নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do not Dismiss Your Dreams, to be without dreams is to be without hope To be without hope is to be, without Purpose...
বাঁধুলি ফুল। অপর নাম দুপুরচণ্ডি। ফুলটি বড্ড নিয়মের দাস। ফোটে দুপুরেই, ঠিক ১২টায় । এজন্য ওর আরও এক নাম দুপুরমণি। উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Pentapetes phoenicea Linn ও পরিবার Sterculiacea.
দুপুরচণ্ডি এক বুনো প্রকৃতির অনাদৃত গাছ। তবে রক্তরাঙা ফুলগুলো যখন ফোটে তখন কিন্তু আর ওকে উপেক্ষা করা যায় না। টকটকে লাল, পিরিচের আকৃতিতে ছোট ছোট ফুল ফুটে গাছ আলো করে ফেলে। বছরের যে সময়টায় আসলে ফুলের একটু আকাল পড়ে, দুপুরচণ্ডি সে সময়টায় হাজির হয় ফুলের ডালা সাজিয়ে। সেজন্য অনেকেই বাড়ির বাগানে ও পার্কে ফুলগাছ হিসেবে লাগিয়ে থাকেন। একসাথে অনেক গাছ সারি করে লাগালে দেখতে ভালো লাগে।
ফুল ফোটে আগস্ট থেকে অক্টোবরে। পাতার কাণ্ড বা গোড়া থেকে একসাথে দু’টি করে ফুল ফোটে দুই দিকে মুখ করে। পাঁচটি পাপড়ি পুরো ছড়িয়ে থাকে। পাপড়ির গোড়ার দিকে অর্থাৎ ফুলের কেন্দ্রের রঙ থাকে হালকা কালচে। তার ভেতরে থাকে হলদে রঙের কেশরগুলো। অপূর্ব ফুলের রঙের বিন্যাস। এমন উজ্জ্বল লাল রঙের ফুল খুব কমই আছে। গাছ এক থেকে দেড় মিটার লম্বা হয়। অবশ্য টবে লাগিয়ে মাথা ছেঁটে ছেঁটে খাটো করে রাখা যায়। কাণ্ডের গায়ে হালকা পশম থাকে। পাতা অনেকটা পাটপাতার মতো। তবে অনেক সরু ও লম্বা, কিনারা করাতের মতো খাঁজকাটা। ফলে পাঁচটি গহ্বর আছে, প্রতি বীজকোষে থাকে ৮-১২টি বীজ। বীজ থেকে সহজে চারা হয়।
গাছে বেশ পানি লাগে। দুপুরচণ্ডির চমৎকার ভেষজ গুণ আছে। কোথাও কেটে গেলে এর পাতার রস লাগালে সেরে যায়। কোনো কারণে গায়ে দাগ হলে ফুল বেটে লাগালে তা মিলিয়ে যায়। হাত-পা মচকে গেলে পাতা ও শিকড় বেটে অল্প গরম করে এক দিন মচকানো জায়গায় লাগিয়ে রাখলে বেশ উপকার হয়। দুপুরচণ্ডির আদিনিবাস এই ভারতীয় উপমহাদেশ। তার মানে এটি ভারত,পাকিস্তান ও বাংলাদেশের দেশীয় ফুল।
©somewhere in net ltd.