নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনার জীবনের যে সত্য কথাগুলো কেউ জানে না কিংবা কেউ মানে না সেগুলোই আপনার সম্পদ

মানবানল

Do not Dismiss Your Dreams, to be without dreams is to be without hope To be without hope is to be, without Purpose...

মানবানল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কতো বাবা-মা’র ওপর সন্তানেরা চাপা অভিমান রাখে তার খবর কি তারা রাখেন?

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

পিতা তার সন্তানকে অ, আ, ক, খ বর্ণ শেখান কিন্তু কখনও জ্যোৎস্না দেখা শেখান না ! ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ এই বাক্যটি শেখান কিন্তু বৃষ্টিতে ভেজা শেখান না! ছেলে কিংবা মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে গেলেই ‘ঠান্ডা লাগবে’ বলে ঘরে আবদ্ধ করে রাখেন। ছেলে-মেয়ের আশেপাশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আনন্দের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন না। বরং তাকে সবসময় শেখান পাশের বাড়ির ছেলেটার মতো তাকে পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে হবে। নীচতলার ভাইয়াটা কিংবা আপুটির মতো তাকে মেডিকেলে পড়তে হবে ! শুধু প্রতিযোগিতা আর প্রতিযোগিতা!! কি সেল্যুক্যাস ! কি প্যাথেটিক ! কতো বাবা-মা’র ওপর সন্তানেরা চাপা অভিমান রাখে তার খবর কি তারা রাখেন? হয়তো অনেকেই রাখেন না।
বাবা-মায়েরা বরং তার সন্তানকে টাকা-পয়সার সাখে পরিচয় না করিয়ে সুখ-আনন্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিক! তাদের সন্তানকে নিয়ে জ্যোৎস্না দেখুক, বৃষ্টিতে ভিজুক! এতোটুকু শিখিয়ে দিক তিন চাকার রিক্সাওয়ালাটা চার চাকার গাড়িতে বসে থাকা মানুষের চেয়ে সুখে থাকতে পারে ! নদীর ধারে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে গায়ে বাতাস লাগানোতে যে আনন্দ আছে, এসি ঘরে বসে সে আনন্দ পাওয়া যাবে না! এতোটুকু শিখিয়ে দিক-জীবনে টাকা-পয়সা-ই সবকিছু না ! সুখে থাকটাই বড়ো কথা! বরং টাকা-পয়সা, প্রতিযোগিতার পেছনে ছুটলে সুখেরা জীবন থেকে দূরে সরে যাবে অনেক! এই সন্তানেরা সুখী হবে! জীবনে যদি কিছু করতে না-ও পারে তবুও একটা কবিতা লিখে সে সুখে থাকবে! বাবা-মায়ের প্রতি চাপা অভিমান আর ক্ষোভ জন্মাবে না।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: ৮০% মা-বাবা সে খবর রাখে না।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০০

মানবানল বলেছেন: শতকরা হিসেবে বলতে পারবো না। তবে সিংহভাগই সে খবর রাখে না।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: দীপু নাম্বার টু পড়ার সময় মনে হত- আমিও যদি দীপুর মত স্বাধীন হতে পারতাম! স্বাধীনতা কি সেটা বোঝার আগেই হাত থেকে নিয়ে নেয়া হয় আমাদের দেশে। সবার কাছ থেকেই। ছোটই কি আর বড়ই কি? কারোরই নেই।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৩

মানবানল বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

রিফাত_হাসান বলেছেন: আমি অবশ্য আমার বাবা মার কাছে চির কৃতজ্ঞ কারণ তাঁরা আমাকে লেখাপড়া করিয়েছেন। এখন আমাকে আর টাকা পয়সা নিয়ে ভাবতে হয়না। আমি যদি নিশ্চিন্ত জীবন যাপন করি সেটা তাঁরা ঠিক করে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ

সুখ তো নিজের কাছে। কারো বাবা মাই সুখ এনে দিতে পারবেন না। কেউ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে সুখী। কেউ নদীতে গোসল করে সুখী আর কেউ নদী শাসন করে সুখী।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৫

মানবানল বলেছেন: শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ। কারও পিতামাতা সুখ এনে দিতে পারবে-এমন কথা অবশ্য আমি বলিনি। যে যার অবস্থান থেকে সুখি-অার এটাই সর্বসম্মতভাবেই জানি!

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

খোলা মনের কথা বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন। সাধারন কিছু ব্যাপারের জন্য আমাদের সন্তানেরা আজ প্রাকৃতিক সুখ থেকে বঞ্চিত। সকল মা বাবার উচিত তার সন্তান কে খোলা আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখানোর, বুক ভরে নি:স্বাস নিতে, দিগ-দিগান্তে হারিয়ে যেতে। তবে সেটার কিছূ পরিধি রাখা উচিৎ। তাতে যেন সে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আবার প্রাকৃতিক সুখ থেকে বঞ্চিত ও না হয়। ভাল লিখেছেন তার জন্য ধন্যবাদ

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৭

মানবানল বলেছেন: অবশ্যই পরিধি রাখা উচিত। তার মানে এই না যে, অাপনি সূতো ছেড়ে দিলেন-যতোদূর যেতে পারে! আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হলাম।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১১

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: ওই বাবা-মাদের দোষ দিয়ে তেমন একটা লাভ আছে বলে মনে হয় না। কারন ওনাদের মা-বাবারও ওনাদেরকে বৃষ্টিতে ভেজা, পূর্ণিমার চাঁদে নদীর ঢেউ দেখা, বা কবিতা শোনা শেখায় নি। স্বেচ্ছায় রিকশাওয়ালা হয়ে সুখী হতে হলে মহামানুষ হতে হবে। এতটুকু বুঝি যে বিষয়টা জটিল।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৯

মানবানল বলেছেন: মহামানুষ হওয়াটা অবশ্য আপেক্ষিক বিষয়। তবে আমিও এতোটুকুই বুঝি-বাবা-মারা পরিচয় করিয়ে দিলে ক্ষতি কি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.