নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারা কেউই কেন মুসলিম হননি?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৭


জাফলং এ আড্ডা দিচ্ছিলাম। এক স্নেহভাজন বন্ধু বললেন, পৃথিবীর বহু বিখ্যাত ব্যক্তি মুসলিম হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ মুসলমান হয়ে যাচ্ছে। যেমন ড. মরিস বুকাইলি।
বললাম, একটি গবেষণায় দেখলাম সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মান্তরের হার খুবই কম। এবং যত লোক অন্য ধর্ম থেকে মুসলিম হচ্ছেন কাছাকাছি লোক আবার ইসলাম ছেড়েও যাচ্ছেন। আর মরিস বুকাইলিতো ডাক্তার, ওনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। সে যে বই লিখেছে তাতে মনে হওয়ার কথা যে তিনি মুসলিম হয়েছেন, কিন' বাস্তবে হননি।
বন্ধুটি ক্ষেপে গেলেন। সে নিশ্চিত, যদি সতি না হয় তবে জিভ দিয়ে আমার জুতো পরিষ্কার করে দিবেন।
শুনে খুবই কষ্ট পেলাম, এমন বাজে ধরনের এক বাজি/চ্যালেঞ্জে। আমি প্রস্তাব দিলাম হেরে গেলে এক কাপ চাই যথেষ্ট। মোবাইলে সার্চ দিয়ে ইউকিপিডিয়াতে সবাই দেখলাম, সে মুসলমান হননি। সে মানবে না। তার কাছে বই রয়েছে। কদিন পরে ফোনে জানালেন, তারই ভুল। বরিস মুসলিম হন নি। বিষয়টি আমার কাছেও বিস্ময়কর। তিনি তার গ্রন' ‘বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান’ এ প্রমাণ করতে চাইলেন বাইবেল ভুল, বিজ্ঞানও ভুল হচ্ছে শুধুই কোরআন বিজ্ঞানভিত্তিক এবং অলৌকিক এবং সত্য এবং মহাবিস্ময়কর, এটিই একমাত্র স্রস্টা প্রদত্ত গ্রন্থ।
বইটি লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে। মরিস সৌদী রাজপরিবারের ডাক্তার ছিলেন। এই বই তাকে রাজপরিবারেরর কাছে আরো গ্রহণযোগ্য করেছে এবং তার অর্থ উপার্জন বহুগুণে বেড়েছে সেটা বই থেকে এবং চিকিৎসা থেকে। এই বই একজন মূর্খ সৌদী রাজপুত্রের কাছে যেমন মহামূল্যবান, তেমনটি একজন বিজ্ঞানমনষ্ক যুক্তিবাদি মানুষের কাছে নয়। মরিসের বই হাস্যকর যুক্তিনির্ভর এবং তিনি গবেষণা ছাড়াই গল্পের মতো লিখেছেন। এবং আরো বই লিখেছেন ইসলাম নিয়ে। শুধুই অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি এই বই লিখলেন? অথচ নিজের ইসলাম গ্রহণ করলেন না!!
এমনটি খাটে আমাদের বাঙালি ভাই গিরিশচন্দ্র সেন এর বেলাতেও। তিনিই প্রথম কোরআন বাংলায় অনুবাদ করেন এবং শীর্ষস্থানীয় ইসলামি চিন্তবিদদের অনুমোদন নিয়ে প্রকাশ করেন। শুধু কোরআন নয় তিনি বহু হাদিসগ্রন্থও অনুবাদ করেন এবং ইসলাম নিয়ে অনেক লেখালেখি করেন। কিন্তু তিনিও মুসলিম হননি। শুধুই পেশা হিসাবেই দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ইতিহাসের অংশ হয়েছেন।
গ্যারি মিলার কানাডার খ্যাতিমান সাংবাদিক। তাঁর বই ‘আল কুরআনঃ এক মহাবিস্ময়’। তিনি বিভিন্ন দিক আলোচনা করে বলেছেন, কোরআন বিস্ময়কর এবং অলৌকিক। তিনি কোরআনকে আসমানি বাণী বলেই দাবী করেছেন যা পৃথিবীতে একমাত্র গ্রন্থ। তার বইটিও পড়ে মনে হয়েছে তিনি সৌদী রাজপরিবারের অনুরোধেই বইটি লিখেছেন এবং তিনিও বিজ্ঞানভিত্তিক কোন যুক্তি দেননি অবশ্য দাবী করেছেন। তিনি সাংবাদিক হলেও আধুনিক বিজ্ঞান বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞান, বিবর্তনবাদ, পদার্থবিদ্যা, নভোবিজ্ঞানসম্পর্কে তার ধারণার বিস্তর অভাব রয়েছে। তিনি দাবী করেছেন, তিনি বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে কোরআনের অলৌকিকত্ব প্রমাণ করেছেন। তিনিও মুসলমান হননি অথচ কেন এমন একটি বই লিখলেন তা ভেবে ভাই না। শুধুই কি বাণিজ্য আর সৌদি রাজপরিবারের অনুরোধ রক্ষার জন্য?
ড. কীথ এল মুর লিখেছেন ‘আল কুরআনে ভ্রূণতত্ত্ব’ নামের একটি বড় নিবন্ধ। এটিও সৌদি রাজপরিবারের অনুরোধে। কোরআণে ভ্রূণ সম্পর্কিত আয়াতগুলোকে তিনি মিলিয়েছেন, আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে। তিনি লিখেছেন, অনেকগুলো আয়াতই এতোকাল স্পষ্ট বুঝা যায়নি। সাম্প্রতিক ভ্রূণ নিয়ে উচ্চতর গবেষণা আয়াতগুলোকে স্পষ্ট করেছে। ড. কীথ কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগে ছিলেন। এটা একটি নিবন্ধ যাতে তুলনা করেছেন কোরআনে কিভাবে মানুষের জন্মরহস্য লেখা হয়েছে এবং বর্তমানে বিজ্ঞানের গবেষণায় তার প্রমাণ। তিনি দাবী করেছেন, কোরআনে আছে- ‘তিনি তোমাদের তৈরি করেছেন মাতৃগর্ভে কয়েক ধাপে, অন্ধকার তিনটি পর্দার আড়ালে। তারপর তাকে বিন্দুরূপে এক সুরক্ষিত স্থানে স্থাপন করি। তারপর আমি সেই বিন্দুকে পরিণত করি জোঁকের মত আঁকড়ে থাকা কাঠামোয়। তারপর সেই চর্বিত গোস্ত থেকে তৈরি করি অস্থি, পরে অস্থিকে ঢেকে দিই গোস্ত দিয়ে। তারপর তাকে গড়ে তুলি এক নতুন সৃষ্টিরূপে।
এগুলো কয়েকটি সুরা থেকে তিনি একত্রিত করেছেন এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়েছেন। ড. কীথও সৌদী এক রাজপুত্রের অনুরোধে এবং তার পাঠানো ভ্রণসম্পর্কিত আয়াতগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে নিবন্ধটি লিখেছেন এবং কোরআনের অলৌকিকত্ব প্রমাণ করেছেন। বিস্ময়কর যে ড. কীথ সৌদি রাজপরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখলেও নিজে মুসলমান হননি। কেন হননি? তার লেখা কি শুধুই সৌদী রাজপরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য এবং লেখাটি মুসলিম বিশ্বে আলোচিত হবে সে জন্য?
আমাদের এলাকাতেও কয়েকজন নারী পুরুষ হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম হয়েছে। তারা কেউই গবেষণা করে হননি। তারা ঘর ছেড়েছেন মুসলিম তরুণ/তরুণীকে ভালবেসে এবং ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বৈবাহিক কারণে এই ধর্ম বদলটা অস্বাভাবিক নয়। আমি বিক্রমপুরেরই একটি পরিবারকে দেখেছি তাদের পরিবারের ছেলেদের একজন বৌদ্ধ, একজন ইহুদী, একজন খ্রীস্টান নারীকে বিয়ে করেছেন এবং ওই পরিবারেরই একজন নারী একজন দক্ষিণ ভারতীয় ব্রাহ্মণকে বিয়ে করেছেন। আমার ভাবনা হলো আলোচিত চারজনকে নিয়ে। তারা কেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন না? শুধুইকি বাণিজ্য, প্রচার ইত্যাদির কারণেই তারা কথিত গবেষণা করেছেন এবং লিখেছেন?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: কাউকে ইসলামের পথে দাওয়াত দেয়া এতো সহজ নয়। পরিবর্তন কেউই সহজে মেনে নিতে চায়না। ধর্ম পরিবর্তনের সাথে সাথে এর প্রভাব শুধু নিজের ওপরেই না, নিজের পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবদিক থেকে বহু ঝড়ঝাপটা শুরু হয়ে যায়। আল্লাহ কর্তৃক হেদায়াতপ্রাপ্ত না হলে কাউকে হেদায়াত দেয়া সম্ভব নয়।
যদিও আজকালকার মুসলমানদের ধারণা, শেষযুগের ইমাম মাহদী (আ.) আসার পরে বিশ্বের সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে. যা কিনা সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুগেও হয়নি। কিন্তু সাধারণ মানুষ যুক্তি মানে না। তাদের কাছে ধর্ম আর যুক্তি আলাদা দুটো বিষয়।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:
এই উদাহরণটাই দেখুন একবার।
ইসলাম মানুষকে আত্মোন্নয়ন শেখায়। রাতারাতি কেউ মুসলমান হয়নি। সাহাবীরা (রা.) আজীবন ধরে সাধনা করে গেছেন।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: কুরআন অনুবাদ করলেই কি মুসলিম হতে হবে ? এই প্রশ্নটা বা যুক্তিটা কিন্তু সঠিক মনে হলো না | হতেই পারে গিরিশচন্দ্র কুরআনের অনুবাদ আরেছেন শুধুমাত্র তার আগ্রহ থেকে | ইসলামতো বিশ্বাস করতে হবে |এর মূলনীতিগুলোতো বুঝতে হবে ইসলাম গ্রহণের আগে | সেটা না হলে শুধু কুরআন অনুবাদ করলেতো হবে না | তাহলেতো গীতা অনুবাদ করলে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে হবে অনুবাদকারীকে !

আপনি শিওরতো গ্যারি মিলার ইসলাম গ্রহণ করেন নি ? আমি কিন্তু তাই জানি ইসলাম গ্রহণের পর তার এখনকার নাম আহাদ আব্দুল ওমর | আপনি প্লিজ একটু চেক করে জানিয়েন আমার যদি ভুল হয়ে থাকে | আর গ্যারি মিলারতো সাংবাদিক না ! উনি ম্যাথমেটিশিয়ান আর থিয়োলজিয়ানও | আহমেদ দিদাতের সাথে তার বিতর্কের ভিডিও আপনি ইটিউবে পাবেন মনে হয় |

আমি জানি না আপনি কোথায় পেয়েছেন কিথ মুর তার ভ্রূণ সংক্রান্ত গবেষণা কোনো সৌদি রাজপুত্রের অনুরোধে করেছিল | কিথ মুরকে সৌদি আরবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ভ্রূণ সম্পর্কে আধুনিক বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা জানবার জন্য একটা সেমিনারে | সেই সেমিনারে ডক্টর মুর প্রথম এম্ব্রায়োলজি সম্পর্কে কুরআনের ধাৰণাগুলোর সাথে প্রথম পরিচিত হন | হয়ত একথা ঠিক যে কিথ মুর প্রকাশ্যে কখনো বলেননি উনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন কিন্তু ১৯৯০ সালের জুন মাসে ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোতে কুরআনের ভ্রূণ সম্পর্কিত এক সেমিনারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহি আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে রাসূল বলে স্বীকার করেছেন (ইউটিউবে আপনি ভিডিওটা পেয়ে যেতে পারেন সম্ভবত )| ডক্টর মুরের বাবা একজন প্যাস্টর ছিলেন |আজকের খ্রিস্টান ধর্ম কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল হিসেবে স্বীকার করে না | ইনফ্যাক্ট হজরত ঈসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর পর কোনো নতুন ধর্ম আর রাসূলের উপস্থিতিই তারা স্বীকার করেনা | সারা জীবন সেটা বিশ্বাস করেও উনি কিন্তু কুরআন সম্পর্কে জানার পর রাসূলুল্লাহ সম্পর্কে ভিন্ন ধাৰণা করতেন | তাই এটা বলা যায়না জোর দিয়ে যে উনি ইসলাম গ্রহণ করেন নি |

একজন মানুষ বা বিজ্ঞানী কুরআন সম্পর্কে কি বললো তা দিয়ে কুরআনের প্রাসঙ্গিক বর্ণনার সম্পর্কে তাদের মনোভাবই শুধু জানা যায় |তার জন্য সেই লোকদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে এমন শর্ততো নেই |রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মদিনার বা নানা জায়গার থেকে ইহুদিরা এসে নানানা প্রশ্ন করতো (সুরা কাহাফ -এ এমন ঘটনার বর্ণনা আছে) | সেগুলোর উত্তর শুনে অনেকে ইসলাম গ্রহণ করেছে | অনেকই আবার ইসলাম গ্রহণ করেনি কিন্তু তাতে ইসলাম মিথ্যে হয়ে যায়নিতো | এখনো হবেনা | কুরআন জানা আর ইসলাম গ্রহণ করা বা না করা এই দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় |

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

কুকরা বলেছেন: কাফেররা মনে প্রানে চায় ইসলাম মিথ্যা হয়ে যাক। কিন্তু তাদের মনের আশা কোনদিন পুরন হবে না।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: কিছু নামধারী মুসলিম ইসলাম বিরোধি কথাবার্তা বলে বিধর্মী বা পশ্চিমা দুনিয়ায় সাধু সাজতে চায়। যাকে বলে পরম ভক্ত

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: যার হিসাব সেই -্ই দিবে ভাই। অযথা ঐ লোকগুলোকে নিয়ে টেনশন করবার কিছু দেখিনা।

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টটি খুব মন দিয়ে পড়লাম।

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

মাআইপা বলেছেন: “মলাসইলমুইনা: কুরআন জানা আর ইসলাম গ্রহণ করা বা না করা এই দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়”
১০০% সহমত

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

ওয়াজেদ বিপ্লব বলেছেন: একবিংশ শতক প্রকৃতিবিজ্ঞানের জয়-জয়কারের শতক। ফলে, প্রকৃতিবিজ্ঞানের তত্ত্ব দিয়ে কোরানকে জাস্টিফাই করার প্রবণতা দেখা ধর্ম এবং ধর্মতত্ত্ব- উভয় দিক থেকেই স্বাভাবিক। ধর্মতাত্ত্বিককে ঈমানদার না হলেও চলে, কিন্তু ধার্মিকের ঈমান টিকিয়ে রাখতে হলে, অথবা আরো জোরদার করার জন্য প্রচলিত দর্শন অনুযায়ী নিজেকে আপডেট করা স্বাভাবিক। এ কাজটি করতে গিয়ে ইসলাম ব্যর্থ। তাই, এমনকি খাটি প্রকৃতিবিজ্ঞানীদের এই প্রচেষ্টা (ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে জাস্টিফায়েড করার প্রচেষ্টা) হাস্যকর পরিণতি বরণ করেছে শেষপর্যন্ত। বিশ্বাসীরা প্রথমদিকে বিভ্রান্ত ছিলেন, তারা বুঝে উঠতে পারেননি কোরানে থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকে শুরু করে ব্ল্যাকহোল, কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে মহাবৈশ্বিক মডেলের আবিষ্কার নিয়ে তারা কি প্রতিক্রিয়া দেখাবেন! এক ধরনের মিশ্র, কিছুটা দ্বন্ধের-মাঝে-ভোগা স্বাগতমকারী ছিলেন তারা এ প্রসঙ্গের প্রতিক্রিয়ায়। কিন্তু সময়ের সাথে ঠিকই তাদের উপলব্ধি হয়েছে, কিছু অতিবিশ্বাসীদের লম্প-ঝম্প ছাড়া অন্য কিছুই নয় এ ঘটনা।

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধর্মান্তর ইসলাম এবং ক্রীশ্চান ধর্মে সমান সমান। আপনার বন্ধু ইদানিং কালের মুসলিমদের গন ধর্মান্তর নিয়ে ওয়াকিবহাল নন। একটু সার্চ দিলেই দেখবেন ইদানিং কালে হঠাৎ করে ধর্মান্তর বেড়ে গিয়েছে। যতদিন মুসলিমরা সুফিবাদকে নিরূৎসাহিত করবে, বোকো হারাম কিংবা আইসিসের মত অশুভ শক্তির বিরূদ্ধে শক্ত হয়ে রুখে না দাড়াবে, ততদিন মানুষজন ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে বসে থাকবে। ইসলামের সবচেয়ে বেশী প্রচার প্রসার করে গিয়েছেন সুফী সাধকবৃন্দ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.