নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একের পর এক প্রতিযোগিতায় জিতে, খ্যাতি পুরস্কার আর ভক্ত অনুুরক্তের ভীড়ে যুবক তীরন্দাজ এত বেশি অহংকারী হয়ে উঠলো যে গুরুকেও চ্যালেঞ্জ করে বসলো… বহুদূর থেকে নিশানার ঠিক মাঝখানে তীর ছোড়ার পর ২য় তীর ছুঁড়ে সেটাকেও দু‘ভাগ করে ফেলতে পারে সে… দৃপ্তভঙ্গিতে গুরুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো আপনি কি এমনটি পারবেন? গুরু কিছুই বললেন না...
একদিন শিষ্যকে নিয়ে তিনি চললেন পাহাড়ের দিকে… অনেকটা পথ যাওয়ার পর এসে থামলেন পাহাড়ের ওপরের একেবারে শেষ মাথায়… এগুতে হলে এখন যেতে হবে ঐ দূরের পাহাড়ে… কিন্তু মাঝখানে এক খরস্রোতা নদী, ভয়ঙ্কর গর্জনে বয়ে চলেছে অজানার উদ্দেশ্যে… একটাই উপায়/ আর তাহলো দুই পাহাড়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে যে গাছের কাণ্ডটি তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া… অমসৃণ এবং গোলাকার নড়বড়ে ঐ গাছের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতেও যেকোনো বীরপুরুষের আত্মা খাঁচাছাড়া হয়ে যাবে… সেখানে শিষ্যকে বিস্মিত করে দিয়ে গুরু গাছের মাঝখানে চলে গেলেন এবং স্থির দাঁড়িয়ে নিশানা করলেন বহুদূরের এক গাছের আগার এক ছোট ডালকে… মুহূর্তেই গিয়ে বিঁধলো নিশানায়… গুরু এবার আমন্ত্রণ জানালেন শিষ্যকে… কিন্তু এভাবে নিশানা করা দূরে থাক গাছের ওপর গিয়ে পৌঁছবে কীভাবে তা ভেবেই সে কাঁপতে লাগলো ভয়ে…
গুরু তখন বললেন, হাতের ওপর তোমার দখল এসেছে ঠিকই, কিন্তু মনের ওপর নয়... দক্ষ তীরন্দাজ হতে হলে তোমাকে আরো সাধনা করতে হবে...
Moral: কখনও অহংকার করবেন না... কারণ যেটা নিয়ে আপনি অহংকার করবেন, সেটিই হবে আপনার পতনের কারণ...
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
খাটাস বলেছেন: চমৎকার ডায়েরি ভাই। +++
সম্ভব হলে এমন আরও পোস্ট দেবেন। শুভ কামনা।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০১
ব্যোমকেশের ডায়েরী বলেছেন: অবশ্যই
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১২
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।