নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনার জীবনের যে সত্য কথাগুলো কেউ জানে না কিংবা কেউ মানে না সেগুলোই আপনার সম্পদ

মানবানল

Do not Dismiss Your Dreams, to be without dreams is to be without hope To be without hope is to be, without Purpose...

মানবানল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিরা কেমন করে জামিনে মুক্তি পায়???

১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪৫

সাম্প্রতিক বেশ কয়েকজন সরকারি আইন কর্মকর্তা নতুন করে নিয়োগ পেয়েছেন। বিষয়টি আলোচনায় এসেছে যখন গ্রেফতারকৃত বিপুলসংখ্যক জঙ্গি আইনের ফাঁকফোকড় পেরিয়ে জামিনে মুক্তি নিয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক যে, জঙ্গিরা কেমন করে জামিনে মুক্তি পায়? তবে কি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট যথাযথ পদ্ধতিতে সাবমিট করা হয় না? তাই, যে কোনো যুক্তিতেই এই দায় রাষ্ট্রপক্ষ এড়িয়ে যেতে পারে না। বিশেষ অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের কেনো বিশেষ আইনে বিচার করা হবে না???
সেক্ষেত্রে জামিনপ্রাপ্তরা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য আরও ভয়ানক মূর্তিতে আবির্ভূত হতে পারে। সুতরাং, আইন মন্ত্রণালয়ের উচিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে বিচারের বিষয়টি নিশ্চিত করা।
সূত্র বলছে, কারাগার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে দুর্ধর্ষ জঙ্গিরা। ফলে বাড়ছে নাশকতার আশঙ্কাও। কৌশল বদল করে তারা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যাচ্ছে। কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে চলতি বছরের প্রথম ২ মাসে জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছে ১২ জঙ্গি। আর গত ছয় মাসে কারাগার থেকে জামিনে বের হয় ১৪৮ জন জঙ্গি। তাদের সবার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) কর্মকর্তারাও।
তাদের মতে, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে দীর্ঘদিনের চেষ্টায় জঙ্গিদের গ্রেফতারের পর তারা রিমান্ডে নেয়। তারপর কিছুদিন পরই ওই জঙ্গিরা জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ফরম সরবরাহ করেছে পুলিশ। সেখানে জামিনপ্রাপ্ত জঙ্গিদের অন্তত ২০ ধরণের তথ্য লিখে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ ও কারাগার সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ১১ জুন পর্যন্ত কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৪৮ জঙ্গি জামিনে মুক্ত হয়। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে জামিনে বের হয় ১৩ জন। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসে ১১৪ জন জামিনে মুক্ত হয়। চলতি মাসের গত ১১ দিনে জামিনে বের হয় ২১ জন। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ঢাকার উপকণ্ঠ সাভার ও আশুলিয়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আইএস মতাদর্শ অনুসরণকারী নব্য জেএমবি, পুরোনো জেএমবি (জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ), আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হরকাতুল জিহাদ (হুজি-বি) ও হিযবুত তাহ্‌রীরের সদস্যরা রয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন কারাগারে এখন ৬৬৯ জন জঙ্গি আছে। এদের মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতাসহ দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে রাখা হয়। গত রোববার পর্যন্ত হাইসিকিউরিটিসহ কাশিমপুরের চারটি কারাগারে ছিলো ২৪৫ জন জঙ্গি। এর মধ্যে হাইসিকিউরিটিতে ২০০ জন, কাশিমপুর-১-এ ১৭ জন, কাশিমপুর-২-এ ২০ জন ও কাশিমপুর-৩-এ ৮ জন আছে। এদের মধ্যে ৮ জন নারী, বাকিরা পুরুষ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: টাকার কাছে সবাই নরম, চার্জ শিটটা একটু ভুল ভাল করে দুর্বল করে বানালেই হল, পিপি একটু কম আর্গুমেন্ট করলেই হল, জামিন মন্জুর। টাকা বড়ই মিস্টি!

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

মানবানল বলেছেন: হাহাহা। টাকা তো মিষ্টিই। এজন্যই তো জঙ্গিরা পার পেয়ে যায়। জিপি, পিপিরা বিষয়টিকে কিভাবে দেখেন, তারাই ভালো বলতে পারবেন!

২| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: বিদেশীদের সুদৃষ্টি পেতে হতে জঙ্গি ধরা চালিয়ে যেতে হবে। সব জঙ্গি ধরে যদি আটকে রাখে, তবে নতুন জঙ্গি পাবে কোথায়? এজন্যেই জঙ্গি কিছু ছেড়ে দিতে হয়, প্রয়োজনে যাতে আবার ধরা যায়। মাঝখান থেকে পুলিশ কিছু উপরি ইনকামের সুযোগ পায়।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

মানবানল বলেছেন: ঠিক বলেছেন। পুলিশের কিন্তু উভয় দিক থেকেই লাভ। Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.