুষ হন ।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: আপনার প্রশ্নের কি জবাব দেব ভেবে পেলামনা। কারণ আপনি তো কিছুই না পড়ে সবই জানেন।
তাই রবি ঠাকুরের ভাষাতেই বলছি, দেশ মাটি নয় মানুষে তৈরি।
মানুষ যা চাইবে সেটাই হবে।
কাশ্মিরিরাই ঠিক করবে তারা কি করবে। আমদের তাতে মাথা গলাবার কোন প্রয়োজন নেই।
আজাদ কাশ্মির এবং জাতিসত্ত্বার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার যুক্তিবাদী সমিতি সমর্থন করে।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৮

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "কারণ আপনি তো কিছুই না পড়ে সবই জানেন।"- আমার দেওয়া তথ্যের কোথায় কি ভুল তা বলেন ?নাহলে স্বীকার করে নিন যে এবিষয়ে আপনি কিছুই জানেন না ।


"দেশ মাটি নয় মানুষে তৈরি।" একদম ঠিক ,এই দেশের মানুষ আমরাও আর আমরা চাই না যে কাশ্মীর নামে কোনো রাষ্ট্র হোক ।


এবার স্পষ্ট করে বলুন - আপনি কি "আই এস আই এস " নামের রাষ্ট্র টিকে সমর্থন করেন ?সেটিও কিন্তু সেখানকার মানুষ সমর্থন করেন ।

ধর্ম ভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দেশ গঠন কে সমর্থন করেন ? দয়া করে এই প্রশ্নটির উত্তর দেবেন ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: এত কথার কি আছে?

"এই দেশের মানুষ আমরাও আর আমরা চাই না যে কাশ্মীর নামে কোনো রাষ্ট্র হোক"-- আপনি কি কাশ্মীরের অধিবাসী? আপনি না চাইলে কি এসে যায় মশায়?

কাশ্মীরের মানুষ ঠিক করবে তারা কি চায়?
মানুষের ন্যায্য গণভোটের দাবি মেনে নেওয়া হোক।
মানুষ বুঝে নেবে তারা কি চায়, কেমন দেশ চায়।

৯| ২০ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: সত্যই এত কথার দরকার থাকে না ,যদি আপনি আগেই বলে দিতেন যে আপনি একজন হিপোক্রিট ,যে কিনা মুখে সাম্য মৈত্রী প্রগতি আর গণতন্ত্র এর কথা বলে আবার কাশ্মীরে আই এস আই এস মার্কা দেশ গঠন কে সমর্থন করে ।

"কাশ্মীরের মানুষ ঠিক করবে তারা কি চায়?"

এইবার কাশ্মীরের মানুষের defination কে দেবে ?জম্বুর হিন্দু ,কাশ্মীরি পণ্ডিত ,লাদাখের বৌদ্ধ এরা কি থাকবে ?সুলতানি আমলে আসা মধ্য এশিয়ার মানুষেরা কি থাকবে ?সাম্প্রতিক মাইগ্রেশন কি বিবেচনা করা হবে ?আমি যদি কাল থেকেই আজীবন কাশ্মিরে থাকতে চাই ,আমাকে কি সে অধিকার দেওয়া হবে ,আর যদি দেওয়া হয় তবে কি আমার প্লেবেসাইট এ অংশগ্রহন করবার অধিকার থাকবে ?যদি না থাকে তবে কেন থাকবে না ?

আশাকরি "প্রগতিশীল " আদর্শে এগুলির ব্যাখা করবেন ।

১০| ২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: [link|http://topyaps.com/kashmiri-separatists-oppose-pandit-rehabilitation?utm_source=Facebook&utm_medium=Social&utm_campaign=TYAKP|view this link

দাদা এসব কি হচ্ছে ?

১১| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪২

মণীশ রায় চৌধুরী বলেছেন: আপনি আবার আপনার বোকামির ডালি সাজিয়ে চলে এসেছেন।
১৯৪৭ এর সময় থেকেই ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল যে কাশ্মীরের মানুষ গণভোটের দ্বারাই নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে।

বহু বছর কেটে গেলেও তা পালিত হয়নি। তার বদলে তারা ধর্মীয় মৌলবাদকে (হিন্দু ও মুসলিম দু তরফেই দিয়েছে যাতে দাঙ্গা বাধে) প্রশ্রয় দিয়েছে।
এই সব মাইগ্রেশনের এটাই মূল কারণ।
ন্যায্য দাবি না মেনে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানতেই কাশ্মীর আজ অগ্নিগর্ভ।

এর একটাই সমাধান। ইউএনও এর তত্বাবধানে গণভোট।
কাশ্মীরের মানুষ ঠিক করবে তারা কি চায়?
মানুষ বুঝে নেবে তারা কি চায়, কেমন দেশ চায়।

পুনশ্চ, আপনার যদি আমার পোষ্ট পছন্দ না হয় পড়বেননা।
আমার পোস্টে আপনার জ্ঞানের ঝুলি উজাড় না করলেই খুশি হব।
এর পরও মন্তব্য করলে বিনা বাক্যে ডিলিট করব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.