নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডারউইন কি বাংলাদেশে ঘৃণিত!

০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮


⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐
বাংলাদেশে একটা শ্রেণির কাছে ডারউইন খুবই ঘৃণিত মানুষ। তাদের চোখে মিরজাফর, হিটলার, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, চেঙ্গিস খান, হালাকু খান, খন্দকার মোশতাক ইত্যাদি ঘৃণিত মানুষের চেয়েও ডারউইন বেশি ঘৃণিত। অথচ বলা হয় সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের একজন ডারউইন এবং সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী তত্ত্ব ডারউইনের বিবর্তনবাদ। শুধু বাংলাদেশেই নয় দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই ডারউইনকে বিতর্কিত ও নিন্দিত বিজ্ঞানী বানানো হয়েছে। মূলত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভ্রান্ত ধারণার কারণেই তারা অনবরত বিবর্তনবাদ সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রকাশ করায় আজ শিক্ষিত সমাজেও বিবর্তনবাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। ভুল ধারণা তৈরি করতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন ওয়াজের বক্তারা। তারা বিবর্তনবাদ সম্পর্কে কিছু না জেনেই বা ভুল জেনেই তা প্রকাশ করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়েছেন। এগুলো প্রতিরোধ করা যায়নি।

অধিকাংশ মানুষই বিবর্তনবাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে। তারা মনে করে-
♦বিবর্তন বাদ হল- বানর থেকে মানুষ হওয়া। এটা সত্য হলে কোন বানর থাকতো না, সবাই মানুষ হয়ে যেতো।
♦বিবর্তনবাদ একটি তত্ত্ব মাত্র। তত্ত্ব প্রমাণিত কিছু নয় একটা ধারণা মাত্র। বিবর্তনবাদের কোন প্রমাণ হয়নি এখনো। বহু বিজ্ঞানীই এটাকে বাতিল করে দিয়েছেন।
♦বিবর্তন হল সারভাইবাল দা ফিটেস্ট। এটা আমাদের ধর্মগ্রন্থেই আছে। জিরাফ লম্বা গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করতে করতে গলা লম্বা করে ফেলেছে।

এই ভুল ধারণা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে পরিকল্পিত ও অপরিকল্পিত ভাবেই। আমাদের শিক্ষক গাজী আজমল স্যার ছিলেন দেশের সেরা জীববিজ্ঞানের শিক্ষক। খুবই আশায় ছিলাম তিনিই পড়াবেন বিবর্তনবাদ। স্যার ছুটিতে থাকায় পড়াতে আসলেন হুজুর মিজান স্যার। তিনি ঢুকেই উপরের কথাগুলোও বললেন ভূমিকা হিসেবে। আরো বললেন, পড়াতে হয় বলেই পড়াচ্ছেন। পরীক্ষায় আসবে না। এগুলো বিশ্বাসও করবে না। আর আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীতো ওয়াজে নিয়মিতই বলতেন- ‘বিবর্তনবাদ হল, বানর থেকে মানুষ হওয়া। এটা সত্য হলে বানর আছে কেন?’ ওয়াজে শোনা এসব মিথ্যাই আমাদের অনেকের মগজে ঢুকে আছে।

অনেকের মতোই আমারও ওখানেই থেমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের ওই বই আমার মধ্যে একটি সংশয় রোপন করে দিয়েছিল। আমার প্রশ্নগুলোর জবাবও ছিল। বিবর্তনবাদ পড়া ছাড়িনি। আরো পড়তে পড়তেই একসময় বুঝতে পারি। হিন্দু ও মুসলিম মৌলবাদীরা কেন ডারউইনের মুণ্ডুপাত করে তাও বুঝতে পারি। ডারউইনের বিবর্তনবাদ সমস্ত অলৌকিক বিশ্বাসের উপরই আঘাত হেনেছে। সৃষ্টিবাদ নস্যাৎ হয়ে গেলে বহুজনের জীবিকাই শেষ হয়ে যাবে। খাবে কি করে? সৃষ্টিবাদীরা ডারউইনের মুখের সাথে বানরের শরীর যুক্ত করে একটি ছবি প্রকাশ করে খুবই মজা পায়। মনে হয় তাদের প্রিয় ছবি ওটি। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ মনে করে, বিবর্তনবাদ হাস্যকর ও মিথ্যা। তাদের এই মনে করাতেই যেনো বিবর্তনবাদ ভুল হয়ে যাবে। বাস্তবিক আধুনিক বিজ্ঞানীরা এবং উন্নত চিন্তার মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, সবই বিবর্তনের ফল। বিবর্তন তত্ত্বের উপর ভর করেই এগিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞান, অণুজীববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান। বিবর্তন বাদের কারণেই এক প্রাণির উপর ওষুধ প্রয়োগ করে তার সফলতা পাওয়া যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বারবারই বলছেন, করোনাভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তিত। এটি বাদুর থেকে বনরুই জাতীয় একটি বন্যপ্রাণীর দেহ থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। কিন্তু মৌলবাদীরা- ট্রাম্পের সেই কথাকেই গুরুত্ব দিয়ে বলতে চায়, এটি চীনের পরীক্ষাগারেই তৈরি হয়েছে বা কানাডার একদল বিজ্ঞানী ওহানে এসে এটি ছড়িয়ে গেছে। তবুও বিজ্ঞানীদের কথা মানবে না। শুধু করোনাভাইরাসই নয়- প্লেগ, কলেরা, স্পেনিশ ফ্লো ইত্যাদি অণুজীবের ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি এগুলো বারবারই বিবর্তিত হয়েছে। বিবর্তনের কারণেই আজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যে মৃত্যুহার বিভিন্ন। এক্ষেত্রে মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কাজ করছে। আবার প্রোটিন আকর্ষি বিবর্তিত হয়ে আরো শক্তিশালী হয়েছে কিন্তু তারা মৃত্যুঘটানোর সামর্থ্য কিছুটা হারিয়েছে। ফলে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃত্যুহার কমছে। এখন ভ্যাকসিন দেয়ার পরে কিন্তু সংক্রমণের হার কমে এসেছে আশাবাদী হওয়ার মতোই।

আমরা অবাক হইনি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চেলারা ঘোষণা দিল- গোমূত্র সেবন করলে আর করোনা হবে না, গোবরে অবগাহন করলে করোনা ধরবে না। কোটি কোটি বিজেপিভক্ত মৌলবাদী দেখলো গোমূত্র বা গোবরে কাজ হচ্ছে না, ঢাক-ঢোল পিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। তখন মোদীজি ঘোষণা দিলেন, তারা ১৫ আগস্ট থেকেই টিকা দেয়া শুরু করবে। সেটা পারেননি তবুও শেষ পর্যন্ত মোদীকেও যেতে হল বিজ্ঞানের কাছেই। আজ সেরাম কোটি কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করছে। অবাক হইনি, বাংলাদেশে মুফতি আমির হামযা যখন ঘোষণা দিল- মুসলমানদের করোনা হবে না, হলে কোরান মিথ্যা। কাজী ইব্রাহিম স্বপ্নে পায় করোনা ওষুধ, করোনার সাথে কথাও বলেন তখন তাকে সুস্থ মানুষ ভাবা যায় না। আরো মাওলানারাও বিদ্রোহ করে ঘোষণা দিলেন, তারা সামাজিক দূরত্ব মানবেন না। শেষ পর্যন্ত অবাক করে দিয়ে তারা সবই মানলেন। মক্কাতেও হজ্ব হল সীমিত পরিসরে সামাজিক দূরত্ব মেনে। তার আগে মক্কা বন্ধও থাকলো অনেক দিন। আশার জায়গা হল, তারাও বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা মেনে নিলেন। থানকুনি পাতা, কালোজিরা, রসুন যে করোনাভাইরাস ঠেকাতে পারে না তাও মেনে নিতে বাধ্য হলেন। ইসকন সদস্যরা প্রার্থণা করতে আক্রান্ত হলেন উল্টো ৪৩ জন। তাবলিগ কর্মীরা করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আক্রান্ত হলেন শতে শতে। গির্জায় প্রার্থণা করতে গিয়ে ফ্রান্সকে ভোগিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়াতে ছড়িয়েছে প্রার্থণালয় থেকেই। এখন সবাই তাকিয়ে ছিলেন- কবে টিকা আনবেন বিজ্ঞানীরা, সবাই মেনে নিচ্ছেন- চিকিৎসকরা কি বলছেন তা! আজ টিকা বাজারে এসেছে। টিকার কার্যকারিতাও প্রমাণিত হচ্ছে। বিপরীতে ধর্মীয় নির্দেশনা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় বলেছে সংক্রমণ রোগ বলে কিছু নেই। আবার টিকার জন্য আবেদনও করেছেন।

টিকা আবিষ্কার করতে গিয়ে মাথায় রাখতে হচ্ছে ভাইরাসের বিবর্তনকে। আজ এই দুঃসময়ে এই করোনাভাইরাসও প্রমাণ করে দিচ্ছে বিবর্তনবাদকেই। তা না হলে ভালুকের শরীর থেকে জীবাণু নিয়ে তা থেকে বানানো টিকায় মানুষের জন্য কোন কাজ করতো না। ডারউইন কি মুচকি হাসছেন?

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

রক্ত দান বলেছেন: বিবর্তন বাদের শুদ্ধ বয়ান আপনে প্রদান করুন।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: আগ্রহ থাকলে আপনি অনেক বইই পড়তে পারেন। আমার কাছ থেকে জানতে হলে অপেক্ষা করতে থাকেন।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



যারা মানুষের উদ্ভব, এনাটোমি, ফিজিওলোজী, ইত্যাদি সঠিকভাবে বুঝেছেন, তারা টিকা বানাচ্ছেন; যারা বুঝে না, তারা ওয়াজের ব্যবস্হা করছে।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!
ওরা কালোজিরা, থানকুনিপাতা, গোমূত্র খাওয়াচ্ছে ও নিজেরা খেয়ে মারা পড়ছে। শেষে টিকার লাইনে আসছে।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ডারউইন ধার্মিকদের কাছে অবহেলিত। তবে শিক্ষিত সমাজ তাকে বুকে টেনে নিয়েছে।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে এদেশে তথাকথিত সনদধারী বহুশিক্ষিতই কুশিক্ষিত। তারা সৃষ্টিবাদেরই পড়ে আছে।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: ডারউইন মহান বিজ্ঞানী তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ডারউইন পরবর্তী বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীরা যেসব থিউরী দিয়েছেন বিশেষ করে মানুষের সৃষ্টির ব্যাপারে তা বিনাপ্রশ্নে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। মানুষ ছাড়া বাকি সব প্রাণী বিবর্তনের মাধ্যমেই আল্লাহর ইচ্ছায় সৃষ্টি হয়েছে। এক প্রাণী প্রজাতি থেকে আল্লাহ আরেকটি প্রাণী প্রজাতি সৃষ্টি করেছেন। ডারউইন ঠিক সেটাই বলে গেছিলেন। তিনি কখনও মানুষের ব্যাপারে কিছু বলেননি। তাই ডারউইনকে ঘৃণা করার প্রশ্নই আসে না।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: মানুষের সাথে অন্য প্রাণির পার্থক্য কি?
মানুষ অন্যদের চেয়ে বেশি সৃজনশীল- এইতো! এছাড়া একটি িইঁদুরের সাথে মানুষের তুলনা করুন। তার জীবন চক্র আর মানুষের জীবন চক্র হুবহু এক! অথচ বলছেন একটি হয়েছে বিবর্তনে আর অন্যটা এমনিতেই।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

প্যারাডাইম বলেছেন: অন্য সবার মত আমরাও কেন যে ধর্মকে বিজ্ঞানের সাথে মিলাই!

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: বিজ্ঞানীরাতো মিলাচ্ছে না, মিলাচ্ছে ধর্মান্ধরা, ধর্মকে জাতে তুলতে।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

আশাবাদী অধম বলেছেন: কম্পিউটারে টাইপে অভ্যস্ত আমি। দুই হাতে আঙ্গুল ১০টা। কীবোর্ডে বাটন আছে ৯০ টির মত। ফলে আঙ্গুল চ্যাগাইয়া অনেক কসরত করে লিখতে হয়।
তো বিবর্তনবাদীদের বই পড়ে জানতে পারলাম মানুষ নাকি আগে গাছে চড়ত। গাছের ফল শেষ হওয়ায় মাটিতে নেমেছে। অভ্যাসের পরিবর্তনে ধীরে ধীরে লেজ খসে গেছে। সামনের দুই পা হাতে রূপান্তর হয়েছে।

তাই আমার জানতে চাওয়া। কম্পিউটারে লিখে লিখে হাতের অভ্যাস তো বদলাইয়া ফালাইছি। এখন বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী কতদিন নাগাদ আমার বা আমার পরবর্তী প্রজন্মের হাতের চারপাশে আঙ্গুল গজিয়ে সংখ্যায় মোটামুটি নব্বই খান হবে?

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনি লেজ খসে যাওয়ার যে গল্প বললেন তা বিবর্তন বাদ নয়। অপ্রয়োজনে লেজ শেষ হয়েছে এটা ভ্রান্ত ধারণা। বিবর্তন কোন লক্ষ্য নিয়ে আগায় না। ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো প্রাণির জীবন সংগ্রামে ভূমিকা রাখে এবং সেটাই টিকে থাকে। আমাদের দেশে বিবর্তনবাদ নিয়ে মারাত্মক বিভ্রান্তি রয়েছে।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিবর্তন মানলে যে আদম কে হারাতে হয়।আদমের বাবারও কেরামতি শেষ।তাই একটু সমস্যা আছে।তাছাড়া বিষয়টা একটু কঠিনও,বিশ্বাস করতে কোন রকমের মাথা খাটাতে হয় না।পৃথীবির সবথেকে সহজ বিষয় হলো বিশ্বাস।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪৯

মুজিব রহমান বলেছেন: সঠিক বলেছেন। বিশ্বাস করে নিলে আর চিন্তা করতে হয় না, প্রশ্ন করতে হয় না, প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হয় না। বিশ্বাস করলাম- সূর্য ডুবে যায় কর্দমাক্ত জলাশয়ে তাই সঠিক ভাবে। তাতেই আমরা যে পিছিয়ে যাচ্ছি সে বোধটাতো জাগানো দরকার।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: এদেশী পাবলিকরা কখনই নিজ থেকে কিছু চিন্তা করবে না, নিজের মস্তিস্ক খাটাবে না, এমন কি ধর্ম গ্রন্থে কী লেখা আছে সেটা পর্যন্ত বেশির ভাগ মানুষই পড়ে দেখবে না । তারা কেবল মোল্লারা কি বলল সেটা শুনেই নাচানাচি শুরু করবে !

০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: এমন ভয়ানক ভাবাদর্শ আমাদের সমাজে বিরাজ করছে। প্রশ্নহীন সব মেনে নেয়ার এক সংস্কৃতি।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৭

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: রিপোস্ট নাকি?

০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৯

মুজিব রহমান বলেছেন: কিছুটা পরিবর্তনতো আছে।

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩৯

স্প্যানকড বলেছেন: মানুষ মানুষ থেকে আইছে এতে কোন সন্দেহ নাই। অন্য প্রাণীর ব্যাপারে অত স্বচ্ছ ধারণা নাই। দুনিয়ার কোন জায়গায় কোন চিপা চাপায় কোন প্রাণীর লেজ খসল না মাথায় শিং উঠলো কেমনে কমু! কত কিছুই তো অজানা। ডারউইন তাঁর কথা বলেছেন আমরা এই শতকে এর কতদূর কাছে যেতে পারছি সেটাই হলো মূল কথা। ভালো থাকবেন।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৩৫

মুজিব রহমান বলেছেন: কেউতো একে ভুল প্রমাণ করতে পারছে না। বারবারই বহুভাবে প্রমাণিত হচ্ছে।

১১| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪০

নতুন বলেছেন: ঈহুদী, খৃস্টান এবং মুসলমান ধমের বিশ্বাসের মূলে সমস্যা তৌরি করে এই থিউরি। আদম/এডাম/ইভের কাহিনিকে প্রশবিদ্ধ করে এই থিউরি।

এই কারনেই উপরের ধমের কেউই বিবর্তনকে মেনে নিতে চায় না।

কিন্তু বিবর্তন এতোটাই প্রমানিত যে এটা যারা মানে না তারা কতটা অজ্ঞ এটাই প্রচার করে।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৩৬

মুজিব রহমান বলেছেন: উন্নত দেশের অধিকাংশ মানুষই বিষয়টি বুঝে কিন্তু পশ্চাৎপদ দেশের সিংহভাগ মানুষ অসচেতন বলেই তারা বুঝে না।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে এদেশে তথাকথিত সনদধারী বহুশিক্ষিতই কুশিক্ষিত। তারা সৃষ্টিবাদেরই পড়ে আছে।

এরা জাতির জন্য বোঝা।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: আমেরিকায় সৃষ্টিবাদ পড়ানো নিষিদ্ধি। বিজ্ঞান সমর্থন করে না এমন কিছু রাষ্ট্র জনগণকে পড়াতে পারে না।

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ২:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুজিব রহমান,





বিবর্তন তো বিগ ব্যাং থেকেই ( এর আগের সময়কালের কথা জানা নেই এ পর্যন্ত কারোই ) চলছে। এই বিবর্তনকে অস্বীকার করবে কে? এই যে, ঢাকা শহর "জাহাঙ্গীর নগর" থেকে বিবর্তিত হয়ে আজকে মেট্রো রেলের শহরে বিবর্তিত হচ্ছে তা কি অস্বীকার করা যাবে ? এই বিবর্তনের পেছনে "প্রয়োজন" - "দূরদৃষ্টি" নামের অনুঘটকগুলো ছিলো। মানুষ এই অনুঘটকগুলো বুঝতে পারে বলেই এমন সব বিবর্তন মেনে নেয়। যারা বোঝেনা তারা এর ভিন্ন ব্যাখ্যা করে।

সহব্লগার স্প্যানকড এর মন্তব্যে এর দেখা পাওয়া যায় - মানুষ মানুষ থেকে আইছে এতে কোন সন্দেহ নাই। অন্য প্রাণীর ব্যাপারে অত স্বচ্ছ ধারণা নাই। দুনিয়ার কোন জায়গায় কোন চিপা চাপায় কোন প্রাণীর লেজ খসল না মাথায় শিং উঠলো কেমনে কমু! কত কিছুই তো অজানা। ডারউইন তাঁর কথা বলেছেন আমরা এই শতকে এর কতদূর কাছে যেতে পারছি সেটাই হলো মূল কথা।
ব্লগারদের মতো শিক্ষিত লোকেদের অনেক কিছুই অজানা থাকে তবে বাকীদের আরো বেশী বেশী অজানা থাকার কথা। সেকারনেই প্রানের আবির্ভাব নিয়ে ডারউইনের তত্ত্বের পেছনে কার্যকরণগুলো সবার পক্ষে বোঝা সহজ হয়না। বরং কতোকিছু না জানার কারনেই এতো এতো তর্ক- এতো ঘৃনা।
কিন্তু একটু উচু মানের জ্ঞান নিয়ে , তথ্য ও তত্ত্ব (প্রানীবিদ্যার সকল শাখা সহ , পৃথিবীর ইতিহাস, নৃ-তত্ত্ব, প্রত্নতত্ত্ব, চিকিৎসা বিজ্ঞান ইত্যাদি থেকে নিয়ে) সমাহারে তলিয়ে দেখলেই বুঝতে পারা যাবে ডারউইন কি বলতে চেয়েছেন আসলে। বিবর্তনের কথাই বলেছেন তিনি। এবং এই বিবর্তন প্রানীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় শুধু আন্ত নাক্ষত্রিক / মহা জাগতিক স্তরেও বিরাজমান।

যারা ধর্ম বিশ্বাস রাখেন তারাও জানেন যে, সৃষ্টিকর্তা একফোটা জলীয় বস্তুর বিবর্তনের মধ্যে দিয়েই ভ্রুণ এবং সেখান থেকে মানুষ তৈরী করেছেন । ধূম্রজাল থেকে মাটির পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন । তার পর একে একে বিবর্তনের মধ্যে দিয়েই মানুষের বসবাসের উপযোগী করে তুলেছেন। ঝট করে কিছু সামনে এনে দাঁড় করান নি। সুতরাং বিবর্তন তো আছেই সবখানে।

কমজানা মানুষেরা ডারউইনকে কেবলমাত্র মানুষের বিবর্তনের প্রবক্তা হিসেবেই জানেন ।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৩৯

মুজিব রহমান বলেছেন: এখানে প্রাণের বিবর্তনের কথাই বলেছেন। অন্য সবকিছুই বদলে যায় এই ধারণা ডারউইনের আগেই ছিল।

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ২:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধর্ম মেনে বিজ্ঞান পড়তে বাধা কোথায় ?

০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৪০

মুজিব রহমান বলেছেন: বিজ্ঞানতো প্রমাণের বিষয়। ধর্ম বিশ্বাসের বিষয়। কঠিন বিশ্বাস নিয়ে তারা বিজ্ঞান মানতে চাইবেন না তাই পড়বেনও না।

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪১

এমেরিকা বলেছেন: ডারউইন ঘৃণিত নয়। ডারউইনের মতবাদ ব্যবহার করে যারা মানব শ্রেষ্ঠত্বের অবমাননা করতে চায়, তারা ঘৃণিত।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: ডারউইন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানীদের একজন। তাকে সভ্য দেশগুলো সম্মান করলেও দরিদ্র দেশের মানুষগুলো কিন্তু দরিদ্র দেশের অসচেতন মানুষ তাকে ঘৃণা করে নিজেরা মূর্খ বলেই।

১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৫

রক্ত দান বলেছেন: বিবর্তন বাদ ‍দিয়ে যারা নাস্তিক্যবাদ প্রমাণ করতে চায় মানুষ তাদেরকেই ঘৃণা করে। কারণ নাস্তিক্যবাদ মানুষের বুঝে আসে না।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৪৪

মুজিব রহমান বলেছেন: বাস্তবিকমূর্খ মৌলবাদীরাই বিজ্ঞানকে ঘৃণা করে।

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমরা মানুষেরা সর্বশ্রেষ্ঠ। এজন্যই আমাদের সৃষ্টি বিবর্তনে নয়, সরাসরি সৃষ্টিকর্তার দ্বারা।
তবে যুগে যুগে মানবজাতির মধ্যে সামাজিক ও দৈহিক পরিবর্তন সত্য।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৪৫

মুজিব রহমান বলেছেন: এটা আপনার অন্ধ বিশ্বাস। এর কোন প্রমাণ আপনার কাছে নেই, কথিত ঐশি গ্রন্থে বলা ছাড়া।

১৮| ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৮

সপ্তম৮৪ বলেছেন: এখন তো আজমল স্যারের ও বিবর্তন হয়েছে দেখলাম। কলেজ লাইফে সবচেয়ে স্মার্ট আজমল স্যার এখন নিজেও মিজান স্যারের মত লম্বা দাড়ি রেখে আল্লামা আজমল হয়েছেন।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: স্যারকে দেখিনি সাম্প্রতিক। তবে তার বইতে তিনি যেভাবে বিবর্তনবাদকে উপস্থাপন করেছেন তাতে তাকে অপরাধী হিসেবেই জ্ঞান করেছি। তিনি বিবর্তনবাদকে বিতর্কিত করেছেন হয়তো ইচ্ছা করেই।

১৯| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: মিসিং লিংক বলে কিছু একটা শুনেছি। এই কারণেই মনে করিনা যে মানুষ বিবর্তনে সৃষ্ট প্রাণী।
আমি বিজ্ঞান যথেষ্ট পড়েছি। পুরোপুরি তৃপ্ত না হওয়ার আগ পর্যন্ত এটা মানতে পারছি না।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: মিসিং লিংকগুলোর কারণে আগে বিবর্তনকে ব্যাখ্যা করতে গেলে প্রশ্ন উঠতো। এখন বহু ধরনের ফসিল উদ্ধার হওয়ার পরে ওই মিসিং লিংকগুলো পাওয়া গেছে এবং বিবর্তনবাদকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.