নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do not Dismiss Your Dreams, to be without dreams is to be without hope To be without hope is to be, without Purpose...
কণ্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের চিকিৎসাব্যয় বহন করবে সরকার। এ রকম একটি খবর দেখছি নানা নিউজপোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরণের অনেকেরই দায়-দায়িত্ব নেওয়ার খবর পড়েছি এর আগেও বহুবার। এসব স্বস্তির সংবাদ শুনে ভালো লাগে। এগুলো খুবই প্রশংসনীয় কল্যাণকর উদ্যোগ বটে। কিন্তু দেশের সবার চিকিৎসার দায়িত্বই তো সরকারের। আরও পরিস্কারভাবে সংবিধানমতে (সংবিধানের ১৫নং ১৮ (১) নং অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য) বললে, এই দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
বাইরের দেশের নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত থাকেন। তাদের পুরো শরীরটারই বীমা করা থাকে, এমনকি একটি আঙুলেরও। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে চার দশকেরও ওপরে হয়ে গেলো। তারপরও এমন সুযোগ-সুবিধা মিলছে না কেনো এখনও?
এদিকে যেখানে সকল নাগরিকের দায়িত্বই সরকারের, সেখানে দু-চার-দশ জন ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানোর ঘটনাও তো সরকারের রুটিন তথা স্বাভাবিক কাজকর্ম। তাহলে তো এটি সংবাদ হয় না।
মনে করুন, আমেরিকা-ইংল্যান্ড-কানাডা বা নিউজিল্যান্ডের সরকার কারও চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়ালো, সেরকম সংবাদ কি কখনও দেখেছেন? আমার চোখে পড়েনি আজও।
এরওপর রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের আধুনিক চিকিৎসার সুবিধাও সৃষ্টি করা হলো না এতোদিনেও। অনেকে যুক্তি দিয়ে বলবেন, অনেক সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। মানলাম। তাহলে আমাদের এমপি-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-ভিআইপি-সিআইপিরা চিকিৎসা নিতে থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুর-আমেরিকায় ছোটেন কেনো? এখানেই তো চিকিৎসা নিতে পারেন তারা, নাকি?
০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩৯
মানবানল বলেছেন: হ্যা, তাইতো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্যে।
২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৪৫
মানবী বলেছেন: "বাইরের দেশের নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত থাকেন। তাদের পুরো শরীরটারই বীমা করা থাকে, এমনকি একটি আঙুলেরও।"
-বইমা করার বিষয়টি নিয়ে সেদেশের নাগরিকেরা খুব যে খুশি তা নয়, এতে বীমা কোমপানীদের কাছে চিকিৎসক রুগী উভয় পক্ষকে জিন্মী হয়ে থাকতে হয়। আর দরিদ্র জনগোষ্ঠী বীমা এ্যাফোর্ড করতে না পারায় বিভিন্ন সমস্যার সন্মূখীন হয়।
আমি মনে করি আমেরিকার স্বাস্থ্যনীতির চেয়ে বাংলাদেশেরটা অনেক উন্নত। বিশেষ করে সরকারী হাসাপাতালে বিনামূল্যে ও নাম মাত্র মূল্যে চিকিৎসা সুবিধা এবং বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় সরকারী হাসপাতাল ব্যাপারটিকে সামনে এগিয়ে রাখে।
আমাদের সমস্যা হলো, সে নীতি বা ব্যবস্থা আছে তার যথোপযুক্ত প্রয়োগ ও উন্নয়নে ব্যর্থতা।
দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকারী হাসপাতালগুলোর মাঝে যে অনিয়ম আর ভয়াবহ অন্যায় চর্চা তা নির্মুলে সকল সরকারই ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনীতিবিদ আর নেতাদের চিকিৎসা নিতে বিদেশ গমন এর সবচেয়ে বড় কারণ। কোনভাবে যদি নির্বাচনের সময় একটি শর্ত কঠিন ভাবে জুড়ে দেয়া যায়, নির্বাচিত সদস্য আর তাদের ইমিডিয়েট পরিবার বিদেশ চিকিৎসা গ্রহন করলে সাথে সাথে সদস্যপদ বাতিল, আর তা মেনে চলা হয়- দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা একবছরের মধ্যে উন্নত হতে বাধ্য।
স্বাস্থ্যবীমার সিস্টেমটি দারিদ্র অধ্যুসিত দেশের জনগোষ্ঠির জন্য আত্মহনন সম হবে। যে ব্যবস্থা আছে তাকে উন্নত আর নিয়ম নীতি মেনে চলায় কঠোর হলেই সমাধান সম্ভব।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ মানবানল।
০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪১
মানবানল বলেছেন: সুন্দর মতামতের জন্যে ধন্যবাদ। সরকারের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত। স্বাগতম আপনাকে সাথে থাকার জন্য
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার ৭ বছর আগের একটি লেখা, তখন পিসিতে মাত্র বাংলা লেখা সিখছি
"শিক্ষা, স্বাস্থসেবা .. সুযোগ না অধিকার"
view this link
০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪২
মানবানল বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনাকে। ভালো লেগেছে
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রেসিডেন্টের চিকিৎসার নিশ্চয়তা আছে; জিল্লুর সাহেব বিদেশী হাসপাতালে পরলোক গমন করেছেন।