নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে নিয়ে লেখার মত আপাতত কিছুই নেই। যেদিন লেখার মত কিছু অর্জন করতে পারবো সেদিন না হয় সময় করে লিখে ফেলবো।

অতঃপর হৃদয়

অতঃপর একটি কাল্পনিক চরিত্র

অতঃপর হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত স্বপ্ন

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫


বাসা থেকে আমার বিয়ে ঠিক করেছে। বাসায় জানতে চাইলাম এখনি কেন বিয়ে ঠিক করতে হলো। বাসা থেকে বললো, একদিন তো বিয়ে করতেই হবে এখন করলে সমস্যা কোথায়। আমিও আর তাদের কথার বাহিরে যেতে পারলাম না। বিয়ের জন্য মানসিক ভাবে তৈরি হতে থাকলাম। নিজের ভেতর কেমন যেন একটা অজানা ভয় কাজ করছিল। তবুও ভয়কে আড়াল করে আমি আমার কাজ করে যাচ্ছিলাম।

আজ আমার বিয়ে। গতরাতে আমার উপর দিয়ে কি গিয়েছে সেটা কেবল আমিই বলতে পারবো। হলুদ নিয়ে যে পরিমান টানাটানি করা হয়েছে আমায় গা পা ব্যাথা হয়ে গিয়েছে। রাতে খুব একটা ভালো ঘুমও হয়নি। বাসায় অনেক আত্মীয় এসেছে। আমায় নিয়ে অনেক মজা করা হচ্ছে। আমি বাহিরে প্রকাশ করতে না পারলেও ভিতরে ভিতরে খুব বিরক্ত হচ্ছিলাম। কি আর করার সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছিল।

বিয়ে বাড়িতে এসেছি আই মিন কনের বাড়িতে এসেছি। সবাই আমাকে দেখতে আসছে আর পিচ্চি বর বলে খেপাচ্ছে। আমি ভীষণ রাগি মানুষ। কিভাবে যে সহ্য করছি সেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। খাওয়া দাওয়া শেষে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেল। অতঃপর অচেনা অজানা মেয়েটির সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেল। শুধু স্বাক্ষর করার সময় খাতায় দেখেছিলাম মেয়েটির নাম নীলা। মেয়েটাকে আমি এখনো দেখিনি। আমার কাছে যখন ওকে নিয়ে এলো এমা দেখি আমার থেকেও পিচ্চি। নীল শাড়ি পড়ে ইয়া বড় ঘোমটা দিয়েছে। ওকে নিয়া আমরা বাসায় চলে এলাম।

বাসায় আসার পর আবার শুরু হলো এদিক থেকে ক্ষেপানো। সবাই অনেক মজা করতে শুরু করলো। বোনও যোগ দিল সবার সাথে। আমি একা একা সব সহ্য করে গেলাম। বাসায় এসে দেখি আমার রুমে দুইটা বালিস। ধুত, আগে একা ঘুমাতাম। পুরো বেডে এপাশ থেকে ওপাশ, ওপাশ থেকে এপাশ। রাতে খাওয়া শেষ করে আমার রুমে ঘুমাতে যাবো এমন সময় বোন ডেকে বললো। ও অনেক ছোট অকে অনেক ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখিস।

রুমে এসে বসে আছি। নীলাও বসে আছে বেডে। উজ্জ্বল আলোয় নীলাকে দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। আমার দিকে ও একবারও তাকায়নি। রাত বাড়তে শুরু করলো। ঘুম পাচ্ছে কিন্তু ঘুমাবো কোথায় বেড একটা, আর হুট করে তো আর নীলার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়া যায়না। চিনিনা জানিনা অচেনা একটা মেয়ে। নীলার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছিলাম। ওর কথা শুনে মনে হচ্ছিল অসুস্থ কিন্তু আমায় বুঝতে দিচ্ছে না। আমি কিছু না ভেবেই ওর কপালে হাত দিলাম। একি, জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। আমি ওকে বললাম, আপনার তো অনেক জ্বর এসেছে আমাকে একবারও বলেননি কেন? নীলা বললো কই আমার তেমন কিছু হয়নি আপনি ব্যস্ত হবেন না। এবার একটু ধমকের সুরেই বললাম। একদম কথা বলবেন না, একদম চুপ। সে রীতিমত ধমক খেয়ে চুপ হয়ে গেল। ড্রয়ার থেকে জ্বরের মেডিসিন নিয়ে এসে ওকে খাইয়ে দিলাম।

অনেকক্ষণ থেকে বসে আছি। নীলাও কথা বলছে না আর আমিও। অনেকক্ষণ পর নীলা বললো আপনি ঘুমাবেন না?
-আপনি তো অসুস্থ অনেক জ্বর এসেছে আপনি আগে ঘুমান তারপর আমি ঘুমাবো।
-আচ্ছা, আপনি আমাকে আপনি করে ডাকছেন কেন? আমি তো আপনার ছোট।
-তুমি বলে ডাকার তো অনুমতি পাইনি।
-তাই বলে আপনি করে ডাকতে হবে? তুমি বলার অনুমতি যদি না দেই? সারাজীবন আপনি করেই ডাকবেন তাহলে?
-হুম তাই করবো।
-আচ্ছা অনেক হয়েছে। তুমি বলার অনুমতি দিলাম। এখন থেকে তুমি করে ডাকবেন।
-ঠিক আছে চেষ্টা করবো।

অনেক রাত হয়েছে। নীলাও জেগে আছে আর আমিও। আমি ওকে বললাম তুমি কোন চিন্তা করো না। এ বাসার সবাই অনেক ভালো তোমায় অনেক আদর করবে অনেক ভালোবাসবে। নীলা বলে উঠলো, আর আপনি? বললাম, এমন করে বলো কেন, কি মনেহয় তোমার? আমার কথা শেষ না হতেই ও কান্না করতে শুরু করলো। এই মাঝরাতে কান্না করছে কেউ জানতে পারলে আমায় অনেক বকবে তাই হাত দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরে কাছে টেনে নিলাম আর কানে কানে বললাম, পাগলির মত কান্না কও কেন, হুম? ও হেসে উঠে বলে, আমি পাগলি? আমি পাগলি হলে আপনি কি? দুজনই হাসতে লাগলাম। অনেক হয়েছে আমার ঘুম পেয়েছে চলো ঘুমাবো। নীলা বলে, আপনি তো ভারি শয়তান, আপনি আমার পাশে ঘুমাবেন? আমি একটা মেয়ে লজ্জা করে না আপনার? বললাম, এই তুমি তো ভালোই পাগলি, কোন কথা বলবা না চুপ করে শুয়ে পড়।

নীলা আর আমি একসাথে শুয়ে পড়লাম। ও আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর আমি চোখ বড় বড় করে তাকাচ্ছি ওর দিকে। ওকে অনেক কাছে টেনে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম। গভীর ঘুমে বুঝতেই পারিনি কখন সকাল হয়েছে। চোখ খুলে দেখি নীলা পাশে নেই। চমকে উঠলাম। তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে ওকে খুঁজতে লাগলাম। গিয়ে দেখি সবার সাথে ও বসে গল্প করছে। একদম পিচ্চি বাচ্চা, পাগলী বললে ভুল হবে না। একদিনেই ওকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। অচেনা অজানা মেয়েটা একদিনেই যেন অনেকটা চেনা হয়ে গেছে।

চারপাশের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। ঘড়িতে তখন সকাল আটটা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। এত সুন্দর গোছালো স্বপ্ন এভাবে ভেঙে যাবে ধুত কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। ইচ্ছে করছিল স্বপ্নের মধ্যেই থেকে যাই। এমন সুন্দর স্বপ্ন সব সময় দেখা যায় না। জানিনা এমন সুন্দর স্বপ্নের কথা কতদিন মাথায় গেঁথে থাকবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

দর্পণ বলেছেন: হা হা আপনার স্বপ্ন তাড়াতাড়ি সত্যি হোক।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমি চাই না সত্যি হোক,, কেবল আমার জীবন শুরু এখন ই থেকে জেতে চাই না

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনি যখন এই পোস্টটি লিখেছেন তখনো আমার ব্লগে জন্ম হয়নি!:)




তবুও আপনার প্রথম পোস্ট বলে কথা!:)

তাই ব্লগে স্বাগত জানিয়ে গেলাম!:)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি তো তখন লিখতেই জানতাম না। স্বপ্ন টা বাস্তব ছিল। তখন আমার লেখায় অনেক বেশি ভুল ছিল। বানান, বিরাম চিহ্ন আরো কত কি!!!!!! ভাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ এত কষ্ট করে এসে পড়ে গেলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.