নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে নিয়ে লেখার মত আপাতত কিছুই নেই। যেদিন লেখার মত কিছু অর্জন করতে পারবো সেদিন না হয় সময় করে লিখে ফেলবো।

অতঃপর হৃদয়

অতঃপর একটি কাল্পনিক চরিত্র

অতঃপর হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীল পাঞ্জাবী

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬


ঈদের আর বেশি দিন নেই। সবাই নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে একসাথে ঈদ করবে। মানুষ ঈদ করতে নিজের বাড়িতে যায় কিন্তু আমি ঈদ করতে মামার বাড়ি যাবো। মামা আমাকে অনেক করে বলেছে তাই আমি মামার বাড়ি যাবো। অতঃপর ঢাকায় মামার বাড়িতে চলে এলাম। ঢাকা শহর অনেক বেশি ফাঁকা হয়ে গেছে সব মানুষ ঈদ করার জন্য গ্রামে গেছে তাই রাস্তায় কোন যানজট নেই। মামার বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার সব খালারা এসেছে এখানে সব খালাতো ভাই-বোন এসেছে এক কথায় বলতে গেলে বাড়ি ভর্তি হয়ে গেছে। মামা বলে দিছে আজ শপিং করতে যেতে হবে তাই আমরা সবাই রেডি হয়ে আছি কখন মামা ডাকবে আর কখন গিয়ে হাজির হবো তার সামনে সেই অপেক্ষা করতেছিলাম। ঈদের শপিং করতে যাবো ভেবেই আনন্দে লাফাচ্ছি আমরা। মামাতো বোন আনিসা এসে আমাকে বললো ভাইয়া তুমি কি কি কিনবা? আমি তাকে বললাম তুমি যা পছন্দ করে দিবা তাই কিনবো। সে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো এবং বললো তোমাকে নীল পাঞ্জাবিতে অনেক সুন্দর লাগবে। আমি হঠাৎ চমকে উঠলাম, আসলে আমি ঠিক করেছিলাম এবার ঈদে নীল পাঞ্জাবি কিনবো। আমরা সবাই গল্পে মেতে ছিলাম হঠাৎ মামা ডাকলো বললো কে কোথায় আছিস তাড়াতাড়ি আয় শপিং করতে যেতে হবে। আমরা ১ মিনিটও দেরি না করে মামার সামনে হাজির!! এবার শপিং করারা জন্য বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স এ যাবো। বাসার সামিনে বেরুতেই দেখলাম মামা একটা মাইক্রো ডেকে এনেছে, এটায় করে যেতে হবে আমাদের। তারপর আমরা পিচ্চি পিচ্চি সব শয়তান গুলো মাইক্রোতে উঠলাম এবার মাইক্রো চলতে শুরু করলো আর এদিকে আমরা গল্পে মেতে উঠলাম। ব্যস্ত শহরে বসুন্ধরা যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা আর আজ অনেক তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেলাম মাত্র ৪০ মিনিট লাগলো। আমরা সবাই মাইক্রো থেকে নামলাম অতঃপর শপিং মলের ভেতরে একটি দোকানে গেলাম সেখানে সবাই তাদের পছন্দ মত কেনা কাটা করতে ছিল আর আমি এদিকে বসে ছিলাম এক সাইডে মামা আমাকে বললো কি ব্যাপার তুমি এখানে বসে আছো কেন? যাও যা কিনতে চাও তাড়াতাড়ি পছন্দ করো। আমি গিয়ে দোকানের সামনে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই মামাতো বোন বললো ঐ যে ভাইয়া তোমার নীল পাঞ্জাবি ঝুলে আছে। আমি বললাম ওটা তো এখনো আমার হয়নি কারণ এখনো আমি কিনি নি। তারপর দোকানদার কে বলে পাঞ্জাবি তা প্যাকেট করিয়ে নিলাম এদিকে সবার কেনা কাটা শেষ। এবার ঘরে ফেরার পালা সবাই আবার আগের মত মাইক্রো তে উঠে পড়ালাম আমাদের সাথে নতুন যোগ হলো বড় বড় শপিং ব্যাগ। বাসায় ফেরার পথে সবাই কত রকম প্ল্যান করলাম তা বলে শেষ করা যাবে না। কেউ বললো ঈদের দিন নামাজ শেষ করে ভালো কোন জায়গায় ঘুরতে যাবো আবার কেউ বললো না আগে সবাই নদী দেখতে যাবো তারপর অন্য কোথাও যাবো আবার কেউ কেউ বললো ঈদের দিন নয় ঈদের পরের দিন ঘুরতে যাবো। মামাতো বোন গুলো বার বার খেপাচ্ছিল ভাবীর সাথে কোথাও ঘুরতে যাবিনা? এগুলো শুনে বাকি সবাই হাসতেছিল আর আমি ওদের দেখা দেখি হাসতেছিলাম কেন হাসতেছিলাম জানিনা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.