নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতঃপর একটি কাল্পনিক চরিত্র
ইদানীং হিমু হতে ইচ্ছে করছিল খুব। তাই ঠিক করেছিলাম হিমু হব। বাজার থেকে হলুদ পাঞ্জাবী কিনে এনে পড়ে ফেললাম। পরের দিন হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, কোন এক অজানা গন্তব্যে। রাস্তার পাশ থেকে হঠাৎ নবিতা বলে কেউ ডাকলো। আমি মনে করলাম হয়তো অন্য কাউকে ডেকেছে কিন্তু পরক্ষনে আবার ডাকল, নবিতা। এবার বুঝলাম অন্যকাউকে ডেকেছে কারণ আমার নাম নবিতা নয়।
হাঁটছি এমন সময় একটা মেয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি সামনের দিকে যাব তখন সেই অচেনা মেয়েটি আমায় ডেকে বলছে এই যে হিমু আপনাকেই ডাকছি। আমি বললাম, আমি তো আপনাকে চিনিনা তাহলে আপনি আমায় ডাকছেন কেন? আপনি কি আমায় চিনেন? উত্তরে সে বলল, চিনিতো আপনাকে চিনব না এটা কি করে হয়, আপনি তো হিমু অর্ফে নবিতা। বেশ অবাক হয়ে থমকে দাঁড়ালাম। আমি এবার রেগে গিয়ে বললাম আপনি আমায় নবিতা বলে ডাকছেন কেন? কেন ডাকবো না বলুন আপনি তো কান্না করছেন তাই ডাকছি। আমি তাকে বললাম, কে বলেছে আমি কান্না করছি। সে আমায় বলল, আপনার চোখ বলছে আপনি কান্না করছেন। আপনি আয়নায় গিয়ে দেখুন আপনার চোখের কোণে জল জমা হয়ে আছে। আমি বেশ কিছুদিন থেকে দেখছি আপনি যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যান প্রায়ই আপনার চোখে জল থাকে। আমার এক বন্ধু আছে নাম নবিতা সে প্রায় সব সময় কান্না করে তাই আপনাকে নবিতা বলে ডেকেছি।
দুজনে কথা বলতে বলতে বেশ কিছুদূর এগিয়ে গেলাম। এবার আমি মেয়েটি কে বললাম, অনেক কথা হয়ে গেছে এবার আপনার নাম যদি বলতেন? হ্যাঁ অবশ্যই, আমার নাম রূপা। আমি আরো অবাক হয়ে গেলাম আর বললাম, আমার লেখা একটা গল্প আছে 'হলুদ হিমুর নীল রূপা'। মেয়েটা ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে অবশ্য বেশ লজ্জাও পেয়েছে। এবার আমি রূপা কে বললাম, চলেন চা খাই। রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে অনেক কথা হলো। রূপার ফোন নাম্বারও নেয়া হলো। তারপর চা খাওয়া শেষে রূপা বলল আজ আসি আবার দেখা হবে। রূপা চলে গেল।
বেশ কয়েকদিন হয়ে গেছে আর রূপার দেখা পাইনা। ভয়ে ভয়ে রূপাকে ফোন দিলাম। ফোন রিসিভ করলো, আমি বললাম আমি হিমু। রূপাকে বললাম অনেকদিন যাবৎ দেখা পাইনা আপনার, তাই ফোন করলাম। রূপা বলল আপনি শুধু আমার ফোন নাম্বার নিয়েছিলেন কিন্তু আপনার ফোন নাম্বার দেননি। আর আমারও মনে ছিল না ফোন নাম্বার নেওয়ার কথা। তাই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।আপনাকে ভীষণ মনে পড়ছিল কিন্তু যোগাযোগের কোন উপায় জানা ছিল না। এমন কি আপনার বাসার ঠিকানাও জানা ছিল না। রূপা কান্নার সুরে বললো, বাবা মা আমার বিয়ে দিয়েছে আমি এখন আমার শ্বশুর বাড়িতে।
কথা বলতে পারছিলাম না, ফোন টা কেটে দিলাম। তারপর আমার লেখা 'হলুদ হিমুর নীল রূপা' বইটা ছিড়ে ফেললাম। কিছুতেই রূপার কথা মন থেকে যাচ্ছিল না। রূপার নবিতা ডাকটা বার বার তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। আমিও তাকে বলিনি ভালোবাসি সেও বলেনি তবুও বোধহয় আড়ালেই ভালোবাসা লুকিয়ে ছিল দুজন দুজনার প্রতি। রূপা হারিয়ে যাবার সাথে সাথে হলুদ হিমুর নীল রূপা গল্পটাও হারিয়ে গেল।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: হিমুরাতো বাধনে জড়ায় না।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
ডাঃ মারজান বলেছেন: হিমুরা বাঁধনে জড়ায়না! অনেক অনেক শুভ কামনা রইল। ভালো লাগলো পোস্টটি।