নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনার জীবনের যে সত্য কথাগুলো কেউ জানে না কিংবা কেউ মানে না সেগুলোই আপনার সম্পদ

মানবানল

Do not Dismiss Your Dreams, to be without dreams is to be without hope To be without hope is to be, without Purpose...

মানবানল › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘এই পাসপোর্টধারীর জন্ম হয়েছে বিমানে’

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:৫৯

সৌদিআরব থেকে কোচি যাওয়ার পথে তুর্কিজ এয়ারলাইনে-এ একটি (ভারতীয়) নবজাতক শিশু জন্মগ্রহণ করে। তাই এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে আজীবনের জন্য ফ্রি টিকিট (গোল্ডেন টিকেট) দিয়েছে। বাহ! এইসব নিউজ শুনলে ভালো-ই লাগে। আমি চিন্তা করছি, আগামী মাসে আমার ইয়েকে নিয়ে বিমানে উঠবো। ঠিক ওই সময়...
ইস, যদি বিমানে জন্ম হতো!
আপনি কতোবার বিমানে চড়েছেন? যদি চড়ে না থাকেন তাহলে মাঝে-মাঝেই বিমানে চড়ার অনেক স্বপ্ন জাগে মনে, তাই না? আর যদি চড়েই থাকেন তাহলে কতোবারই বা চড়েছেন? অবার অনেকর হয়তো একবারও চড়া হয়ে ওঠেনি বিমানে। যেটাই হোক, বিমানে চড়াটা তো খরচ সাপেক্ষও বটে। অনেক টাকা খরচ হয়। মাঝে-মাঝে মনে হয় না, ইস যদি একটু টিকিটের দাম কম হতো, তাহলে আপনি আরও বেশিবার বিমানে চড়তে পারতেন।
এমন ভাবনাটা কিন্তু মোটেই আকাশ-কুসুম কল্পনা নয়। একটা জিনিস হলে আপনি বিনা খরচে বিমানে চড়ে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে পারেন! হ্যাঁ, নিয়ম আছে, যদি কারও জন্ম বিমানের মধ্যেই হয়, তাহলে তার কখনও বিমানের টিকিট লাগে না। সে দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় ঘুরতে পারে। সব এয়ারলাইন্স অবশ্য এই সার্ভিস দেয় না। যারা দেয়, সেইসব এয়ারলাইন্সের নাম হলো–থাই এয়ারওয়েজ, এশিয়া প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া আর পোলার এয়ারলাইন্স। ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইন্সও এই সুযোগ দেয়। তবে সেটা ২১ বছর বয়স পর্যন্ত।

একজন শোনা ওয়েন :
পাসপোর্টের জন্য বেশ ঝামেলায় পড়েন শোনা ওয়েন। কারণ, পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের বোঝানো বেশ কষ্টকর তাঁর জন্মভূমিতে নয় বরং এর ৩৬ হাজার ফুট ওপরের আকাশে। শোনা ওয়েন হাতেগোনা কয়েকজন মানুষের একজন যাঁদের জন্ম হয়েছে বিমানে। তাঁর পাসপোর্টে স্পষ্ট করে লেখা আছে, ‘এই পাসপোর্টধারীর জন্ম হয়েছে বিমানে’।
সিএনএন’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে শোনা ওয়েনের গর্ভবতী মা ডেবি ওয়েন আরেক মেয়ে ক্লারাকে নিয়ে ঘানা থেকে বিমানে উঠেছিলেন। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ওই বিমানের গন্তব্য ছিলো লন্ডন। বিমানযাত্রার মাঝপথে ডেবি ওয়েনের ব্যথা ওঠে। পরে বিমানের প্রথম শ্রেণীতে নেওয়া হয় তাঁকে। ওই সময় তাঁর সহায়তায় এগিয়ে আসেন এক চিকিৎসক যাত্রী। ইউরোপের আকাশে পৌঁছার পর পরই জন্ম হয় শোনা ওয়েনের। জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয়েছিলো শোনা ক্রিস্টি ইভ (Shona Kirsty Yves) ইংরেজি নামের প্রতিটি আদ্যাক্ষর নিলে শব্দটি দাঁড়ায় SKY।
কাকতালীয় হলেও আকাশে জন্ম নেওয়া শোনার ওয়েনের চাকরিও ভ্রমণ বিষয়ক। তাঁকে প্রায়ই বিমানে চলাচল করতে হয়। আর নিজের জন্ম যেহেতু বিমানে, তাই এই বিষয়ে একটু জানার চেষ্টা করেন শোনা ওয়েন। শোনা ওয়েন বলেন, অধিকাংশ বিমান সংস্থা আকাশে তাঁদের উড়োজাহাজে জন্ম নেওয়া শিশুদের হিসাব রাখে না। তবে বিভিন্ন বিমান সংস্থা সূত্রে জানা যায়, আকাশে জন্ম নেওয়া শিশুদের সংখ্যা একদমই নগণ্য।
শোনা বলেন, গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত কোনো নারীকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয় না। তবে ২৮ সপ্তাহের পর থেকেই ডাক্তারের বিশেষ অনুমতিপত্রের প্রয়োজন হয়। এতো নিরাপত্তা নেওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে জন্মের তারিখের বেশ আগেই বিমান ভ্রমণকালে শিশুর জন্ম হয়।

শিশু তুমি কোন দেশি?
বিমানে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর জন্য সবচেয়ে ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায় জাতীয়তা। একেক দেশের জাতীয়তার আইন একেক রকম। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, এর স্থল, জল বা আকাশসীমায় জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুই মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করে। পৃথিবীর অনেক দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভূমি আইন অনুসরণ করা হয়। তবে যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ আবার এমন নিয়মের অনুসারী নয়। তাই এসব দেশের সীমানায় জন্ম নিলেও জাতীয়তা পাবে কি-না, তা নিশ্চিত নয়।

সারা জীবন বিনামূল্যে বিমান ভ্রমণ?
প্রচলিত একটি ধারণা হলো, বিমানে জন্মগ্রহণ করা কোনো শিশু সারা জীবন বিনামূল্যে বিমানে ভ্রমণ করতে পারে। এটি পুরোপুরি না হলেও আংশিক সত্য। থাই এয়ারওয়েজ, এশিয়া প্যাসিফিক এয়ারলাইনস, এয়ার এশিয়া ও পোলার এয়ারলাইনসসহ হাতেগোনা কয়েকটি বিমান সংস্থা তাদের উড়োজাহাজে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুকে বিনামূল্যে সারা জীবন বিমান ভ্রমণের সুযোগ দেয়। এছাড়া ভার্জিন আটলান্টিকসহ কয়েকটি বিমান সংস্থা দু’একবার বিনামূল্যে বিমান ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
লেখার শুরুতে উল্লেখিত ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানে জন্ম নেওয়া শোনা ওয়েন দু’বার বিনামূল্যে বিমানে চড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। শোনার ১৮ বছর উপলক্ষে বিমান সংস্থাটি তাঁকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া-আসার প্রথম শ্রেণীর টিকেট দিয়েছিলো। তবে এজন্য বিমান সংস্থার হয়ে একটি প্রচারণায়ও অংশ নিতে হয়েছিলো তাঁকে। শোনা ওয়েনের মতে, বিমানে জন্ম নেওয়া শিশুকে পুরস্কার দেওয়ার কোনো মানে নেই। বরং বিমানে কষ্ট করে শিশুর জন্ম দেওয়া মাকে পুরষ্কৃত করা উচিত।
বিমানে গতকাল জন্ম নেয়া শিশু

তুর্কিজ এয়ারলাইন্স’র পোস্ট


সুন্দরী এয়ারহোস্টেসদের সেলফি

শোনা ওয়েন ও তাঁর জন্ম নেয়া শিশু

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো, পড়লাম, জানলাম।
সোমালিয়ান এয়ারলাইনসে যেন কারো জন্ম না হয়।

২১ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৫:০৪

মানবানল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। পড়লেই কেবল জানা যায়। সোমালিয়ানে কি কোনো অভিজ্ঞতা আছে? শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.