নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যোমকেশ বক্সী

ব্যোমকেশের ডায়েরী

আমি সত্যান্বেষী

ব্যোমকেশের ডায়েরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়েতে অপচয়...

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

একটু বিয়ে নিয়ে কথা বলি...

বিয়েতে অপচয়...

আমাদের দেশে বিয়ের সামাজিকতা এখন এত অনুষ্ঠানসর্বস্ব হয়ে গেছে যে, শুধুমাত্র একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে পান-চিনি,আকদ,দুটো গায়ে হলুদ,বিয়ে,বৌ-ভাত,বিয়াই-ভাত,কুটুম্ব-ভাত সহ আরও কত যে এরকম ভাত তরকারির অনুষ্ঠান আছে তা আমার জানা নাই। চিন্তা করেন এরকম আটটা অনুষ্ঠান করতে কত খরচ হয়??? এরপর আছে কনের জন্য গহনা কেনা, জামাই-বউয়ের জন্য পোশাক কেনা, তারপর দেনমোহর। তারপর অনেক হলুদ অনুষ্ঠানের কার্ডে লেখা থাকে “পুরুষরা হলুদ পাঞ্জাবি,মহিলারা কমলা রঙের শাড়ি পরে আসবেন।” অর্থাৎ এই অনুষ্ঠানে যেতে হলে আবার পোশাক কিনতে হবে।

তারপর বিয়েতে একটি বড় অপচয় হয় খাবারে। আজকাল বিয়ের মেন্যুতে কাবাব,কাচ্চি বিরিয়ানি,রোস্ট,রেজালা,সালাদ,বোরহানি, সফট দ্রিঙ্কস একসাথে সবগুলোই করা হয়। যার ৫০% আসলে প্লেটে নিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এই খাবারের আয়োজন করতে কত খরচ হয় একবার চিন্তা করে দেখবেন। তারপর বাড়তি উপদ্রপ হিসাবে আছে, জামাই আসলে গেটে আটকে ধরে রেখে তাঁকে ছিনতাই করা।

হিসাব করেন এইবার, বিয়ে করতে কত খরচ। কেন এত অপচয় করা লাগবে??? বিয়ের জন্য তো একটা অনুষ্ঠান করলেই হয়। আর হলুদের অনুষ্ঠান বাসাতেই করলে হয়। আর এত মানুষজনকে যে আপ্যায়ন করবেন, অধিকাংশই কি করে জানেন বাড়ি যেয়ে?? অনুষ্ঠানের ত্রুটি বলবে,খাবার এর আয়োজনের দশটি দোষ বের করবে। জামাই এর মাথায় চুল কম, বউএর নাক বোঁচা, শাশুড়ির দাঁত উঁচু ইত্যাদি ইত্যাদি। কারণ আমাদের আর যাই হোক, সমালোচকের অভাব কোনদিন হবে না।

আচ্ছা যাদের জন্য এত করবেন, তারা যদি এইসব বলে তখন আপনার কেমন লাগবে? একটা কাজ করা যায় না, বিয়ের জন্য যে বাজেট সেটা তিনভাগ করি। একভাগ বিয়ের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য, একভাগ যাদের বিয়ে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দেয়ার জন্য, আর একভাগ মানুষের কল্যানের জন্য ব্যয় করলাম। যেমনঃ কোন মসজিদের কাজের জন্য দান করলাম। তাহলে যত মুসল্লি কেয়ামত পর্যন্ত ঐ মসজিদে নামাজ পড়বে তারা ঐ দম্পত্তির জন্য দোয়া করবে। তাঁদের নামে রাস্তার দুই পাশে কয়েকশ গাছ লাগানো যায়। তাহলে ঐ গাছ থেকে যতদিন মানুষসহ অন্য প্রাণীরা উপকার পাবে ততদিন তাঁদের নামে সওয়াব হবে। আরও করা যায়, যেমন কোন একটা এলাকায় গভীর নলকূপ বসিয়ে দিলাম। যাতে মানুষ ভালোভাবে পানি খেতে পারে। কাউকে ঐ টাকা থেকে যাকাত দেয়া যেতে পারে, যাতে ঐ মানুষটার অভাব দূর হয়। এভাবে আরও অনেক কাজ করা যায়।

নবীজি(সঃ) কে একবার এক সাহাবী বিয়ে সক্রান্ত একটা প্রশ্ন করেছিলেন। তাঁর উত্তরে নবীজি(সঃ) বলেন, “সেই বিয়েই উত্তম, যে বিয়েতে খরচ সবচেয়ে কম হয়।”

আমাদের তো হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করার দরকার নাই। আপনি একটা লিস্ট করে দেখুন, কয়টা মানুষ সারা বছর আপনার সুখে দুখে পাশে ছিলেন। খুব বেশি পাবেন না। হাতে গোনা ১০-১২ জন। তাও খুজতে যেয়ে ঘাম ছুটে যাবে। এদেরকেই আপ্যায়ন করলে হবে। যারা তৃপ্তি সহকারে খাবেন, প্রাণ ভরে দোয়া করবেন আর হাসতে হাসতে ফিরে আসবেন।

মনে রাখবেন কোরআনে স্পষ্ট করে বলা আছে, “অপচয়কারী শয়তানের ভাই।”

আমি নিজে এই ধরণের কোন অনুষ্ঠানে যাই না। গত দুই বছর ধরেই যাই না।

কারণ অপচয়কারীর কাছ থেকে আমার কিছুই শেখার নাই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: নবীজি(সঃ) কে একবার এক সাহাবী বিয়ে সক্রান্ত একটা প্রশ্ন করেছিলেন। তাঁর উত্তরে নবীজি(সঃ) বলেন, “সেই বিয়েই উত্তম, যে বিয়েতে খরচ সবচেয়ে কম হয়।”




বিয়ের খরচ মানে প্রকাশ্যে আপোষে ছিনতাই করা। আগামী মাসেই ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। আর আমারা বাবার একটি দু:খ ভারাক্রান্ত সময়। বাসার সবাই শুধু কষ্ট করে খরচের ক্ষেত্র বের করছে।




শুভ কামনা আপনার জন্য।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

ব্যোমকেশের ডায়েরী বলেছেন: আমরা আসলে ধর্মীয় শাসন এর থেকে, সামাজিক আচার বিধি পালন করি বেশি। আনন্দ ফুর্তি ঠিক আছে, তাই বলে সেটা অপচয়ের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

সোহানী বলেছেন: :( :( :( :( :( :( বিয়েতো ভাই একবারই করবো.... তাই যদি একটু আনন্দ ফুর্তি করি তা কি দোষের ??? দান বা গাছ লাগানোর জন্যতো সারাটা জীবন পড়ে আছে !!!!!.......

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

ব্যোমকেশের ডায়েরী বলেছেন: আমরা আসলে ধর্মীয় শাসন এর থেকে, সামাজিক আচার বিধি পালন করি বেশি। আনন্দ ফুর্তি ঠিক আছে, তাই বলে সেটা অপচয়ের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

রবি কিরণ বলেছেন: আনন্দ ফুর্তি ঠিক আছে, তাই বলে সেটা অপচয়ের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না।

আপনার সাথে আমি ১০০% সহমত। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১০

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: দারুন লিখেছেন। বিয়ের খরচকে তিন ভাগে ভাগ করার আইডিয়াটা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

ব্যোমকেশের ডায়েরী বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: বিয়ে ত একবার ই করবেন, যেই টাকা বিয়েতে অনর্থক খরচ করেন ওই টাকা নিজেদের জন্য রাখেন। সংসার ভালভাবে শুরু করেন।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১০

ব্যোমকেশের ডায়েরী বলেছেন: একদম ঠিক

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
“সেই বিয়েই উত্তম, যে বিয়েতে খরচ সবচেয়ে কম হয়।”

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০২

মাহবু১৫৪ বলেছেন: আমি বিয়েতে খরচ কম করার পক্ষে।

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: অনেকে দেনমোহরের টাকা বাকী রাখে কিন্তু মেজবান ঠিকভাবেই করে। চট্টগ্রামে একেকটা বিয়েতে কম না হলেও আট খেকে দশ লাখ টাকা খরচ করা হয়। কে কত জাকজমকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে পারল সেটা দিয়ে স্ট্যাটাস নির্ধারিত হয়। জীবনে একবার বিয়ে ঠিক আছে কিন্তু যতটুকু খরচ করার দরকার ততটুকুই খরচ করা উচিত। অনেকে আবার দাওয়াতের ক্ষেত্রে উপটোকর প্রাপ্তির আশায় ধনী আত্মীয়ের দাওয়াত দেয়াকে প্রাধান্য দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.