নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যোমকেশ বক্সী

ব্যোমকেশের ডায়েরী

আমি সত্যান্বেষী

ব্যোমকেশের ডায়েরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখাটি পড়বেন আশা করি

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

শিক্ষক হাতে কিছু জিনিস নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করলেন এবং জিনিস গুলো টেবিলের উপরে রাখলেন। যখন ক্লাস শুরু হল, তিনি নিঃশব্দে কাচের একটি বড় এবং শূন্য জার তুলে নিলেন এবং জার টি ২ইঞ্চি ডায়ামিটার সাইজের পাথর দিয়ে ভরে ফেললেন। কাজ শেষে তিনি স্টুডেন্টদের প্রশ্ন করলেন জার টি ফুল কিনা, ওরা মাথা ঝাকিয়ে সায় দিল যে হ্যা জার টি এখন পুরোপুরি ভর্তি।
শিক্ষক এবার টেবিলের উপর থেকে ছোট সাইজের কিছু নুড়ি তুলে নিলেন এবং সেগুলো জারের মধ্যে ঢেলে দিলেন এবং জার টি ঝাকি দিলেন।
নুড়িগুলো বড় পাথরের ফাঁক গলে ভেতরে ঢুকে জায়গা করে নিল।
শিক্ষক স্টুডেন্টদের আবারো প্রশ্ন করলেন জার টি এখন পরিপূর্ণ কিনা, ওরা আবারো মাথা ঝাকিয়ে সায় দিল।
শিক্ষক এবার হাতে কিছু বালি তুলে নিলেন এবং সেগুলো জারের মধ্যে ঢেলে দিলেন, বালি আকারে ছোট হওয়াতে তা নুড়ি পাথর এবং বড় পাথর কে ঢেকে দিয়ে পুরো জার টা দখল করে নিল।
শিক্ষক আবারও জিজ্ঞাসা করলেন জার টি এখন পরিপূর্ণ কিনা, স্টুডেন্ট রা এবার বেশ জোরেই হ্যা বলে সাড়া দিল।
শিক্ষক এবার সবাইকে হাত তুলে থামিয়ে দিলেন, তারপর বললেন-
এই জার টি তোমাদের লাইফ কে রিপ্রেজেন্ট করছে। বড় পাথর গুলো হচ্ছে ইম্পরট্যান্ট জিনিসগুলোর সমষ্টি-তোমাদের ফ্যামিলি, সঙ্গী, তোমাদের স্বাস্থ্য, তোমাদের বাচ্চা...সেইসব জিনিস যা জীবন থেকে সবকিছু হারিয়ে গেলেও যদি এগুলো থাকে, তোমার জীবন টা তারপরও পরিপূর্ণ থাকবে।
নুড়ি পাথর হচ্ছে সেইসব জিনিস যা জীবন চলার পথে প্রয়োজন-যেমন তোমার জব, বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদি।
বালি হচ্ছে বাকি সবকিছু বা ছোট ছোট জিনিস।
যদি তুমি জারের মধ্যে বালি প্রথমে ঢোকাও, তাহলে জারের মধ্যে নুড়ি পাথর বা বড় পাথর রাখার জন্য কোনো জায়গা অবশিষ্ট থাকবেনা। জীবনের ক্ষেত্রেও তাই।
যদি তুমি তোমার সকল সময় এবং এনার্জি বালির মত ছোট ছোট অর্থাৎ গুরুত্বহীন জিনিসের প্রতি ব্যয় কর, ইম্পরট্যান্ট জিনিসগুলো কখনোই তোমার জীবনে জায়গা পাবেনা। তোমার বাচ্চাদের সাথে খেলা কর, তোমার জীবনসঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাও, একদিন বাসায় সময় দিয়ে ঘরটা ক্লিন কর, ঘরের নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসগুলো ঠিক কর...এই সময় গুলো, এই জিনিস গুলো জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কাজের জন্য অফুরন্ত সময় পাবে।
প্রথমে বড় পাথরগুলোকে সামলাও-থিংস দ্যাট রিয়্যালি ম্যাটার।
প্রায়োরিটি এবং ইম্পর্ট্যান্স গুলোকে আগে সেট কর, বালির মত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস গুলো তাহলে সুন্দরভাবেই হ্যান্ডল করতে পারবে।

...আমরা আমাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় টাতে বালি কিংবা নুড়ি পাথরের মত কম গুরুত্বপূর্ণ কিংবা একেবারেই গুরুত্বহীন জিনিস গুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকি, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ইচ্ছে থাকলেও বড় পাথরের মত ইম্পরট্যান্ট জিনিস গুলোর প্রতি নজর দেবার মত স্পেস আমরা তৈরি করতে পারিনা।
তাই আগে আপনার জীবনের প্রায়োরিটি কে সেট করুন। কোন জিনিসগুলো আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা করে সেগুলো খুজে বের করুন।
বালি এবং নুড়ি পাথর দিয়ে জীবন নামের কলসি টা ভরে ফেললে পরে হাজার আফসোস করেও ইম্পর্ট্যান্ট জিনিস গুলোর জন্য জায়গা খুজে পাবেন না।

শুভ কামনা সবার জন্য।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: পড়লাম
আগেও এই গল্প জানা ছিল তারপরও ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২

সকাল হাসান বলেছেন: চমৎকার কিছু কথা! কথা গুলো বেশির ভাগ মানুষই জানে! কিন্তু তা মেনে চলে গুটিকয়েক!

যদি সবাই মেনে চলত, তাহলে ধরনীটা আরো সুন্দর হত!

লেখাটি ভাল লাগল! +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.