নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন গণিতের হিসেব

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২



জ্যামেতির জ্যা আর গণিতের গ এর প্রতি আমার সেই ছোট বয়স থেকেই প্রবল ভীতি। যোগ,বিয়োগ,গুণ,ভাগ কিছুটা সহজ ভাবে পারলেও পাটিগণিত আর জ্যামেতিতে এক্কেবারেই কাঁচা।পড়াশুনা শিকেয় তুলেছি অনেকদিন,কিন্তু পাটিগণিত আর জ্যামেতি টা তেমন করে পাঁকে নি যতোটা পাকা দরকার ছিলো। একেবারে কাঁচাই রয়ে গেছে। পাটিগণিতে এমন অবস্থা দেখে ক্লাসের ম্যাম বারবার বলতেন তুই তো আদুভাই হয়ে থাকবি দেখছি। ম্যামের কথা শুনে কিসের কি!
ক্লাসে আদু ভাই হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়া ভালো। আদু ভাই হবার ভয় একেবারে জোঁকের মতো চেপে বসেছিলো ক্লাস সেভেনের একবছর। কারন আমি জানি আদু ভাই ক্লাস সেভেন পাশ করতে করতেই তার জীবনের সমাপ্তি ঘটে গেছে। তাই এই ক্লাস সেভেনের ক্লাস ডিঙ্গিয়ে ওপারে যাওয়া মানে ক্লাস এইটে ওঠা আমার জন্য স্বর্গ পাবার মতো ঘটনা। যে করেই হোক আদু ভাই হয়ে তো আর জুনিয়রদের সাথে ক্লাস সেভেনেই পড়া যায় না? আদা-জল-নুন খেয়ে লেগেছিলাম পাটিগণিত আর জ্যামেতি শিখতে। দিনে দুবার কোচিং এ যাই অংক শিখতে আর বাসায় বসে বিছানার উপর দু ঠেং মেলিয়ে বইয়ের এক অধ্যায় থেকে আরেক অধ্যায় অংক কষি। দোয়া দরুদ কতো পড়েছি তার ইয়াত্তা নাই ক্লাস সেভেনের এই একবছর।বার্ষিকে অংক পরিক্ষা দিয়েই স্কুলের মসজিদে গিয়ে নফল নামাজ পড়েছি যেন অন্তত এইবার গণিতে পাশ নম্বর ওঠে। নইলে তো নিশ্চিত আদু ভাই! তবুও গোবর ভরা মাথায় সব কিছু ঢুকলেও এই পাটিগণিতের আর জ্যামেতির হিসেব-নিকেশ কিছুতেই ঢুকাতে পারিনি। তবে এক ধাক্কায় কেমন করে জানি আদু ভাইয়ের বদনাম থেকে রেহাই পেয়ে গেলেম। অংকে পাশ নম্বর উঠলো। আমারে আর পায় কে? মন মেজাজ সেই ফুরফুরে! কারন এখন থেকে কেউ আর আদু ভাইয়ের তোকমা গায়ে লেপ্টে দিতে সাহস করবে না।
আসলে এসব হিসেব-নিকেশ বড়োই কঠিন বিষয়।যে বোঝে সে তরতর করে উপরে উঠে যায়,আর আমার মতো গোবরে মাথাগুলো পড়ে থাকে ভাগাড়ে। অবশেষে ক্লাস নাইনে উঠে অন্তত পাটিগণিতের বোঝা মাথার উপর থেকে ঝেটিয়ে বিদেয় হলো।কিন্তু জ্যামেতির যা অবস্থা তাই রয়ে গেলো! বীজগণিতের সূত্র একেবারেই ঠোটস্থ ছিলো আমার।কিন্তু খাতার পাতায় বীজগণিতের সকল সূত্র কাজে দিলেও জীবনের খাতায় ওসব ধোপে টেকে না।সেখানে পাটিগণিতের সেকি দাপুটে অবস্থান! আর জ্যামেতির আঁকিবুকি এদিক-ওদিকের হিসেব তো একেবারে লেপ্টে থাকে। ক্লাস নাইন-টেনে বীজগণিত একেবারে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাঁড়ি-কমা মুখস্ত।এসএসসি পরিক্ষার দিন সেই দাপটে হলে ঢুকেই মাথায় হাত; বীজগণিত,ত্রিকোণমিতি সবই তো পারি কিন্তু পাটিগণিতের আদলে পরিমিতি আর জ্যামেতির কি হবে? রেজাল্টে যা হবার তাই হলো! পরিমিতি আর জ্যামেতিই যতো নষ্টের গোড়া।সবটা থেকে বঞ্চিত করলো আমার চিন্তা-চেতনাকে। ফুল নম্বর তুলতে দিলোনা কিছুতেই। আজও এই পরিমিতি,জ্যামেতির বিদঘুটে দাগের এদিক ওদিকের হিসেব বুঝি না।আমার মগজে যা যায় তা হলো সহজ সরল হিসেব।প্যাঁচ-পুচের জিনিস ধরতে পারি না।আর তাই তো জীবনের হিসেব খাতায় বারবার ফেল করি,মুষড়ে পড়ি,আহত হই। ক্লাস সেভেন ডিঙ্গিয়ে আদু ভাইয়ের পদবী দূর করতে পারলেও জীবনের ক্লাসে সেই আদু ভাই হয়েই রয়ে যাচ্ছি।কারন এখানে সবটাই পাটিগণিত আর জ্যামেতির মতো প্যাঁচ-পুচে ভরা।জিলেপির আর বাংলার ৫ এর মতো বড্ড অ-স্বস্থিকর।এখানে বীজগণিতের সূত্রের মতো ধাচে ফেললেই অংকের হিসেব মেলে না। হিসেব মেলাতে জ্যামেতির এদিক-ওদিক রেখা,জ্যা,পরিধি,বিন্দু সবই বুঝতে হয়।জানতে হয় কোন দিকটায় যেতে হবে।আকাশ-বাতাস,বাতাসের গতি সবই জানতে হবে।কোন রেখায় গেলে বিন্দুতে মিলবে,কোণ উৎপন্ন হবে,হলে কোণের কতো ডিগ্রি হবে সবই জানতে হয় বুঝতে হয়।না বুঝলেই আদু ভাই নিশ্চিত !

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:

ধূর!
সবচেয়ে কঠিন বলবিদ্যা আর বিনাস-সমাবেশ..X(

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মো: মেহেরুল ইসলাম বলেছেন: দাদা ওসব তো মাথায় ঢুকেই না

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ব্যাংকে "ক্যাশিয়ার" এর চাকরি কইরা জীবন পার করবে ব্যাংকেই যদি চাকরি করাইবেন তো পদার্থ,রসায়ন, ত্রিকোনোমিতি, জ্যামিতি, ক্যালকুলাস পড়াইয়া কেন নিজের "শৈশব" টারে প্যারাময় কইরা তুলছেন? কেন নিজের প্রতি, তার জীবনের প্রতি, শিক্ষার প্রতি তার মনে বিরক্তি সৃষ্টি করতেছেন?

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

মো: মেহেরুল ইসলাম বলেছেন: কথা সত্য

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: মাথাটা টনটন করছে

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

মো: মেহেরুল ইসলাম বলেছেন: তিব্বত কদুর তৈল দিন টনটন কমে যাবে

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

কাইকর বলেছেন: এখনো ভয় পায় এই জ্যামিতিরে

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

মো: মেহেরুল ইসলাম বলেছেন: আমি তো কিছুই বুঝি না দাদা

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৬

সুমন কর বলেছেন: হুম, জীবন গণিতের হিসেবে বড্ড প‌্যাঁচ !! সহজে পাশ করা যায় না !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.