নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহবুব । সামহোয়্যারইন ব্লগের সকল ব্লগারপাঠকভাইবোনদের আমার পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা । আশা করি আপনাদের আমি আবহমান বাংলার সব সুন্দর রচনা উপহার দিতে পারবো ।।

সৈয়দ মেহবুব রহমান

আমি মেহবুব । সামহোয়্যারইন ব্লগের সকল ব্লগার ভাইবোনদের আমার পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা । আশা করি আপনাদের আমি আবহমান বাংলার সব সুন্দর রচনা উপহার দিতে পারবো ।।

সৈয়দ মেহবুব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবাণী এক বর্বর প্রথা!!!!!

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:০১

পশু কোরবানির ঈদ এর শুরু কোথা থেকে সে বিষয়ে কোন আলোচনাতে নতুন করে গেলাম না ।কারন আমরা মুসলমান মাত্রই সবাই জানি হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ও হযরত ইসমাইল (আঃ) আল্লাহর দেওয়া অগ্নি পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হবার কথা , যে ঘটনা থেকে পশু কুরবানির প্রচলন শুরু । তো আজকের আলোচনা বা পোস্ট এর কথা প্রসঙ্গ সেটা নয় ।প্রতি বছর যখন কোরবানির ঈদ কাছাকাছি চলে আসে তখন শুরু হয়ে যায় একশ্রেণীর মানবতাবাদীদের হায় হায় মাতম , আর কুরবানির পশুর প্রতি দরদ প্রকাশ , পশু হত্যা বন্ধে বা কুরবানি নামক এই বরবর প্রথা বন্ধে আইন পাশ করা যায় কিনা এরকম দাবির কোথাও উঠে আসে প্রতিবছর কুরবানির ঈদ এর সিজন এলেই ।আজকের এই পোস্ট এর প্রসঙ্গ হলো ,পশু কুরবানি বা কুরবানির ঈদ কি বর্বর প্রথা বা নিষ্ঠুরতার নামান্তর ??

আসুন আজ আমাদের পবিত্র ঐশী গ্রন্থ আল কোরআন বা হাদিসের কোন রেফারেন্স দেবনা ।কারন যারা অবিশ্বাসী তাদের কে বিশ্বাস করানো বা বোঝানোর জন্য কোরআন বা হাদিস টানলে তারা একবাক্যে এটাকে কোরআনের অন্ধ বিশ্বাস বলে উড়িয়ে দেবে ।তো আসুন কোরবানি বিরোধী মানুষ দের একটু সাধারন জ্ঞান বা সাধারন বিবেক এর আলোকে, ইকোসিস্টেম আর পুষ্টি বিজ্ঞানের আলোকে কিছু প্রশ্ন রাখি , কিছু আলোচনা করি ।একটা মানুষের শারীরবৃত্তীয় দৈনন্দিন প্রোটিন এর চাহিদা ৫৬ গ্রাম ।মানে একজন মানুষ কে সুষম খাবার খেতে হলে শর্করা ,ভিটামিন এবং মিনারেল এর পাশাপাশি ৫৬ গ্রাম প্রোটিন রাখতে হবে ।তো দেখা যায় আমরা প্রতিদিন মাত্র ১০ গ্রাম প্রোটিন খেয়ে দিব্যি দিনাতিপাত করছি ।আমাদের শরীরের চুল ,নখ ,কোষকলার বৃদ্ধি এবং পুনর্গঠন , হরমোন এবং এনজাইম ,তরুনাস্থি , মাংশপেশি তৈরিতে প্রোটিন এর বিকল্প কিছু নেই ।আচ্ছা প্রোটিন কিসে কিসে পাওয়া যায় এবং কতটুকু পাওয়া যায় একবার দেখে আসি ।বিভিন্ন প্রকার ডাল এ গড় ১০-১৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে প্রতি ১০০ গ্রাম এ , একটা ডিম এ ০৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে , আর মাংশে মানে গরু ,খাশি ,মুরগি আর মাছে গড় প্রতি ১০০ গ্রাম এ ২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে ।তো এর থেকে বুঝে নিন আপনি প্রতিদিন কতটুকু প্রোটিন গ্রহন করছেন ।সব থেকে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় সয়া নাগেটস এ ।প্রতি ১০০ গ্রাম সয়া নাগেটস এ আছে ৫০ গ্রাম প্রোটিন ।কিন্তু এই সয়া নাগেটস কিছু গবেষকদের কাছে বিতর্কিত , কারন এতে ফাইটোইস্ট্রোজেন নামে একটা হরমোন এর উপস্থিতি ।আমরা জানি ইস্ট্রোজেন হরমোন মূলত নারীদেহের হরমোন ।আর ফাইটোইস্ট্রোজেন মানে উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত ইস্ট্রোজেন ।যদিও আরেকদল গবেষকরা বলেছেন এতে থাকা সামান্য ফাইটোইস্ট্রোজেন পুরুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় ।
আচ্ছা ধরুন আজকে থেকে সারা পৃথিবীর মানুষ আমরা নিরামিশভোজী হয়ে গেলাম ।মানে আজ থেকে পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষ আমরা কেউই এক টুকরো প্রাণী মাংশের স্বাদ গ্রহন করবোনা । আমরা হয়ে গেলাম তুখোড় জীবপ্রেমী ।তো পৃথিবীর কোন পশু পাখি না মারবার কারনে পশু পাখি গনহারে বৃদ্ধি পাবে ।তখন দেখা যাবে পথে ঘাটে গরু ছাগল এর প্রচুর সমাগম এ এবং আক্রমনে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যাবে ।কি হবে পরিস্থিতিটা একবার কল্পনা করুন ।এরা সংখ্যাতে এত বৃদ্ধি পাবে যে আপনার বাসা বাড়ি দখল হয়ে যাবে ।জন্ম ,মৃত্যু ,খাদ্য শৃঙ্খল , বাস্তুসংস্থান এর একটা চেইন দিয়ে মহান আল্লাহ ((বা যার যার ধর্ম থেকে স্রষ্ঠাকে যে নামে ডাকেন না কেন )) জগতের একটা ভারসাম্য এবং গতিশীলতা বজায় রেখেছেন ।ধরুন এখন মানুষ মারা যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল।তাহলে কি হবে ,চক্রবৃদ্ধি আকারে মানুষের সংখ্যা বেড়ে অগনিত হয়ে যাবে । একসময় পৃথিবীটাই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে , এত জন্ম মৃত্যু থেকেও মানুষ এর সংঘাত আর পৃথিবীতে সৃষ্ট অশান্তি দূর করা যাচ্ছেনা ।মানুষ যত বাড়ছে মানুষ তত যান্ত্রিক হচ্ছে ।আবার ধরুন মানুষ অমরত্ব পেয়ে গেলো , এবার তারা আর বাচ্চা নিতে চাইলোনা ,আবার যদিও বা চাই তাহলে তো স্থায়ী ভাবে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়ে গেলো । আবার আজ যদি আমরা সাপ না মারতাম তাহলে দেখা যেতো সাপের দাপটে সব প্রাণী জগত ধংশ হয়ে যেতো , আবার ধরুন সাপ যদি ইদুর না মারতো ,বিড়াল যদি ইদুর না মারতো তাহলে ইদুরের দাপটে সেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার কাহিনী তৈরি হতো ।যদি বন বনানী তে বাঘের সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি আকারে বাড়তো তাহলে বাঘের দাপটে অন্যান্য জীবের কি অবস্থাটা হতো ভাবুন তো । বাঘ যেমন বনে থাকবার কারণে বনে মানুষ ইচ্ছামত ধবংশলীলা চালাতে পারেনা ,হরিনের সংখ্যার ভারসাম্য থাকছে ঠিক তেমনি আবার শিকারিরা বাঘ মেরে বাঘের সংখ্যাতে সাম্য রাখছে । আমি পশু শিকার হালাল করছিনা এই উদাহরণ দিয়ে ।এটা বলছি শুধুমাত্র উদাহরণ হিসেবে ।দেখুন পৃথিবীতে জীব জগতের ভারসাম্য সমানে ইচ্ছা বা অনিচ্ছা নানা কায়দাতে রক্ষিত হচ্ছে ।আমরা মানুষেরা সৃষ্টির সেরা জীব হওয়া সত্ত্বেও ইচ্চাহতে হোক বা অনিচ্ছাতে হোক , সড়ক দুর্ঘটনাতে হোক , দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিয়ে হোক মানুষ মারছি ।নিজেও মরছি অন্যকেও মারছি । আবার বললে বলবেন আমি মানুষ হত্যার পক্ষে মত দিচ্ছি ।মানুষ হত্যা বৈধ করছি ।আরে ভাই আমি মানুষ হত্যা অবৈধ বললেও কি পৃথিবীতে মানুষ হত্যা ,যুদ্ধ ,সড়ক দুর্ঘটনা ,বিমান দুর্ঘটনা ,জাতিগত দাঙ্গা থেমে যাবে ।আজ থেকে কুরবানি ঈদ মুসলিমদের উৎসবের তালিকা থেকে বাদ দিলে বা কুরবানির ঈদ পালন নিষিদ্ধ করে দিলে কি চাইনিজ বা ফাস্টফুডের চিকেন ফ্রাই , গ্রীল , মাছ খাওয়া , ডিম খাওয়া এগুলোও কি থেমে যাবে । গরু ছাগল কুরবানী বাদ দিলাম ।কিন্তু আমিষের চাহিদা পুরনে হাস ,মুরগী , মাছ এগুলো খেতে হবেনা ? আর এগুলো খেতে গেলে এই প্রাণীগুলো হত্যা করতে হবেনা ,এই গুলো হত্যা কি নিষ্ঠুরতা নয় ।নাকি হাস ,মুরগী , মাছ এগুলোর জীবন নেই , এগুলো গাছের ফল নাকি ? ডিম খেলেন তার মানেও আপনি একটা প্রান কে পৃথিবীতে আসতে দিলেন না ।আসলে এগুলো পৃথিবীর খাদ্য শৃঙ্খলের খেলা ।আপাতত পৃথিবী অমুক প্রাণী অমুক প্রাণীকে খায় , তাকে আরেকজন খায় এরকম নিয়মে চলছে ।যদি আমিষের জন্য প্রাণী হত্যা না করতে হয় তাহলে কৃত্ত্বিম ভাবে বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের কে ল্যাব এ স্বাদ ও গন্ধে অকৃত্বিম মাংশ তৈরি করতে হবে ।আবার ডাল জাতীয় খাবার সবার হজমের ক্ষমতা থাকেনা। তারপর পৃথিবীর পশুপাখির জন্ম নিয়ন্ত্রন বা জন্ম সীমাবদ্ধ করতে হবে ।আবার মুসলিমদের এই কুরবানী ঈদ এর প্রতি পশুপ্রেমীদের দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপারটা অনেকটা ঠাট্টা সুলভ , আলগা পিরীতি , ভন্ডামী আর মুসলমানদের প্রতি একচোখা দৃষ্টিভঙ্গীর বহিঃপ্রকাশ মনে হয় ।সম্রাট অশোক ,চেঙ্গিশ খান, জার্মানীর একনায়ক হিটলার , জোসেফ স্ট্যালিন , সার্বদের দ্বারা বসনিয়ার গণহত্যা , হুতু তুতশী গণহত্যা , মায়ানমারে রোহিঙ্গা , আমেরিকা কতৃক হিরোশিমা-নাগাসাকি, ভিয়েতনাম ,ইরা্‌ক ,আফগানিস্তান আ্ক্রমণে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যূ ইহাদের চোখে পড়েনা , মনে বা চোখে কান্না আসেনা , আর কাশ্মির বা ফিলিস্তিনের প্রায় ৭০ বছরের সংগ্রাম তো এখনো চলছে ।((যদিও মুসলমানদের দ্বারাও সংঘটিত গণহত্যার ইতিহাসও আছে । এই যেমন ধরুন পাকিস্তানিরা ১৯৭১ এ আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল , অটোমানরা ১৮ লক্ষের মত আর্মেনীয়দের হত্যা করে ১৯১৫-১৯২৩ এর মাঝে )) ।আর তাদের কান্না আসে মুসলিম জাতির ঈদ উল আযহার পশু কোরবাণী দেখলে ।আবার ভারতের কিছু বর্বর এলাকাতে গোমাংশ ভক্ষণের অপরাধে কাউকে মেরে ফেললে কান্না আসেনা , আহা মানুষের থেকে গরুর প্রাণ দামী । মুসলমান কুরবানীর ঈদ পালন বাদ দিলে বুঝি কেএফসি বন্ধ হয়ে যাবে , সারা বিশ্বে কেউ আর হাঁস , মুরগী,মাছ ,কাকড়া খাবেনা । এগুলোও তো খেতে গেলে হত্যা করতে হয় , এরাও তো প্রাণী । তাহলে কুরবাণী ঈদে আপত্তিটা কোথায় ।আপত্তিটা বা ব্যাপারটা হলো এমন যে সারাবিশ্বে এই দিন কত পশু হত্যাও নিষ্ঠুরতা , উফফ ভাবাই যায়না ।কিন্তু একবার ভাবুনতো প্রত্যেকদিন বাজারে গেলে গরু , খাসী ,মুরগী ,মাছ এই যে শুধু গরুটা বাদে বাকি সব কিছু ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই কিনছি এগুলো কি হত্যা করে আনা হয়নি ?, অমানবিক নয় কি এটা ?মুসলমানদের কুরবাণী উৎসব এর সাথে একচোখা আচরণ নয় কি এটা ? সব রকম প্রাণী বাজার থেকে কিনে খেয়ে প্রাণী হত্যা বা কুরবাণীর বিরুদ্ধে বলা কথাটা হলো এমন কথার সাথে তুলনীয় যে , ধরুন আমি পশু হত্যা করতে ভয় পাই , আমার দ্বারা কোন পশু পাখি হত্যা অসম্ভব , কিন্তু পশু পাখির মাংসের তৈরি আইটেম আমার প্রিয় খাবার ,আমি পরের ছেলেকে আঘাত করতে মানুষ ভাবিনা , কিন্তু নিজের গায়ে আঘাত লাগলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই মানুষ কি অমানবিক ,অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আর কতদিন গুলি করবেন ? । মানবিকতা চাইলে বা মানবিকতার নামে শুধু মুসলমানদের কুরবানি উৎসব বন্ধ করলে হবেনা , মুসলমানদের কুরবাণী উৎসব দেখলেই মানবিকতার চেতনা জাগ্রত হলে হবেনা ,একদিনের জন্য হিসেব করে দেখুন সারা পৃথিবীতে প্রত্যেকটা দিন সকল ধর্মের মানুষ কত প্রজাতির কত প্রাণী হোটেল , রেস্টুরেন্ট , চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ বিভিন্ন রেসিপির জন্য জীবন দিচ্ছে , সারাবিশ্বের সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের সব রকম জীব হত্যা বা বলি বা উৎসর্গ করে খাওয়া বন্ধ করতে হবে । আপনি হিন্দু ভাই বলে গোহত্যা করেন না বলে গর্বিত হবার কিছু নেই , খাসি বা পাঠার মাংশ কষা , চিকেন এর ঝাল ঝাল কারি , চিংড়ির মালাইকারির নামে আপনিও জীব হত্যা করছেন ,আপনি বৌদ্ধ বলে আপনি গর্বিত আপনাদের ধর্মপ্রবক্তা গৌতমবুদ্ধ বলেছেন জীবহত্যা মহাপাপ , তাহলে বলুনতো মায়ানমারের লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা হত্যা , কম্বোডিয়ার খেমাররুজ আমলে ২০ লাখ মানুষ হত্যা , চীন ২৫ কোটি বৌদ্ধের দেশ বাট চাইনিজ চিংড়ি ও মুরগী নির্ভর খাবারের জন্য বিখ্যাত , আপনি খ্রিস্টান আপনার তো গরু বা শুকর বা সাপ এ ভেদ নেই , আপনি যথেষ্ট উদারমনা ,বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জঙ্গী দমন করেন সেটাও ভালো , কিন্তু ইরাক,আফগানিস্তান,লিবিয়া,আফ্রিকা বিভিন্ন যায়গায় তেল ও দাস ব্যবসার উপর প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠাতে কত নিরস্ত্র আর নিরপরাধ সাধারণ মানুষ মানুষ হত্যা করেছেন তার ঠিক নেই , আবার নিজে মুসলিম বলে নিজের দোষ বলবোনা তা কিভাবে হয় , আমি গর্বিত আমার প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুসারী , আমার শ্রেষ্ঠ আর মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বলা আছে ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৩২) ,, কিন্তু যখন ইসলামের মহাঝান্ডাধারী পাকিস্তানী শুদ্ধ মুসলিম হয়ে ১৯৭১ এ ৩০ লাখ নিরস্ত্র বাঙালী মেরেছিলেন আর অযথা ভারতের দোষ দেন , আপনি ইরান আপনি তুরস্ক আপনার সীমান্তে কি ইরাক নামে একটা দেশ কি ছিল ??? যখন সেখানে হামলা হলো আপনার অটোমান খিলাফত এর স্বপ্ন , শিয়া খিলাফতের স্বপ্ন এগুলো দিয়ে লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে রক্ষা করেননা কেন ,এই ইরাকের পাশ দিয়ে তো তুরস্ক,সৌদি,জর্ডান,কুয়েত,ইরান মানে সাচ্চা মুসলিম শরীয়তি দেশগুলো ছিল ।মানছি সাদ্দাম হোসেনের সাথে এদের সম্পর্ক ভালো ছিলোনা , আপনি সৌদি অযথা ইয়েমেনে তান্ডবের কি দরকার ??? ।আপনারা জীবহত্যা মহাপাপ মনে করেন , সবাই যার যার ধর্ম নিয়ে গর্বিত , কিন্তু সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ , সেই মানুষ হত্যা মহাপাপ তো দুরে থাক , পাপই মনে হয়না । থাক এত কথা , এবার বলুনতো পশু পাখিগুলো না খেলে কি হতো , শুধু শুধু মরতো আর পচতো , আর ইকোসিস্টেমের ব্যালান্স নষ্ট হতো । তার থেকে পশুপাখিকে জৈব সার এ পরিণত করবার থেকে , পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের রসনা বিলাসে কাজে লাগাতে দোষের কিছু নেই ।তবে আমরা মানুষরা এদের প্রতি মানবিক হতে পারি ।ধরুণ একেবারে বাচ্চা পশু ,পাখি ,মাছ হত্যা না করে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক প্রাণী খাবার জন্য হত্যা করতে পারি , বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি হত্যা না করি , এদের আবাসস্থল ,বংশবিস্তার এর সময় ও পরিবেশকে ব্যহত না করে এদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে পারি ,এদের মহামারী বা মড়ক রোধে ঔষধ প্রয়োগ করতে পারি , অবাধে পশুপাখি শিকার নিষিদ্ধ করতে পারি , মাংশ খাবার মাত্রা কমিয়ে আনতে পারি ।এভাবে আমরা পশুপাখি ভক্ষণকারী হয়েও এদের প্রতি মানবিক হতে পারি ।আপনি যে ধর্মের হোননা কেন , পুরো লেখাটা পড়ে কি বুঝেছেন জানিনা , সবশেষে কুরবাণী এক বর্বর প্রথা নামক শিরোনামের জন্য সকল মুসলিম ভাইবোনদের নিকট আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী ।

https://www.issm.info/sexual-health-qa/does-consuming-soy-affect-a-mans-testosterone-levels/

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক। ঠিক।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৪

সৈয়দ মেহবুব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৪

বার্ণিক বলেছেন: বর্বররাই বলে কুরবানি এক বর্বর প্রথা।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৪

সৈয়দ মেহবুব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.