নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনার জীবনের যে সত্য কথাগুলো কেউ জানে না কিংবা কেউ মানে না সেগুলোই আপনার সম্পদ

মানবানল

Do not Dismiss Your Dreams, to be without dreams is to be without hope To be without hope is to be, without Purpose...

মানবানল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিক্ষাবৃত্তির নতুন নতুন কৌশল!

১৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

রাস্তা-ঘাটে আমার প্রচণ্ড রাগ হয়, যখন দেখি একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হাত পাতছে। আমি কখনও-ই এসব মানুষকে ভিক্ষা দিই না। তো কাল গিয়েছিলাম মৌচাক মার্কেটে। ঢুকতেই সাত কিংবা আট বছরের তুলি নামের একটি শিশু সামনে হাত পেতে দাঁড়ালো। বললো, ঈদের জামা কিনবো দুইটা টেকা দ্যান। আমি বললাম, সত্যি ঈদের জামা কিনবে? জানালো, হুম। আমি যদি জামা কিনে দিই জামার জন্য আর ভিক্ষা করবে না তো? বললো, না। আমি ওকে নিয়ে দোকানে গেলাম এবং ওর পছন্দ মতো একটা জামা কিনে দিলাম। এর মধ্যে অন্তত আরও দশ জন মহিলা আমাকে ঘিরে ধরলো তাঁদের প্রত্যেকের কোলে একটি করে শিশু। প্রত্যেকে বলছে, আমারে কিছু দেওন লাগতো না আমার এই বাচ্চাটারে একটা নতুন জামা কিনে দেন। এই মহিলারা বয়সে তরুণী ও কাজে-কর্মে পুরোপুরি সক্ষম । আমি শিশুটির গায়ে জামা পরিয়ে একটা ছবি তুললাম। এরপর বললাম, সোজা ঘরে যাবে আর যেনো জামার জন্য ভিক্ষা করতে না দেখি। দোকানদার হাসতে হাসতে বললো,, ভাই জামায় বালু লাগায়ে দেন নাইলে আমাদের কাছেই আবার বিক্রি করতে আসবে। দশ মিনিট পর দেখলাম, শিশুটি আবারও সবার সামনে হাত পাতছে, আমারে দুইডা টেহা দেন, ঈদের জামা কিনমু।
ইদানিং সব মার্কেটের সামনে এমন অনেক শিশু এবং নারী শিশুরা ঈদের জামা কেনার জন্য ভিক্ষা করে থাকে। এটা মুলত ভিক্ষাবৃত্তির নতুন স্টাইল। এই টাকা দিয়ে তারা জামা কিনে না। কেউ জামা দিলেও আবার বিক্রি করে দেয়। আর যে সমস্ত নারী-শিশু কোলে শিশু নিয়ে ঘোরে, তাঁদের বেশীরভাগ শিশু ভাড়া করা। অনেকেই আছেন, নিজে শপিং করার সময় এদেরকে দেখে মায়ার বশবর্তী হয়ে কাপড় কিনে দেন। এমনকি অনেকে বড়ো অংকের টাকাও দেন। কিন্তু আসলে তারা প্রতিদিনই ভিক্ষা করতে আসে। আরও এক শ্রেণী রয়েছে বৃদ্ধ। তারা হাত পেতে নামাজ পড়ার জন্য লুঙ্গি চান কিংবা পাঞ্জাবি।
আসলে আমরা বাঙালিরা অলস জাতি। তাই হাত পাতা খুব সোজা। এ কারণে ভিক্ষাবৃত্তি অনেক দরিদ্র মানুষের পছন্দের পেশা। রাজধানীতে তো রীতিমতো এদের নিয়ে বড়ো অংকের ব্যবসা করছে একটি চক্র। সেদিকে যাবোনা। আমার কথা হলো, কোনো সুস্থ মানুষকে ভিক্ষা দেওয়া মানে সমাজকে আরও বেশি করে অলস বানিয়ে ফেলা। গত বছর পর্যন্ত আমি মানবিকের হয়ে কাজ করেছি। ঈদ ও শীতে কাপড় দিয়েছি। এখন আমি এই কাজ করি না। শহরের বস্তি ও বিভিন্ন স্টেশনে থাকা দরিদ্র মানুষ এভাবে প্রতি বছর অনেক শীতের কাপড় বা ঈদের কাপড় পায়, সেগুলো তারা বেশিরভাগ বিক্রি করে দেয় । এছাড়া আরও নানা ধরণের সাহায্য তারা পেয়ে থাকে। অথচ গ্রামে আমাদেরই কাছাকাছি বাড়িতে কিংবা কাছের-দূরের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা ঠিকমতো খেতে পারছেন না, কাপড় নেই, অথচ ভিক্ষা করতেও পারেন না। আমরা যদি প্রত্যেকের এলাকায় আত্মীয়-প্রতিবেশীদের মধ্যে এমন দুস্থ মানুষদেরকে সহায়তা করি তাহলে আমাদের যাকাত বা অন্যান্য দানগুলো সত্যিকারের অভাবী মানুষদের হাতে পড়বে। ভিক্ষা অত্যন্ত লজ্জাকর একটা পেশা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজের প্রতি অনীহার জন্য এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক আয়ের জন্য মানুষ ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নিচ্ছে । আসুন ভিক্ষাবৃত্তিকে না বলি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

Taufik Alahi বলেছেন: ঠিক বলেছেন

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

মানবানল বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে

২| ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

হ্যািপ ভুঁইয়া বলেছেন: সচেতন হতে হবে আমাদের আগে। কষট হলেও ভিক্ষা দেওয়া আগে বনদ করুন। একানতই তাদের দিন যার কাজের সামরথ নেই।
ভিক্ষা না পেলে একদিন তারা এই পেশা ছেড়ে দিবে।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪১

মানবানল বলেছেন: আমরা সবাই সচেতন হলেই তবে এই ঘৃণ্য পেশাটি বন্ধ করা যাবে হয়তো একসময়। কিন্তু এটা বন্ধ করতে হলে সরকারকেই একটা কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্যে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.