নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেনো বড় ছেলে জনপ্রিয়?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৫

মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানসিকতার দর্শকদের চোখে কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ!!
যে কারণে বেদের মেয়ে জোছনা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, হুমায়ুন আহমেদ জনপ্রিয়, সাম্প্রতিক টেলিফিল্ম ‘বড় ছেলে’ একই কারণে জনপ্রিয়। একজন ভাল রেজাল্টধারী ছেলেকে ব্যর্থ হতে দেখিয়েছেন। এখন একজন ভাল রেজাল্টধারীর ব্যর্থতাই সমাজ আগ্রহের সহিত গ্রহণ করতে চায়। প্রকৃত ভাল রেজাল্টধারী কম বলেই হয়তো। শিক্ষার মানহীনতাও একটা কারণ হয়তো। এর নেতিবাচক দিক অনেক। টেলিফিল্মটিতে ভাল অভিনয় হয়েছে মাঝের বিচ্ছেদে বিদায় নেয়ার সময় নায়িকার অযৌক্তিক অতিকান্নার সময়টির। ঢেচকি উঠানো কান্না! হাস্যকর! আমাদের মাস-দর্শকদের একটা মান রয়েছে। দর্শকরা যখন অশ্লিল ছবিকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল তখনই মুনমুন -ময়ুরীরা দাপিয়ে অভিনয় করেছেন। ব্যবসা রমরমা। সেটাইতো আমাদের মূল দর্শক। আমাদের দর্শকরা ধনী-দরিদ্রের প্রেম পছন্দ করে, এর প্রকট সমস্যা-পরিণতি তারা বুঝতে চায় না। বেদের মেয়ে জোছনাতেও জমিদার পুত্রের সাথে বেদের মেয়ের প্রেম দর্শকদের আকৃষ্ট করেছিল। ওখানে শেষ পর্যন্ত বেদের মেয়ের শরীরে রাজরক্তই আবিষ্কার হয়েছিল- না হলে পুরুষতন্ত্রের ইজ্জত থাকতো না। ‘বড় ছেলে’ টেলিফিল্মের নায়িকা মেহজাবিনেরও ধনীর মেয়ে হিসাবে গায়ের রঙ দারুণভাবে মিলে গিয়েছিল। সে মার্জিত। এতোটা মার্জিত ধনীর দুলালীর হওয়ার সুযোগ নেই। মধ্যবিত্ত মানসিকতার ধনীর দুলালী আর কি। কেন সে ‘বড় ছেলেকে’ ভালবাসবে? অজ্ঞাত, সম্ভবত লেখকেরও কোন ধারণা ছিল না। দেশে ভাল রেজাল্টধারী, কোন্ ছেলেটা কিছুই করতে পারে না? মেধা বিকাশের কোন মূল্য নেই? শিক্ষা কি তাকে যোগ্য করে তুলেনি? একজন ভাল ছাত্রের চাকুরির অভাব এখনো বাংলাদেশে নেই। এবার হয়তো এ ধরনের গল্প, নাটকে বিপুলভাবে ফিরে আসবে। মোশারফ গংরা বাংলাদেশের নাটকে বস্তাপচা হাসি ঢুকাতে গিয়ে ভাষা এবং গল্পে জঘণ্যতা ও জগাখিচুড়ি ঢুকিয়েছেন। এগুলোও জনপ্রিয়তা পায়, এক শ্রেণির দর্শকদের মানের কারণেই। সেই একই দর্শকরাই ‘বড় ছেলে’র মতো অযৌক্তিক নেতিবাচক ও ভুল গল্পের নাটককে গ্রহণ করছে। আমাদের সিনেমা ও নাটককে উঠে দাঁড়াতে আরো সময় লাগবে বলেই মনে হচ্ছে। সাদাকালো যুগের নাটক হলেও মেনে নেয়া যেতো। এই সময়ের এই বাস্তবতার সাথে এই নাটক যায় না। নাট্যকারদের এ ধরনের আচরণকে বলা হয়, চোখে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে দর্শকদের কাঁদানোর চেষ্টা করা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই, বড় ছেলে নাটকটি কেবল ব্যবসা সফল করার চিন্তা থেকেই করা হয়েছে সম্ভবত, সেখানে সমাজ সচেতনতা বলতে কোন দিক নাই, আরো একজন ভালো ছাত্রের মনে দেয়া হয়েছে বিষতীর। লেখক নাটকটিকে এদেশের সস্তা আবেগকে কাজে লাগাতে চেয়েছে, সে সফলও হয়েছে....!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: মিডিয়া ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে নাটকটিকে। এর ক্ষতিকর ও ভুলগল্পকে উপস্থাপন করেনি। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.