নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউ ভাবেনি এদের বিচার হবে কোনদিন!

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

মিরপুরের কশাই কাদেরের মানে কাদের মোল্লার ফাঁসি হবে এটা কেউ ভাবতে পারেনি। রাষ্ট্রপক্ষও প্রথমে ফাঁসি দেয়নি। গণজাগরণের ফলেই ফাঁসি কার্যকর হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মধ্যে ভয়ঙ্করতম ছিল কাদের মোল্লা। কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ছিল আশাজাগানিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে সবচেয়ে বেয়াদপ ছিল সাকা চৌধুরী। মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, অশালীনভাবে অসম্মান করা ছিল তার সহজাত প্রবৃত্তি। আর সাবেক মন্ত্রী মুজাহিদকে দেখে মনে হতো বিশাল কিছু, দৈত্য গোলিয়াথকে কাত করা গেলেও মুজাহিদকে কাত করা যাবে না। সেই মুজাহিদকেও ঝুলতে হয়েছে। একাত্তরের বদর বাহিনীর প্রধান সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসি দেয়ার কথা কোন রাজাকারই ভাবেনি। স্বাধীনতার পক্ষের বহু মানুষও সন্দিহান ছিলেন। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার রূপকারকে বিচার করা সম্ভব হয়েছে। আর মীর কাশেম আলীর দম্ভ ছিল বিশাল। মনে হতো অগাধ অর্থের মালিক লোকটি নিজেকে দেশের মালিক পক্ষই ভেবে বসতো। সেই ছিল জামাতের প্রধান অর্থ যোগানদাতা। কাশেম আলীরও মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। অথচ একাত্তরে সে খেতাব পেয়েছিল চট্টগ্রামের জল্লাদ নামে। দেশের প্রধান মৌলবাদী ছিল দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। তার ওয়াজ মাহফিলে লক্ষ লক্ষ লোক হতো। আর তিনি বিজ্ঞানমনষ্কতার বিরুদ্ধে, নারীমুক্তির বিরুদ্ধে, অগ্রসর মানুষদের বিরুদ্ধে রসিয়ে রসিয়ে বলতেন। তার ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়নি। বদলে হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড। একাত্তরের প্রধান ঘাতক গোলাম আযমের ৯০ বছর কারাদণ্ড ভোগের আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের দুজন মন্ত্রী হয়েছেন।অনেকেই এমপি হয়েছেন। কেউ কেউ এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়ও ছিলেন। একাত্তরের জঘণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু একাত্তরে এতো মানুষকে হত্যা, এতো নারী ধর্ষণ- বিচারহীন থাকতে পারে না। আমরা চাই এটা শুধু প্রতিকী শাস্তি হয়ে না থেকে আরো যারা ভয়ঙ্কর মানবতাবিরোধী অপরাধী আছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হোক। অপরাধের শাস্তি না হলে, অপরাধ কমে না। এসব মানবতাবিরোধী অপরাধীরাই স্বাধীনতাপরবর্তীতে আরো বহু ভয়ঙ্কর অপরাধের জন্ম দিয়েছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের সেই গতি আর দেখি না, যেন থমকে আছে।
ডেভিড - গোলিয়াথ এর গল্প আমাদের জানা আছে। গোলিয়াথ নামে দৈত্যটি গ্রামের ছেলে মেয়েদের ভয় দেখিয়ে সন্ত্রস্ত করে রাখত। একদিন, ডেভিড নামে এক রাখাল ছেলে গ্রামে তার ভাইদের কাছে বেড়াতে এসে তাদের জিজ্ঞেস করল, "তোমরা, দৈত্যটার সঙ্গে লড়াই করো না কেন? ভাইয়েরা ভয়ে ভয়ে বলল, "দেখছ না, কি বিরাট চেহারা, ওকে আঘাত করাই মুস্কিল।" ডেভিড বলল, "তা হবে কেন? বিরাট চেহারা বলেই আঘাত কড়া সহজ, কোনও তাক ফস্কে যাবে না।" তার পরের কাহিনী সবাই জানি। ডেভিড গুলতির সাহায্যে দৈত্যটিকে হত্যা করে গ্রামের ছেলে মেয়েদের সন্ত্রাস মুক্ত করেছিল। ভয়ের কিছু নেই যত বড় দৈত্য, তাকে বধ করতে সুবিধাও তত বেশি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম।
কেমন আছেন আপনি?

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এক বার বাগে পড়লে খবর আছে। তাদেরকে বাগে পড়তে ৪০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেটা তারা বোনাস সময় হিসাবে পেয়েছে।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেগম জিয়ার রাজনৈতিক বন্ধুরা যুদ্ধ করে, মানুষ মেরে, সেই দেশের মানুষের মাথার উপর উঠে বসেছিল।

৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.