নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধার্মিক সমাজ

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

চলছে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান মাস । সকল মুসলমান মানে হোক সে জন্মসূত্রে, পৈত্রিক বা সুন্নাতের মাধ্যমে অথবা কালেমা পড়ে মুসলমান , সবাই ব্যস্ত নিজেকে শ্রেষ্ঠ ধার্মিক প্রমানে । কে কার চাইতে কতো বড় ধার্মিক, সেটা নির্নয় করাতে,বোঝাতে,অন্যকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চলছে মহাযজ্ঞ । চলুক না হয় এমন করে একটা মাস । অন্তত নিজেদের ধার্মিক প্রমান করতে গিয়ে দান খয়রাত করুক কিছুটা ,সুদ-ঘুষ নেয়া , খাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখুক কিছু সময় । পুণ্যি কামাইয়ের অজুহাতে তাদের দেয়া ভুরিভোজে আহার করুক কিছু অনাহারী ,ভুবুক্ষ মানুষ । সে আমিও চাই এবং প্রচন্ড ভাবে চাই । অন্তত এই একটা মাস ধার্মিক নামধারীরা বিবেকের কাছে লজ্জিত হোক কিছুটা । কিছু একটা হোক তবুও । তবে হোটেল গুলোর, পাড়ায় পাড়ায় চা-বিস্কুটের দোকানগুলো ধার্মিক হয়েছে ঢের বেশি । আগের চাইতে ধার্মিক হয়ে তাদের বেচাকিনি বেড়েছে কয়েক গুণ সে কথা একেবারে হলফ করে বলতে পারি । তার প্রমান করতে খুব বেশি গবেষণার দরকার আছে বলে মনে করি না । হোটেল আর ছোট ছোট চা-বিস্কুটের দোকানগুলো এই মাসে পর্দা করে । লাল ,কালো কাপড়ে মুড়িয়ে নেয় নিজেদের । আর ধার্মিক হবার গুণেই বেচাকিনি বাকী এগারো মাসের চাইতে কয়েকগুণ বেড়ে যায় । কারন এ সমাজ বড্ড ধার্মিক । ধর্মের প্রতি তাদের প্রচন্ড আকুতি আর তাইতো পর্দানশীল হোটেল, দোকানগুলোতে তাদের আনাগোনা বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে । এগারো মাস নিজের দেহ ,নিজের যৌনাঙ্গ উন্মুক্ত রেখে ব্যাবসা করে দোকানগুলো । উন্মুক্ত দেহ ,যৌনাঙ্গ তখন কিছুতেই আকৃষ্ট করতে পারে না ধার্মিকদের । কিন্তু রমজান মাসে তাকে তার লজ্জাস্থান ঢাকতেই হয় । নইলে তার যৌনাঙ্গে আগুনের কয়লা ঢেলে দেবে ধার্মিকের দল ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৮

শিখণ্ডী বলেছেন: ভা্‌ই দোকানগুলা তো দেখি সব বোরকায় ঢাকা। আজকাল কি দোকান দেইখাও কাহারো ধর্ষণ করতে ইচ্ছা হয় না কি :P

২| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২২

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আপনি এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে যেই গভীর তাৎপর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন তা হয়ত আমার মত একজন শিশুর দ্বারা বুঝা সম্ভব নয়। তবে অনেক কিছু শিখতে পারলাম আপনার পোস্টটা পড়ে।

ব্লগে আমি নতুন। আসা করি সময় পেলে আমার ব্লগে একটু ঘুরে আসবেন। আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য কাঁচা হাতের কিছু লেখা লিখে রেখেছি। কেমন হয়েছে পড়ে মন্তব্য করে আমাকে একটু ধন্য করবেন।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বেশ অগ্নিঝরা। কিন্তু তাতপর্য্ বুজলাম না

৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আমরা বিষয়টা ইতিবাচক ভাবেও দেখতে পারে। সিয়াম পালন করতে পারে না এমন অনেক মানুষ আছে সমাজে। আবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা ছোটো ছোটো দোকান খুলে জীবিকা নির্বাহ করে, তাদেরও বিক্রি করা দরকার। তাই দোকানদাররা সিয়াম পালনকারীদের প্রতি সম্মানার্থে পর্দা টানিয়ে দেয়। আর খরিদ্দাররাও পর্দার ভিতরে থেকে খাওয়া দাওয়া সারে যাতে সিয়াম পালনকারীদের সামনা সামনি না হয়।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১৭

নতুন বলেছেন: সিয়াম পালন কি বাধ্যতামুলক বাংলাদেশের জন্য?

বিধমি`রা কেন ঘরের বাইরে খেতে পারবেনা? তাদের জন্য সিয়াম তো ফরজ না?

আপনি নিজে রোজা রাখবেন..... কিন্তু বিধমি`কে না রোজা রাখতে বাধ্য করতে তো পারেন না।

যে রোজা রাখবেনা সে হোটেলে গিয়ে খেলে সমস্যা কি?

হোটেল খোলা থাকলে কি মানুষ কখনো রোজা ভেঙ্গে হোটেলে খেতে যাবে?

তবে কেন হোটেল বন্ধ রাখতে হবে ( আপনার মতে)

৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা নতুন কিছু নয়। যার যার জবাব সে সে দিবে...

৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এদেরকে খারাপ চোখে দেখা ঠিক না। এরা হয়তো হিন্দু। ওথবা অসুস্থ, ওষুধ খেতে হয়।

৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদশে কি ১০০% মুসলিম??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.