নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিড়ালের গপ্প

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কনকনে শীতের তাপ দাহ! আমি মূর্ছা যাচ্ছি যাচ্ছি ভাব। কিন্তু গায়ে একের পর এক উষ্ণ পোশাক জড়িয়ে কাটিয়ে নিচ্ছি কোনমতে। এতো হলো আমার নিজের গপ্প। এবার শুরু করি আমার বিছানায় কম্বলে উষ্ণ আদর নিতে আশ্রয় নেয়া সাদা কালো মিশ্রিত পোষা বিড়ালের গপ্পে। একটা নয়,দুটো নয় তিন তিনটে বিড়াল আছে এ বাড়িতে। একটা ধূসর,আরেকটা কুচ কুচে কালো,আরেকটা সাদা কালো মিশ্রিত। কুচকুচে কালোটার শরীর স্বাস্থ্য মোটামুটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই ভোম্বল টাইপের। বাকি দুটোকে যা খেতে দিই তা সেই ভোম্বল নিজের দখলে নিয়ে পোদ্দারি করে চেটেপুটে খেয়ে নেয়। আর বাকি দুটো ইরাক আফগান শাসকের মতো মিউমিউ করেই ক্ষান্ত। সাহস নেই একবিন্দু, যে কুচকুচে ভোম্বলটার কাছ থেকে নিজেদের অধিকার টা বুঝিয়ে নেবে। তাই ওরা নেহাতই একটু দূর্বল। প্রতিদিন খেতে বসলেই তিনটে একসাথে মিউমিউ শুরু করে। খাবার দিলে কুচকুচে ভোম্বলটা খেয়ে যা বেচে যায় সেটাই বাকি দুটো ভাগবাটোয়ারা করে খেয়ে নেয়। দিনের বেলায় বেশিরভাগ সময় বাড়িতে এঘর থেকে ওঘর,বারান্দায় হেটেহুটে ঘুমিয়েই চলে যাচ্ছে ওদের বছরের পর বছর। বছর দুয়েক আগে এসে জুটেছিলো ওরা। সেই থেকেই আছে এ বাড়িতে। এখনো পোয়াতি হবার বিন্দুমাত্র লক্ষন নেই কারো। এতোদিনে পোয়াতি হলে অন্তত ঘর বারান্দা পরিপূর্ণ হতো কিছুটা। শুধু বছর দুয়েক নয় সেই দাদীর সময় থেকে দেখে আসছি, এ বাড়িতে বিড়ালের কি দাপুটে আনাগোনা! শুনেছি আমার দাদীর চৌকির অর্ধেকটা জুড়ে এনাদের দখলে ছিলো সবসময়। এমনকি এক থালাতেই চলতো আহার। দাদী বিড়ালের খুব ভক্ত ছিলেন। ওরাও দাদিকে ভক্তি শ্রদ্ধার বিন্দুমাত্র কমতি দেখায়নি কখনো। বসে বসে খাবার পাহাড়া দেয়া,মাছ কেটে রাখলে সেসব পাহাড়া দেয়া সবই চলতো ভক্তির কারনে । বিড়ালের গায়ে কেউ হাত তুলেছে তো সেদিনের জন্য তার হয়ে যেতো। দাদী মারা যাবার পরে ওদের আদর যত্নে ভাটা পড়েছে কিছুটা। ওতো খাতির যত্ন করবে কার দায়। সেই বংশপরম্পরা ধরেই বিড়ালের বসবাস টিকে আছে এ বাড়িতে। অবশ্য দরজা জানালায় শক্ত খিড়কীর কারনে এখন আর ওরা কুলিয়ে উঠতে পারে না সেভাবে। তাইতো এই শীতের রাতে ওদের বারান্দায় কাটিয়ে দিতে হচ্ছে রাতের পর রাত। কিন্তু আজ হঠাৎ দেখি আমি বিছানায় গা এলিয়ে দেবার আগেই আমার কম্বলটা দখলে নিয়ে দিব্যি ঘুমোচ্ছে সাদা কালো মিশ্রিত বিড়ালটা। এমনভাবে ঘুমিয়েছে যে, মনে হচ্ছে এই কম্বলে শান্তিতে ঘুমানোটা ওর জন্মগত অধিকার। বাড়িতে থাকতে দিবো, দিন গেলে তিনবার খেতে দিবো অথচ রাতে আরামে ঘুমের ব্যবস্থা করবো না সেটা যেন কিছুতেই মানতে নারাজ এরা। তাইতো পারলে হাইকোর্টে মামলা ঠুকে কিংবা গ্রাম্য শালীস বসিয়ে ন্যায্য দাবি আদায় করতে আন্দোলনে নামবে শীঘ্রই। আসলেই তো অধিকার কেউ কাউকে দেয়না, অধিকার আদায় করতে হয়, পারলে লাথি মেরে ছিনিয়ে আনতে হয়। এই ধরুন এই শীতে কষ্ট করে বারান্দায় ঘুমিয়ে যখন ও নিজের অধিকার আদায়ে নেমেছে এবং ঠিকঠাক আমার বিছানায় কম্বলের দখল নিয়েছে ঠিক তখন আমি কিন্তু ঠিকই ওকে আর বিরক্ত করিনি। ওর ঘুম ভাঙ্গাইনি, বরং ও যেন একটু শান্তিতে,আরামে ঘুমোতে পারে সেজন্য কম্বলের আরেক পাশটা ওর গায়ে জড়িয়ে দিয়েছি। আজ রাতটা ওর বেশ ভালো ঘুম হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: বেড়ালকাহিনী ভালোই হয়েছে, কিন্তু প্যারাট্যারা না দেয়াতে লেখাটাও আপনার ওই ভোম্বল বেড়ালের মতই স্বাস্থ্যবান কিন্তু অসুন্দর লাগছে।
অনুগ্রহ করে প্যারা দিন।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ওমেরা বলেছেন: আমি যখন ছোট ছিলাম আমাদের বাসায়ও একটা বিড়াল ছিল , খুব লক্ষী ছিল আমার সাথে তার বেশ বন্ধুত্ব ছিল ।
আর লিখার ব্যাপারে পদ্ম পুকুর ভাইয়া যা বলেছে তাই ঠিক ।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ১ নং মন্তব্যকারীর সাথে একমত।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: কালো বিড়ালটা আমার পছন্দ হয়েছে...!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.