নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do not Dismiss Your Dreams, to be without dreams is to be without hope To be without hope is to be, without Purpose...
১৯৭৪ সাল। বাংলাদেশে পুঁজিবাদ বিকাশের শুরু। এই বিজ্ঞাপনগুলো তারই প্রমাণ। এরপর চার দশকে আমাদের মানবিক মূল্যবোধের চর্চা কমেছে। কিন্তু নারীকে পণ্য বানানোর নষ্ট খেলাটা বেড়েছে। এই ধারাবাহিকতার এ যুগের সংস্করণে অনেক জনপ্রিয় নায়িকার অর্ধনগ্ন ছবিও দেখা যাচ্ছে। গত বিএনপি সরকারের সময় ময়ূরী-মুনমুন-পলিদের নগ্নতার প্রতিযোগিতার কথা তো সবাই জানেন।
৭৪ সালের চাইতেও এই বাণিজ্যিক নগ্নতার প্রতিযোগিতায় আমরা এগিয়েছি, মানবিক মূল্যবোধের চর্চায় পিছিয়েছি। ফেসবুকে অনেককেই দেখলাম পুঁজিবাদের এই দলিলগুলোকে বাঙালির উদারতার দলিল হিসেবে হাজির করছেন। এই পুঁজিবাদী বাণিজ্যিক সময়ে মেয়ে মডেলরা যতো কাপড় খুলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান ততো দেখা যায়, সাহসী-আধুনিক হয়েছেন বলে তকমা যুক্ত করি। আফসোস হয়, বাঙালির শিল্প-সাহিত্যের দলিলগুলো তুলে ধরে কেউ আর বলে না দেখ আমরা আগেও আধুনিক ছিলাম।
৭৪ সালে বিচিত্রায় ছাপা হওয়া এই বিজ্ঞাপন যদি বাঙালির উদারতার পরিচয় হয় তবে আজকের মডেল-নায়িকাদের বৃষ্টিভেজা অর্ধনগ্ন দৃশ্যগুলোও ৫০ বছর পরে সাহসী বাঙালি নারীর দলিল হবে। কিন্তু এগুলো বাঙালির উদারতার দলিল কখনও-ই নয়, এগুলো শুধুই পুঁজিবাদ বিকাশের দলিল। এগুলোকে প্রশংসা না করে বরং বলা উচিত, আমরা কতোটা বোকা ছিলাম এভাবে পুঁজিবাদকে বাঙালি হৃদয়ে জায়গা দিয়েছি।
বলিউড-ঢালিউড-টালিউড সিনেমার নায়িকাদের খোলামেলা দৃশ্য যেমন কোনোভাবে কোনো জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে না, তেমনি এই বিজ্ঞাপনগুলোও কোনোভাবেই বাঙালির উদারতাকে প্রকাশ করে না। এগুলো শুধুই বাণিজ্যের চাহিদা মেটায়, পুঁজিবাদের কালো হাতকে শক্তিশালী করে।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৩২
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ৭৪ সালে বিচিত্রায় ছাপা হওয়া এই বিজ্ঞাপন যদি বাঙালির উদারতার পরিচয় হয় তবে আজকের মডেল-নায়িকাদের বৃষ্টিভেজা অর্ধনগ্ন দৃশ্যগুলোও ৫০ বছর পরে সাহসী বাঙালি নারীর দলিল হবে।
চমৎকার বলেছেন
আজকের বেশীরভাগ প্রগতিশীলাদের অতীতই কিন্তু তাই বলে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বকবক