নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনার জীবনের যে সত্য কথাগুলো কেউ জানে না কিংবা কেউ মানে না সেগুলোই আপনার সম্পদ

মানবানল

Do not Dismiss Your Dreams, to be without dreams is to be without hope To be without hope is to be, without Purpose...

মানবানল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিনিকেট চাল আর আমরা বোকা ভোক্তা!

২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

'মিনিকেট' নামে ধানের কোনো জাত নেই। সাধারণ মোটা চাল মেশিনে চিকন করা হয়। তার নাম হয় মিনিকেট। এই চালের পুষ্টিগুণ কমে যায়। চাল ব্যাবসার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের মুখ থেকেই এসব তথ্য পেয়েছি। বিষয়টি চরম উদ্বেগের। শুধু মুনাফার লোভেই ব্যবসায়ীরা দেশবাসীর প্রধান খাদ্যপণ্যের এই হাল করবে এবং মানুষ না জেনে সেগুলোকে উৎকর্ষ ভেবে বেশি দামে কিনবে-এ ধরণের প্রতারণা মেনে নেয়া যায় না। সরকারের উচিত বিষয়টি তদন্ত করা। মানুষকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণাও দরকার। এ ধরণের অপকর্ম হয়ে থাকলে তা নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ কিংবা ভারত-কোনো দেশেই মিনিকেট নামে ধানের কোনো জাত নেই। মূলত একশ্রেণীর চালকল মালিক ভোক্তাদেরকে বোকা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মোটা চাল ছেঁটে সরু করে তা মিনিকেট নামে চালিয়ে যাচ্ছে।
১৯৯৫ সালের দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের কৃষকদের মাঝে সে দেশের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন জাতের চিকন ‘শতাব্দী ধানবীজ’ বিতরণ করে। মাঠপর্যায়ে চাষের জন্য কৃষকদেরকে এ ধানবীজের সঙ্গে আরও কিছু কৃষি উপকরণসহ একটি মিনিপ্যাকেট প্রদান করে ভারতীয় সরকার। মিনিপ্যাকেটে করে দেয়ায় ভারতীয় কৃষকদের কাছে এ ধান শেষমেষ মিনিকিট বলেই পরিচিতি লাভ করে। কৃষকরা মিনিপ্যাকেট শব্দটির মধ্য থেকে ‘প্যা’ অক্ষরটি বাদ দিয়ে মিনিকেট বলে পরিচয় দিতে শুরু করে। মোটা চালকে পলিশ করে মিনিকেট চাল বলে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু এসব দেখবে কে আর কেই-বা এ গুরুতর অপরাধের শাস্তি দেবে?
অটোরাইস মিলে রয়েছে একটি অতি বেগুনি রশ্মির ডিজিটাল সেন্সর প্ল্যান্ট। এর মধ্য দিয়ে যে কোনো ধান বা চাল পার হলে সেটি থেকে প্রথমে কালো, ময়লা ও পাথর সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর মোটা ধান চলে যায় অটোমিলের বয়লার ইউনিটে। সেখানে পর্যায়ক্রমে ৫টি ধাপ পার হবার পর লাল কিংবা মোটা চাল সাদা রংয়ের আকার ধারণ করে। এরপর আসে পলিশিং মেশিংয়ে। অতি সুক্ষ্ম এই মেশিনে মোটা চালের চারপাশ কেটে চালটিকে চিকন আকার দেয়া হয়। এরপর সেটি আবারও পলিশ ও স্টিম দিয়ে চকচকে শক্ত আকার দেয়া হয়। শেষে সেটি হয়ে যায় সেই কথিত এবং আকর্ষণীয় মিনিকেট চাল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, একমাত্র পশ্চিমের জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গা জেলাতে কথিত ‘মিনিকেট’ ধানের চাষ হয়। ‘মিনিকেট’ নামে বাংলাদেশসরকার অনুমোদিত কোনো জাতের ধান নেই। বিআর ২৮, কল্যানী, স্বর্ণা, গুটিস্বর্ণা, লাল স্বর্ণা আইঅর-৫০, জাম্বু ও কাজল লতা জাতের ধান ছেঁটে মিনিকেট বলে বাস্তায় ভরে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে এ চালের ব্যাপক চাহিদার জন্য এ ‘মিনিকেট’ প্রতারণার ব্যবসা চলছে। ব্যবসা করা হালাল কিন্তু মানুষ ঠকানো কি?

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দায়িত্বপ্রাপ্তরা এই বিষয়ে চোখে ঠুলি পরে আছেন.........

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:০১

মানবানল বলেছেন: কি আর করা! আমরা আমজনতা তো এসব সয়েই অভ্যস্ত। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য

২| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


খাদ্য ব্যবসার মালিক হতে হবে সাধারণ মানুষকে; জাতির মুল খাদ্য ব্যবসাগুলো অসৎদের থেকে কেড়ে নেয়ার দরকার।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৩

মানবানল বলেছেন: সাধারণ মানুষ কিভাবে পারবে বলুন, নুন আনতে পান্তা ফুরোয় যাদের! কাড়ি কাড়ি যাদের টাকা আছে তারাই করবে, করুক এই ব্যবসা! তবে তাদের লাগাম টেনে ধরাটা জরুরী। ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামত প্রদানের জন্য।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মিনিকেট সম্পর্কে এসব তথ্য আগেও পত্রিকায় পড়েছি। ব্যবসায়ীদের এসব কারসাজি দেখার কেউ নেই।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:১৪

মানবানল বলেছেন: দেখার আসলে কেউ আছেন। কিন্তু সমস্যা হলো যিনি দেখবেন তিনি তো অন্ধ হয়েই বসে আছেন পা দু’খানা টেনে। কেননা এর একটি ভাগও তিনি পেয়ে থাকেন যে।

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবানল ,




আমরা দীর্ঘদিন থেকে জেনেশুনেই এই চাল খাচ্ছি । তাই মিনিকেটের বাজার বাড়বাড়ন্ত । সচেতনতার অভাব আছে আমাদের ।

আর এমন ধাপ্পাবাজী কে দেখবে ? এদেশে দেখার কেউ নেই ।

সবাই মিলে "মিনিকেট" চালকে বয়কট করাই হবে যোগ্য প্রতিকার ।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:১৭

মানবানল বলেছেন: আমরা হলাম হুজুগে বাঙালি। স্ট্যাটাস নিয়ে চলি! এই চাল খাওয়াটাও একটি স্ট্যাটাসের আওতায় পড়ে। বিগত কয়েক যুগ ধরেই এমন অনিয়ম আর প্রতারণা চলে আসছে। সরকারও চোখ বুঝে আছে! তাই আমরা নিজেরাই আগে সচেতন হই। ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামত প্রদানের জন্য

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি গত চার বছর ধরে বাজার থেকে মিনিকেট কিনছি। ৩৮ টাকা থেকে কেনা শুরু করেছি। এখন কিনছি ৬০ টাকা দিয়ে।
এর সমাধান কি? সরকার বড় বড় ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:২০

মানবানল বলেছেন: আপনি কিনেছেন ষাট টাকা দিয়ে আর মফস্বলে যারা থাকে তারা কেনে আশি টাকা দিয়ে। এটাও এক ধরণের স্ট্যাটাস, কি বলেন রাজিব ভাই। এটাও অনেক বড়ো বিষয়-কিন্তু সরকার চাইলেই এ প্রতারণার ব্যবসাটি বন্ধ করতে পারে। এটিই একমাত্র সমাধান বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

বনসাই বলেছেন: এ কারণেই মিনিকেট চাল প্রথম থেকেই বর্জন করেছি। নাজিশাইল খাই। মিনিকেট খেলে জাতে উঠা যায় এমনটা কেউ কেউ মনে করেন।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:২৩

মানবানল বলেছেন: ভালো কাজ করেছেন। এভাবে সকলেই যদি এটি বর্জন করে, তবে কতো না ভালোই হতো। অনেকেই মনে করতে পারে, কিন্তু আমরা অনেকেই মনে করি না। ধন্যবাদ

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৩

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: এই সব মিনিকেট ফিনিকেট বাদ দিয়ে মোটা চাল খাওয়া শুরু করতে হবে।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:২৫

মানবানল বলেছেন: মোটা চাল কিন্তু অনেকেই খেতে চায় না। ওখানেই যতো সমস্যা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আমরা বর্জন করি, অন্যকেও বর্জন করতে বলি।

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

সুমন কর বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +।

ভেজালে দেশ ভরপুর।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:২৭

মানবানল বলেছেন: সব অসম্ভবের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ! একসময় কিন্তু এ দেশের মানুষ খাদ্যে ভেজাল মেশাতো না। সময় যতো যাচ্ছে এর প্রবণতা ততোই বাড়ছে। আপনাকেও ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

৯| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

সোহানী বলেছেন: চাল যদি কেটে ছোট করে বিক্রি করে তাতে কি কোন সমস্যা যদি না এতে ভেজাল মেশায়.......

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:২৮

মানবানল বলেছেন: সমস্যা নাই। তবে এ নামে কোনো চাল নেই বাজারে। এটি ব্যবসায়ীদের সৃষ্টি। আর ভেজালের কথা বলছেন-কোথায় নেই!

১০| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: @ সোহানী:

চাল চারপাশটা কেটে বাদ দেয়ার পর ভেতরের অংশটাই আমরা মিনিকেট নামে খাই। আজ যে ডায়বেটিসের বাড়বাড়ন্ত তার পেছনে যদি একটু গবেষণা করে দেখা হয় তাহলে দেখা যাবে এই মিনিকেট চালেরও যথেষ্ট অবদান আছে।

আমাদের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা লাল রঙের চালের প্রতি আমাদের আগ্রহ কম। আমরা ধরে নেই সাদা ও চিকন চাল খেলে আমরা জাতে উঠে যাই।

যেহেতু আমরা ভাত ছাড়া চলতে অপারগ, তাই চাল আমাদের অাবশ্যক খাদ্য। আর সবচেয়ে দরকারি চাল হচ্ছে লাল রঙের চাল। সাদা রঙের চাল বলতে কিছু নেই, সব চালই লাল। তবে মেশিনে ধান থেকে চাল করবার সময় চালের লাল অংশ চেঁচে ফেলে দিয়ে সাদা এবং চিকন করা হয় আকর্ষনীয় দেখাবার জন্য। আর মিনিকেট বানাতে গিয়ে চালের পুষ্টি উপাদান বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৩১

মানবানল বলেছেন: চমৎকার তথ্য সন্নিবেশ করেছেন। আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে।

১১| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২০

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ব্যবসা করা হালাল কিন্তু মানুষ ঠকানো কি?
ওটা পিনিক।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫৯

মানবানল বলেছেন: হাহাহা। বলেছেন বটে!

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: আচ্ছা.....য়া! তবে এর মধ্যে এই ব্যাপার! B:-)

৩০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০০

মানবানল বলেছেন: এর ভেতরেও কিন্তু অন্য ব্যাপার আছে! আপনি সেটা খুঁজে পাননি?

১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট টির জন্য ।
এ বিষয়টি যথাযথভাবে পরীক্ষা করে দেখা সরকারের সংস্লিষ্ট সকলের জন্য একান্ত আবশ্যক । এটা জাতীয় জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয় ।
আমাদের সকলেরই উচিত বিষয়টি নীজ নীজ এলাকার সংসদ সদস্যদের গোচরীভুত করা, যেন বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে পারে । সচেতন বিচারকেরাও স্বতপ্রনোদিত হয়ে সরকারের কাছে বিষয়টির ব্যখ্যা চাইতে পারেন ।

তবে একটি বিষয় পরিস্কার , সংস্লিষ্ট সকল মহলই বিভিন্ন দৃস্টিকোন হতে বিষয়টি দেখবেন বলে ধারনা । কেও বা এগিয়ে আসতে পারেন এটা বন্ধ করতে, আবার কেওবা এগিয়ে আসতে পারেন 'ডাল মে কুচ কালা হ্যায় ' হতে ভয় ভীতি দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ফায়দা উঠাতে ।

কোটারী স্বার্থবাদীরা সবদিক দিয়ে ক্ষমতাবান , তাদের হাতে রয়েছে প্রচার যন্ত্র সহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রন । তারা তাদের মিথ্যা মনগড়া প্রচারের মাধ্যমে দিনকে রাত বানিয়ে ফেলতে পারেন । তাই আমি শ্রদ্ধেয় আহমেদ জি এস ভাই এর কথার সাথে একমত ।

সবাই মিলে "মিনিকেট" চালকে বয়কট করাই হবে যোগ্য প্রতিকার ।

একমাত্র ব্যপক গন সচেতনতাই পারে এটা প্রতিহত করতে ।

যাহোক , জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ তথ্যসম্বলিত এই পোষ্টটিকে স্টিকি করার বিষয় বিবেচনা করে দেখার জন্য
সামু কতৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ থাকল ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০২

মানবানল বলেছেন: প্রীত হলাম। সুন্দর মতামত উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে

১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.