নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বরাজনীতির নতুন সমীকরণ নিয়ে কিছু পর্যালোচনা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৫

এই তো মাত্র কয়েকদিন আগেই ’একক পরাশক্তি হিসাবে চীনের উত্থান ও বিশ্বরাজনীতির নতুন সমীকরণ’ শিরোনামে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করেছিলাম। মাত্র কয়েকদিন গত হয়েছে এরমধ্যেই কিছু ঘটনাপ্রবাহের আলোকে সামান্য পর্যালোচনা তুলে ধরছি। আমি সেখানে বলেছিলাম, ব্রিটেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাস্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এরপর ইউরোপের অন্যান্য রাস্ট্র দিবে আর ইউরোপ দেওয়া শেষ হলে এরপর যুক্তরাস্ট্র অর্থাৎ-যুক্তরাস্ট্র, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাস্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিবে তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে ইউরোপর দেশগুলি দিচ্ছে। হ্যাঁ, গতকালকের নিউজ হলঃ ব্রিটেনের পর সুইডেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাস্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে !



ঐ আর্টিকেলে লিখেছিলাম, ইসরায়েল, যুক্তরাস্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ও ইসরায়েলের চীনমুখী পদক্ষেপ ! আমার এ কথায় অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, ইসরায়েলের বিখ্যাত পত্রিকা হারেৎজ একটি কার্টুন প্রকাশ করেছে। সেই কার্টুনে ইসরায়েলী একটি যুদ্ধ বিমান যুক্তরাস্ট্রের ওয়াল ট্রেড সেন্টারে হামলা করতেছে ! এই কার্টুন দ্বারা হারেৎজ পত্রিকা এটাই বুঝিয়েছে বর্তমানে আমেরিকার সাথে ইসরায়েলের সম্পর্কের ইতিহাসের সবচেয়ে সর্বনিম্ন মাত্রায় অবস্থান করতেছে অর্থাৎ ইসরায়েলের সাথে যুক্তরাস্ট্রের সম্পর্কের এত অবনতি এর আগে ঘটেনি! ইরানের পরমানু কর্মসুচি ও সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতনের ইস্যুতে যুক্তরাস্ট্র তেমন কার্যকরী ভুমিকা না নেওয়াতে যুক্তরাস্ট্রের ওপর চরম ক্ষেপেছে ইসরায়েল ও সৌদি অক্ষ ! এরই পরণতি হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যে আইএসআইএল এর উৎপত্তি ! এই আইএসআইএল সৃষ্টি করা হয়েছে মূলত দুটি দেশকে লক্ষ্য করে একটি ইরান ও অপরটি যুক্তরাস্ট্র ! উদ্দেশ্য ছিল ইরান ও যুক্তরাস্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে মরণঘাতি একটা যুদ্ধে জড়ানো ! হ্যাঁ, আইএসআইএল সৃষ্টিতে নি:সন্দেহে যুক্তরাস্ট্রের ভুমিকা আছে তবে নিশ্চয় সরাসরি নয় । মূলত যুক্তরাস্ট্রের ইহুদি লবি ,সৌদি ও ইসরায়েল অক্ষ আইএসআইএল সৃষ্টি করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু এই আইএসআইএল ইরান ও আসাদ সরকারের জন্য শাপে বর হিসাবে দেখা দিয়েছে। যে আমেরিকার সাথে ইরানের ৩৫ বছর ধরে কোনো কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই সেই ইরানের সাথে আমেরিকা এবার নতুন সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে ! এরই পদক্ষেপ হিসাবে ইরানের পরমানু ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান আমরা দেখতে পাব আর এই নিয়ে গবেষণাধর্মী একটা আর্টিকেল প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জারনাল ! আমি গত লেখায় ইরান ও যুক্তরাস্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে যা বলেছি আমার সেই কথাগুলোরই পুনরাবৃত্তি করেছে ওয়াল স্ট্রিট জারনাল !সম্পর্কের এই নতুন সমীকরণে আমরা ইসরায়েল ও সৌদিকে চীনমুখী দেখতে পারব অন্যদিকে ইরানকে দেখা যাবে মধ্যপন্থী নীতি অবলম্বন করতে তবে পশ্চিমাদের সাথে ইরানের শত্রুতা আগের মত থাকবে না ।অপরদিকে রাশিয়া ও ভারতকেও আমরা একই কাতারে দেখতে পারব। গত আর্টিকেলে বলেছিলাম, যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে ইহুদি লবির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হল ওবামার পুন:নির্বাচিত হওয়া ঠেকানো। ওবামা প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নেতানিয়াহুকে ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি হিসাবে মন্তব্য করেছে-যা সত্যিই বিষ্ময়কর ! ওবামা প্রশাসন ইসরায়েলের কথা আর আগের মত গুরুত্ব দিচ্ছেন না তবে ইহুদি লবির প্রভাবে যতটুকু না দিলেই নয় ততটুকুই দিচ্ছেন। সম্ভবত মার্কিন ইতিহাসে একমাত্র ওবামাই হতে যাচ্ছেন ইসরায়েল বিরোধী কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট !



আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহের ভিত্তিতে পর্যালোচনা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে।



মিজানুর রহমান মিলন।

৩১.১০.২০১৪।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: উনাদের নীতি বুঝাই মুশকিল।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: একটু ঘাটলেই বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমার তো ধারনা ওবামা ইসরাইলের ক্রীডানক এবং ওদের কথায় উঠে আর বসে। কিন্তু আপনি এইগুলা কি শুনাচ্ছেন? আর ইসরাইল আমেরিকারে কখনো পরিত্যাগ করবে না আমেরিকা চাইলেও। চীন হয়তো টেকনোলজির জন্যে ইসরাইলকে কাছে টানতে চাইবে কিন্তু সে এ কথা ও জানে যে এর জন্য তাকে বিশাল মুল্য দিতে হবে মুসলিম দেশগুলির কাছে, সুতরং চীন যা কিছু করবে খুব কৌশলে করবে যাতে মাথামোটা মুসলিম দেশগুলো তেমন কিছু বুঝতে না পারে অর্থাৎ সাপ ও মরে আর লাঠিও ভাংবেনা।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুরদর্শি বিশ্লেষন । ভালো লাগলো ।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩২

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ওবামার চিন্তা শক্তি ইহুদীদের চেয়েও বেশি। তাই সে স্বেচ্ছায় কোনো যুদ্ধে জড়ায় নি। আর ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে নিজেকে দূরে রেখে ইসরাইলকে দিয়েই যুদ্ধ করিয়েছে। এতে ইসরাইলের ভাবমূর্তি নষ্ট হলেও আমেরিকাকে কেউ দোষারপ করতে পারবেনা বা যুদ্ধের কালিমা দিতে পারবেনা। আমেরিকার অর্থনীতি এখন আর আগের মতো তত শক্তিশালী নয়। ওবামা চাইছে তার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে। যুদ্ধ করে আর অর্থ নষ্ট করতে চাইছেনা। আবার ইহুদের কথায় উঠা বসা থেকেও বের হয়ে আসতে চাইছে। নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা প্রায় তলানীতে। যুদ্ধে জড়ালে ওবামার জনপ্রিয়তাও তলানীতে যেতো। তিনি আমেরিকার অন্যতম সফল রাষ্ট্রনায়ক। একসময় ইতিহাস এর সাক্ষী হবে।

ইউরোপের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে ইহুদীদের জন্য ইউরোপ তেমন আর স্বর্গ নয়। আমেরিকাতেও এখন ইহুদের অবস্থান নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। তাদের কাজের মূল্যায়ন শুরু হয়েছে।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

সোহানী বলেছেন: আপনার লিখার সাথে সহমত । তবে সেটা চীন লবিং এর জন্য তা মনে হচ্ছে না..... রাশিয়ার উথ্থান ও এর কারন হতে পারে।

এমনিতেই হয়তো যুক্তরাস্ট্র বুঝতে পারছে শুধুমাত্র ইসরাইলের আব্দার পুরন করতে যেয়ে কতটা নিজেদের পায়ে কুড়াল মেরেছে তারা..... যাক্ দেরীতে হলে ও বুঝতে পেরেছে হয়তো !!!! তবে নুতন রাজনৈতিক মেরুকরন তৈরী হবে এটা নিশ্চিত !!!

সিরিজের সাথে আছি...................+++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.