নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশেম সোলাইমানিকে কেন হত্যা করেছিল আমেরিকা?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৩

জেনারেল কাশেম সোলায়মানিকে কেন হত্যা করেছিল আমেরিকা? কাশেম সোলায়মানির ইরান আমেরিকার যেমন শত্রু তেমন শত্রু কিন্তু চীন, রাশিয়া, ভেনেজুয়েলা বা উত্তর কোরিয়াও। কোন দেশের জেনারেলকে তৃতীয় কোন দেশের মাটিতে অপর কোন দেশ এভাবে হত্যা করেনি যেটা করেছে আমেরিকা। ইরানের সাথে আমেরিকার কোন যুদ্ধও চলছিল না। সোলায়মানি মার্কিন কোন নাগরিককে হত্যাও করেননি। সোলাইমানি সামরিক উর্দি পরিহিত অবস্থায় যুদ্ধক্ষেত্রেও ছিলেন না। ছিলেন সিভিল ড্রেসে বিমান বন্দরে! কাশেম সোলায়মানি আইস, আলকায়েদা টাইপের কোন নেতা ছিলেন না। ছিলেন একটি দেশের স্বীকৃত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর জেনারেল। আন্তর্জাতিক সকল নিয়ম কানুনকে উপেক্ষা করে একটি দেশের জেনারেলকে হত্যা করেছে আমেরিকা। আমেরিকার বড় অপরাধটা এখানেই। কাশেম সোলায়মানিকে হত্যার কাটগড়ায় শুধু ট্রাম্প বা পম্পেও নন; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুরো রেজিম এর জন্য অপরাধী।

প্রশ্নটা আবারো করতে হয়। তাহলে আমেরিকা কেন কাশেম সোলায়মানিকে হত্যা করেছিল?

কাশেম সোলায়মানিকে হত্যার মূল কারণ হল কাশেম সোলাইমানি একাই আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্যের প্রজেক্ট ব্যর্থ করে দিয়েছে! কি সেই প্রজেক্ট?

আইএস ছিল আমেরিকার বড় প্রজেক্ট।

আইএস এর পরাজয় ছিল মূলত আমেরিকার পরাজয়। সোলাইমানিকে হত্যা করে আমেরিকা শুধু পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে মাত্র। কিন্তু এই প্রতিশোধ নেওয়ার ফলে আমেরিকার লাভের বদলে ক্ষতি হয়েছে বেশি। সোলাইমানি ছিলেন একজন ইরানি জেনারেল, কিন্তু আমেরিকা তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাঁকে বিশ্ব জেনারেলের মর্যাদা দিয়েছে। সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকী এখন পশ্চিমা মিডিয়াও জোরালোভাবে প্রচার করে-বিভিন্ন প্রবন্ধ এবং নানা মত ও বিশ্লেষণ চলছে।

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিদায়ের পথে আমেরিকা! আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার লজ্জাজনক বিতাড়নের পর ইরাক থেকে পাততাড়ি গুটানোর দিন গুনছে আমেরিকা। গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল ইরাক থেকে পাততাড়ি গুটানোর ডেটলাইন; কিন্তু আমেরিকাকে যেতেই হবে!তারপর সিরিয়া থেকে বিতাড়নের পালা। ইয়েমেনেও আমেরিকার পরাজয় অবধারিত। দিন পাল্টালেই সমীকরণ চেঞ্জ হচ্ছে। সমীকরণ চেঞ্জ হচ্ছে আমেরিকার স্বার্থের বিপরীতে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২২

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: এতে আমেরিকার কি আসে যায় !

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৫

নতুন বলেছেন: আমেরিকান সম্রাজের পতন আসবেই কিন্তু তখন চাইনিজ সম্রাজ্য চালু হবে, কিন্তু সেটা সম্ভবত কড়াই থেকে উনুন ঝাপ দেওয়ার মতন হবে।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪৯

সোবুজ বলেছেন: নতুন বিশ্বব্যবস্থায় একক কেই থাকবেনা।একক কেউ থাকলে বিশ্ববাসী খুব একটা উপকৃত হবে না।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১৯

বিটপি বলেছেন: আমেরিকার প্রতিশোধ নেবার পন্থা হল বাংলা সিনেমার নায়কের পিতৃহত্যা বা মাতৃ অবমাননার প্রতিশোধের মত। কাশেম সোলাইমানির হত্যার মাধ্যমে আমেরিকার গোবর মস্তিষ্কের চরিত্র সারা দুনিয়ার সামনে প্রকাশ হয়ে গেল। বিশ্ব জেনে গেল পাগল চেতানো কত সহজ কাজ!

সমশের কাকুরে খুব মিস করতেছি। উনি বেঁচে থাকলে আমেরিকা যে সোলাইমানিকে মেরে বিশ্বের কত বড় উপকার করেছেন - সে সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণা পেতাম। এখন অপেক্ষায় আছি কলাবাগান১ এই সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করে কিনা, জানার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.