নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেবী বিসর্জন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০১


ঘুটঘুটে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে দেবী।
ঘনো কালো পুরু রাত।
ঘন্টা চারেক আগেই আমাবস্যার ঘন আধার দুধের মতো জ্বলজ্বল চাঁদকে পুরোটাই গিলে হজম করতে শুরু করেছে রীতিমত। দেবীর চোখে কালো থেকে ঘোরতর কালো চশমা। চুলে লম্বা মোটা ফিতের বেণী সাপের মতো নিতম্বে আছাড় খাচ্ছে বারবার।দেবীর ঠোটে ইরানী গোলাপের স্নিগ্ধ আবির। কপালে দেবী দূর্গার সিঁথির সিঁদুর অন্ধকারেও স্পষ্ট বোঝা যায়। গালে মাখা পাউডারের সাদা ধূলো ঠিক নীলাম্বরী পরীর মতো ফুটে তুলেছে সারা শরীর। লাল চকচকে জর্জেট শাড়ি জড়িয়ে রাস্তার ধারে ভাঙ্গা খুটিতে হেলান দিয়ে এদিক ওদিক উকিঝুকি দেয়। আর চোখ ভরে থাকে খদ্দেরের নেশায়। রাত গড়িয়ে পড়তে পড়তে ভোরের দেখা মেলে। আধার দূর হয়েছে খানিকটা। দুচোখে তবুও ঘুম নেই আছে শুধু খদ্দের পাবার প্রবল নেশা। রাস্তার দক্ষিণ দিয়ে সাদা আলো জ্বালিয়ে হর্ণ বাজাতে বাজাতে খদ্দের এসে থামে ভাঙ্গা খুটির কাছে। মুখে তখন ভেসে ওঠে প্রশান্তির হাঁসি। দরদাম মিটিয়ে গাড়িতে চেপে খদ্দেরের আলিশান বাড়ির ফটক ফুরে সাঁ সাঁ করে ঠিক সদর দরজায় গিয়ে থামে। চুপচাপ খদ্দেরের পেছন পেছন সিঁড়ি বেয়ে বিশাল ঘর। সাদা আলোয় একেবারে ঝলমল করছে! উপরে ঝুলছে লাল নীল আলোর সাজানো বাতি। বাতির আলোর সৌন্দর্য চোখে ধরে না! সাদা চাদরে মোড়ানো বিছানা,ফুটুফুটে সাদা! সাদার উপর বড় বড় ইরানী গোলাপের ছবি। খদ্দেরের বিন্দুমাত্র ধৈর্য্য ধারনের বা অপেক্ষার সময় নেই। এক ধাক্কায় নরম বিছানার নিচে শক্ত কাঠের গুড়ি ম্যাচ করে ওঠে। এক টানে ব্লাউজের সব বোতাম পটপট করে ছিড়ে উন্মুক্ত করে ফেলে দেবীর বুক। সে বুকের গভীরে নাক ডুবিয়ে ঘনঘন নিঃশ্বাস নেয়। হাত দুটো ময়দা মেখে গোল করে। জর্জেট শাড়ির পুরোটাই পড়ে থাকে রঙ্গিন মোজাইক মেঝেতে। খামচে,কামড়ে, নিঃশ্বাসে ক্ষতবিক্ষত করে শরীর। দেবীর সিঁদুর লেপ্টে যায় পুরো কপাল। ঠোঁটের ইরানী গোলাপের রঙ খদ্দেরের দুই গালে চকচক করতে থাকে। বেণীর ভেতর থেকে ফিতে গুলো বেরিয়ে গোখরো সাপের মতো ফোঁসফোঁস করে। মিনিট বিশেক চলে রাধাকৃষ্ণের স্বর্গের লীলা। সবকিছু বিসর্জন দিয়ে খদ্দের গরম পানিতে সব ধুয়ে মুছে সাফ হয়, পবিত্র হয়। দেবী বিদ্ধস্ত শরীরে অপেক্ষা করতে থাকে পরবর্তী রাতের খদ্দের।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: এভাবে ডাইরেক্ট লিখলে দৃষ্টিকটু লাগে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

মো: মেহেরুল ইসলাম বলেছেন: কেন?

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
দারুণ বলেছেন। দেবীদের জীবন এমনই কি কেটে যাবে । পুরুষ গুলো কেন তার ঘরের বউ রেখে বাহিরে এমন নিষ্ঠুর হতে পারে।


১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

মো: মেহেরুল ইসলাম বলেছেন: যথার্থ বলেছেন

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: এটা প্রতিদিনের গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.