নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪১


সাধারণত প্রত্যেক সরকারি বা বেসরকারি কর্মচারিদের শ্রমঘন্টা বা কর্মঘন্টা ৮ ঘন্টা নির্ধারিত থাকলেও শুধুমাত্র বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ক্ষেত্রেই এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে । অথচ দিনের প্রায় ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা জনগণের সেবায় সর্বদা একনিষ্ঠতার সাথে দায়িত্ব পালন করলেও তারা সমালোচনার শীর্ষে । আর এই সমালোচনার ধরনও বহুমাত্রিক । বলতে গেলে পুলিশ সরকারি সকল বিভাগের মধ্যে অবহেলিত একটি নাম । প্রায় প্রত্যেকটি সরকারই পুলিশ বাহিনীকে তাদের ক্ষমতা টিকে রাখার অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে । কিন্তু তার বিপরীতে বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে দেখিয়েছে কার্পন্য । যা বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি,রুচিশীলতা তৈরিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি । ফলে বাহিনীর সদস্যদের নানামূখী কর্মকান্ডে পুরো বাহিনীই সাধারনের কাছে সমালোচনার পাত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে । কিন্তু আমরা কি কখনো একটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করেছি ?
যে বাহিনীর সদস্যরা জনগনের সেবায় খাওয়া আর ঘুম বাদে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত তারা কি কারনে বা কোন নিয়ামকের ভিত্তিতে সেবা প্রাপ্ত জনগন দ্বারাই সমালোচিত হচ্ছে ? নানা ধরনের প্রশ্নবানে জর্জরিত হচ্ছে নিত্যদিন ?
জানি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অনেকেই কুন্ঠাবোধ করবেন । কারন আমাদের কার্পণ্যতা ,উদাসীনতা, অ-সুস্থচিন্তাশীলতাই এর অন্যতম প্রধান কারন । যখন এই বিশাল বাহিনীর সদস্যরা তাদের দিনের নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের সময় অতিক্রম করে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুতি নেয় তখন তারা যে, কি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিশ্রাম নেন তা স্ব-চোক্ষে না দেখলে বোঝার উপায় নেই । স্বাভাবিকভাবেই আপনার বসবাসের জায়গা মানে আপনি যেখানে খাবেন,ঘুমাবেন,অবসর সময় ব্যয় করবেন সেই জায়গা যদি নোংড়া অস্বাস্থ্যকর হয় তবে আপনি এমনিতেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন । কখনোই আপনার মানসিক প্রশান্তি আসবে না । অর্থ্যাত আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকবেন , এটাই স্বাভাবিক ।
একজন মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুন্দর পরিবেশের দরকার পড়ে । কিন্তু আমাদের সরকার বা রাষ্ট্র পুলিশ বাহিনীর জন্য সেই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ কি নিশ্চিত করতে পেরেছে ? না পারেনি ।বরং রাষ্ট্রযন্ত্র শুধু তাদের উপর হুকুমের ছড়ি ঘুরিয়েছে । আরো একটি প্রশ্ন থাকে ? পুলিশ জনগণের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা বিধান করে, কিন্তু এই বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা,তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে আমরা কি কখনো গুরুত্ব দিয়েছি ? না দেইনি । আমরা ভাবি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আবার কিসের নিরাপত্তা দরকার ! কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাহিনীরও নিরাপত্তার দরকার আছে এবং নিরাপত্তা লাগে ।
কখনো কি ভেবে দেখেছি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ রাখা হয় তা কতোটা মানসম্মত ! একজন মানুষকে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই উন্নত মান সম্মত খাবার খাওয়া দরকার । কিন্তু আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনীর দূর্ভাগ্য এতোটাই যে , সাধারনের জন্য বাজারে বিক্রিত খাবারের মানদন্ড নিয়ন্ত্রনে নিজেরা কাজ করলেও নিজে যা খায় বা খাচ্ছে তার মান নিয়ে ভাবার মতো বিন্দুমাত্র সময় অন্তত কোন সরকারই তাদের জন্য বরাদ্দ রাখেনি ।
সেখানে তাদের কাছে উন্নত আরো উন্নত সেবা আমরা কিভাবে আশা করতে পারি ! পুলিশের টাকায়, পুলিশ পরিবারের জন্য বরাদ্দ চাল-ডাল-গম-আটা খেয়ে বড় হয়েছি । তাই তাদের গভীরের ব্যাথা আমি বুঝি এবং খুব ভালো করেই অনুধাবন করি । তাদের ব্যাথায় আমিও ব্যাথিত হই । বুদ্ধির বয়স থেকেই পুলিশের পোশাক,গায়ের গন্ধ,মেসের খাবার ,সেলুন,ডাক্তার সব কিছুর সাথে একটু সখ্যতা ও বেশিই জানাশোনা ।
পুলিশের ব্যারাক মানে ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা দায়িত্ব পালন শেষে যখন একটু শান্তির খোজে গা এলিয়ে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে সেই অতি গুরুত্বপূর্ণ বসবাসের জায়গা যদি সাধারন একটু দেখতো তবে মনে হয় না এই বাহিনির দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সমালোচনায় মুখর থাকতো । আপনি আমি ৫ হাত দৈর্ঘ্যর বিছানায় দুজনের বেশি থাকতে অসস্তি বোধ করলেও ১০০ বর্গফুটের ব্যারাক ঘরে অন্তত ১০০/১২০ জন সদস্যকে একসাথে বিছানার সাথে বিছানা লাগিয়ে বাস করতে হয় । চেয়ার-টেবিল, বিনোদন, অবসাদ বলতে ঐ চৌকির আয়তনের জায়গাটুকু একজন সদস্যর জন্য বরাদ্দ থাকে । বড় বড় আয়তনের ঘরগুলোতে এক প্রকার ঘিঞ্জির মতো পরিবেশ । নেই স্বাস্থসম্মত টয়লেটের ব্যাবস্থা ,বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ । তাহলে যেখানে আমরা তাদের সুস্থ থাকার সকল নিয়ামকের বিষয়ে উদাসীন, সেখানে কি করে তাদের কাছ থেকে সঠিক ও উন্নত সেবা আশা করতে পারি ?
আমরা যদি তাদের কাছে সত্যিই সেবা এবং প্রকৃত অর্থে সেবা পেতে চাই তবে অবশ্যই তাদের উন্নত পরিবেশ দিতে হবে । তাদের জন্য বাজেট বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নত মানসম্মত খাবার, ও অবসর সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দ্বার খুলতে হবে । যতোদিন পর্যন্ত না আমরা এই বাহিনীর আধুনিকায়নের মধ্যে দিয়ে উন্নত পরিবেশ উপহার দিতে পারছি ততোদিন পর্যন্ত এই বাহিনীর দ্বারা কখনোই উন্নত সেবা আশা করতে পারি না ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০১

লায়নহার্ট বলেছেন: {পুলিশের ক্যাটাগরী আছে, সাধারণ পুলিশরা ছিচকে। থানার কর্তারা ভালো সুযোগ সুবিধা পায়, আর ভালো ভালো দাও মারে}

২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: যদি মোটা অংকের টাকা পাই তাহলে আমি ২০ ঘন্টা কাজ করতে রাজী আছি।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২০

রাকু হাসান বলেছেন: শুধু মাত্র উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে উন্নদ সেবা পাওয়া যাবে না বলে আামার মনে । পুলিশের মানসিকতার পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদের ভাল স্বাস্থ্যকর ,নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করা প্রয়োজন । আর তারা নিজেরাই নিজের নিরাপদ জীবন গড়ে নিচ্ছে । আপনি যেসব পুলিশের কথা বলেছেন তারা চাকরি ক্ষেত্রে নিম্ন স্তরে । েএই সংখ্যাটাই বেশি । তাই তাদের দিকে রাষ্ট্র নজর দেওয়া উচিত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.