নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যোমকেশ বক্সী

ব্যোমকেশের ডায়েরী

আমি সত্যান্বেষী

ব্যোমকেশের ডায়েরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রীকে পড়ানোর পর

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানো শেষে চলে আসার সময় বললাম, তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিল, কিছু দিন ধরেই বলতে চাচ্ছি। কিন্তু কিভাবে যে বলি ! ছাত্রী বললো, কি বলবেন, বলেন, কোন সমস্যা নেই? আমি বললাম, না থাক, আরেক দিন বলবো ... এরপর থেকে ছাত্রী প্রতিদিন পড়ানো শেষ হলে চলে আসার সময় জিজ্ঞেস করতো, স্যার আপনি না আমাকে কি যেনো বলতে চেয়েছিলেন, আজকে বলেন! আমি একই উত্তর দেই, আরেকদিন বলবো ।



পঞ্চম দিনের মাথায় ছাত্রী জানালো, স্যার কালকে দুপুর বেলা পড়তে পারবো না, তখন আমরা বেড়াতে যাব । ওখান থেকে সন্ধার সময় আসবো । সন্ধ্যার পরে পড়বো । আমি বললাম, আচ্ছা আমি সন্ধ্যার দিকেই আসবো । পরদিন সন্ধ্যার সময় ওদের বাসায় গেলাম, গিয়ে তো আমি অবাক ! বাসা পুরো খালি, বাসায় ছাত্রী ছাড়া কেউ নেই ! আরও অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ,যে ছাত্রী সারা বছর সেলোয়ার কামিজ পরে, সে আজকে সুন্দর করে সেজে গুজে শাড়ি পরেছে ! একেবারে কড়া সাজ দিয়েছে ! এমনিতেই তো মেয়েটা অনেক সুন্দর, সাজার কারনে আজকে আরও বেশী সুন্দর লাগছে ।



আমি জিজ্ঞেস করলাম, তোমার পরিবারের লোকজন কই ?? তাদের কেদেখছি না কেনো? লাজুক হেসে ছাত্রী জবাব দিলো, সন্ধ্যার দিকে বাড়ির সবাই মিলে মামাতো বোনের জন্মদিনে গেছে ! সবার আসতে আসতে রাত ১১ টা বেজে যাবে । আমি বলেছি আমার শরীর খারাপ লাগছে, আমি যেতে পারবো না, মিথ্যে বলে তাদেরকে পাঠিয়ে দিয়েছি !



আমি বললাম, আর আমাকে মিথ্যে বলেছ যে দুপুরে তোমরা বেড়াতে যাবে ! এত মিথ্যে কথা শিখে গেছো ?! আমার কথা শুনে ছাত্রী খিল খিল করে হাঁসতে লাগলো । বললো, আপনার জন্যই তো এমন করলাম। আপনি অনেক দিন ধরেই আমাকে কী যেনো একটা বলতে চাইছেন! অথচ লজ্জায় বলতে পারছেন না! আজকে বাসায় কেউ নেই, আজকে বলেন স্যার । কি বলতে চান ??? আমি বললাম, আসলে তোমাকে কথাটা কিভাবে যে বলি ! আমার লজ্জা করছে । কিছু মনে করবে না তো ? ছাত্রী বললো, আপনার যা খুশি বলতে পারেন। আমার কোনো সমস্যা নেই, আমি কিছুই মনে করবো না । আপনার মনের কথাটা শোনার জন্যই তো আজকে সন্ধ্যার দিকে আসতে বলেছি !



আমি বললাম,আসলে কথাটা হচ্ছে … না থাক তুমি কি মনে করো ! ছাত্রী বললো , প্লীজ স্যার বলেন, আমি কিছুই মনে করবো না । বলেই গভীর দৃষ্টিতে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো ! আমি বললাম, মানে .. কথাটা হচ্ছে …… . .. ইদানিং হাতটা খুব টানা টানি যাচ্ছে । তোমাদের এখানে প্রায় তিন মাসের বেতন আটকে আছে । বেতন টা দুই এক দিনের মধ্যে দিয়ে দিলে আমার খুব উপকার হতো । নিজের মুখে বেতন চাইতে লজ্জা করছিল। তাই বলি বলি করেও বলতে পারছিলাম না ! তোমরা যদি কিছু মনে করো !!!



কথাটা শোনার পর ছাত্রী প্রচন্ড হতাশ হইয়া আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহিল….. :v :v :v



=============== ====



টিউশনের টাকায় আমাদের মত কিছু ছাত্রের থাকা, খাওয়া, শিক্ষা কার্যক্রম চলে, মাঝে মাঝে দুমাস বা তিন মাসেও আটকে থাকে বেতন খানা, লজ্জাকে বিসর্জন দিতে হয় অনিচ্ছায় ! সেই সময় গুলোতে এধরনের অভিজ্ঞতার গল্প জমা পরে গৃহ শিক্ষকের সাহিত্য জগতে।



(ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত! অনেক পয়সাওয়ালা গার্জিয়ানও দেখি এই ফাইজলামিগুলা করে X(( X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.