নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনার জীবনের যে সত্য কথাগুলো কেউ জানে না কিংবা কেউ মানে না সেগুলোই আপনার সম্পদ

মানবানল

Do not Dismiss Your Dreams, to be without dreams is to be without hope To be without hope is to be, without Purpose...

মানবানল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পড়ুন, তর্ক করুন এবং মত প্রকাশের পক্ষেই থাকুন...

১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

—আপনি আল্লামা নাসিরুদ্দিন আল বানিকে চিনেন?
—না।
—হযরত জামীল যাঈনুকে?
—না।
— আল্লামা ইবনে বাযকে?
— না।
আমি জানতাম, আপনি এদেরকে চিনবেন না। কারণ আপনার চেনার দৌড় জাকির নায়েক পর্যন্ত। ইসলাম নিয়ে আপনার পড়াশোনা খুবই সীমিত। সীমিত পড়াশোনা অপরাধ নয়। কিন্তু, আপনি শার্লি হেবদোর পক্ষ নিয়ে বলবেন ‌‌‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে’ আর জাকির নায়েকের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে বলবেন ‌‘মত প্রকাশ থামিয়ে দিতে হবে’ এটি খুবই অযৌক্তিক এবং অন্যায়।
মনে রাখবেন, জাকির নায়েক অহিংস। তিনি একজন বক্তা। বক্তব্যে তিনি কি বলেন, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। যদি আপনার ভালো না লাগে তবে আপনি তাকে দেখবেন না। যদি তার চিন্তা আপনাকে আক্রান্ত করে তবে আপনি পাল্টা চিন্তা নিয়ে তা প্রতিহত করুন। তার বিরুদ্ধে মূর্খের মতো আচরণ করা একজন মুক্তমনার শোভা পায় না।
লক্ষ্য করুন, আমি জাকির নায়েককে ইসলামি পণ্ডিত না বলে বক্তা বলেছি। বক্তা এবং বিদ্বানের পার্থক্য আপনারা সকলেই জানেন। জাকির নায়েকের সব বক্তব্য আমি শুনিনি। তবে ‘জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্র’ নামের যে বইটি বাজারে পাওয়া যায় তা আমি পড়েছি। তার কথা বলবার ভঙ্গি আকর্ষণীয়। মানুষকে তিনি সহজেই মোহিত করতে পারেন। প্রশ্ন হলো, কি দিয়ে তিনি মোহিত করেন? একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই দেখবেন, তিনি ‌মূলত ‘তথ্য’ দিয়েই কাজটি করছেন। ‘তথ্য’ এবং ‘জ্ঞান’ যে আলাদা বিষয় তা বোধ হয় ভেঙে বলার আর দরকার নাই। যদি থাকতো তবে আপনি আল্লামা নাসিরুদ্দিন আল বানিকে চিনতেন। হজরত জামীল যাঈনুকে চিনতেন। আল্লামা ইবনে বাযকে চিনতেন। কেননা, জাকির নায়েক তার বক্তব্যে যে মত প্রকাশ করেন তার অধিকাংশই এদের।
মনে রাখবেন, জাকির নায়েক ‘নবী’ নন। তার কাছে আল্লাহ্-র ‘ওহি’ নাজিল হয় না। তিনি যা বলেন নিশ্চই তিনি তা পড়েন। তো, কী পড়েন তিনি? সেইসব সহজলভ্য বই-পুস্তক আপনিও পড়তে পারেন। পড়ুন। তর্ক করুন এবং মত প্রকাশের পক্ষেই থাকুন...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

আহলান বলেছেন: আলবানী সাহেবরাই আহলে হাদিস/সালাফী ব্লা ব্লা কায়দায় ইসলামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ... নাইলে এই দেশে কখনোই নামাজে হাত বাধার স্থান, তারাবির রাকাত, নিয়্যাত করা, সহ বিভিন্ন বিষয়ে কোন বিভ্রান্তিই ছিলো না ...

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: টাইটেলের সাথে পুরোপুরি একমত। লিখার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

তট রেখা (১) বলেছেন: মত প্রকাশের স্বাধীনতা্তো শুধু একটা বুলি, নিজের মতের বিরূদ্ধে গেলে তখন স্বাধীনতা শব্দট হয়ে যায় তাৎপর্য্হীন, হাতে ক্ষমতা আছে তাই বিরূদ্ধ মতকে দমন কর। কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা, তারা ইসলামের আলো ফুঁৎকারে নিভিয়ে দিতে চায়, আর আল্লাহ তা প্রজ্বলিত রাখেন।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫২

আল্লার বান্দা বলেছেন: চমৎকার লেখা যুক্তিসঙ্গত, বিভ্রান্তি দূর করতে সহায়ক। ধন্যবাদ ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.